Baby tips: আপনি কি জানেন, জন্মের আগেই শিশু কী কী বিষয়ে জ্ঞাত থাকে?
প্রত্যেক পিতা-মাতা তাদের শিশুকে অসাধারণ ভাবতে পছন্দ করেন, কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে শিশুরা আপনাকে সারা রাত জাগিয়ে রাখার দক্ষতার বাইরেও কিছু চিত্তাকর্ষক ক্ষমতা রাখে।
বৈজ্ঞানিক মতানুযায়ী, জন্মের অনেক আগে থেকেই, মাতৃগর্ভে থাকাকালীন আপনার শিশুও শিখে যায় বেশ কিছু জিনিস। জীবনের এই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিই শিশু শিখে যায় ভ্রণাবস্থায়। জানেন সে সব কী কী?
শব্দ চেনা:
গবেষণা বলেছে, গর্ভাবস্থায় মা যত কথা বলেন, অনেকটা সময়ের পরে হলেও সেই সব শব্দ টেপ রেকর্ডারের মতো শিশুর কানে পৌঁছয়। তাই জন্মের পর মায়ের গলা চিনতে খুব একটা অসুবিধা হয় না শিশুর। এমনকী, মায়ের চারপাশে থাকা বিভিন্ন মানুষের গলার আওয়াজও তার পরিচয়ের আওতায় থাকে।
আলোর অস্তিত্ব:
সাত সপ্তাহের গর্ভাবস্থার আগে তার চোখ ভালো করে ফোটে না। কিন্তু পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, সেই অবস্থাতেও মাতৃগর্ভের নিকষ কালো অন্ধকারে কোনও ভাবে আলো পৌঁছে দিলে সে তার চোখ সরিয়ে নিচ্ছে আলের বিপরীতে। এমনকী, আলট্রাসাউন্ডে ধরা পড়েছে, জন্মের কাছাকাছি সময়ে বারবার চোখ পিটপিট করা শিশুর অভ্যাস।
ভাষা বোঝা:
গর্ভাবস্থায় শিশুর কান তৈরি হওয়ার পর পরই শিশু তার মাতৃভাষায় অভ্যস্ত হতে শুরু করে। পরিচিত সেই ভাষায় যা কিছু বলে হোক না কেন, সে দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া শুরু হয়ে যায় তখন থেকেই। যদি কখনও কল্পনা করেন, মাতৃগর্ভে থেকে চোখ বুজে, কান খাড়া করে শব্দ শুনছে শিশু— তা হলে খুব ভুল ভাবেননি।
স্বাদ বোঝা:
গর্ভাবস্থায় শিশু থাকার আট থেকে পনেরো সপ্তাহের মধ্যেই শিশুর এই ক্ষমতা তৈরি হয়ে যায়। তখন থেকেই সে আলাদা করতে পারে মিষ্টি, টক আর তেতো স্বাদ।
গন্ধবিচার:
মায়ের খাদ্যাভ্যাস থেকেই শিশু গর্ভাবস্থাতেই জিরে, মৌরি, রসুন ও টুকটাক মশলার গন্ধ সে চিনে যায়। যে অ্যামনিওটিক ফ্লুয়িডে ভেসে থাকে শিশু, মূলত তার গন্ধ হয় অনেকটাই মায়ের গায়ের গন্ধের মতো। তাই জন্মের পর সেই গন্ধের উপর আর গলার স্বরের উপর নির্ভর করেই মায়ের উপস্থিতি টের পায় শিশু।
মুখ চেনা
তাদের প্রথম কয়েক মাসের মধ্যে, আপনার শিশু ইতিমধ্যেই আপনার মুখ চিনতে পারবে- যা দরকারী কারণ তারা সবকিছুর জন্য আপনার উপর নির্ভর করে। প্রায় ৫-৮ মাস বয়স থেকেই তারা পরিচিত মানুষ এবং অপরিচিতদের মধ্যে পার্থক্য করতে সক্ষম হবে।
- Related topics -
- লাইফস্টাইল
- শিশু
- স্বাস্থ্য