Detox Water | তীব্র তাপদাহে বাড়ির বানানো ডিটক্স ওয়াটার খেয়ে চাঙ্গা করুন শরীর! কমবে ওজনও!
শরীর ঠান্ডা করতে ডিটক্সিফিকেশন জরুরি। এর দ্বারা শরীর ভিতর থেকে তাজা থাকে। আর এই কাজ করতে পারে ডিটক্স ওয়াটার। এই সব পানীয় পান করলেই শরীর ডিটক্সিফাই করা সহজ হয়।
সর্বকালীন রেকর্ড গরম পড়েছে কলকাতায়। পারদ ছুঁয়েছে ৪৩ ডিগ্রি। এদিকে বৃষ্টির দেখা নেই। হাওয়া অফিস গোটা পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের একাধিক রাজ্যে তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে। চিকিৎসকরা বলছেন, এই প্রচন্ড গরমে বেশি করে জল খেতে। শরীর রাখতে হাইড্রেটেড। তবে এমন সময় শরীর ঠান্ডা করতে ডিটক্সিফিকেশন জরুরি। এর দ্বারা শরীর ভিতর থেকে তাজা থাকে। আর এই কাজ করতে পারে ডিটক্স ওয়াটার (Detox Water)। এই সব পানীয় পান করলেই শরীর ডিটক্সিফাই করা সহজ হয়।
শরীর তরতাজা করবে ডিটক্স ওয়াটার!
গরমকালে শরীর হাইড্রেটেড রাখতে অনেকেই ওআরএস ড্রিঙ্ক (ORS Drink) খেয়ে থাকেন। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাত্রারিক্ত ওআরএস ড্রিঙ্ক (ORS Drink) কিন্তু উল্টে শরীর খারাপ করতে পারে। তবে সঠিক উপাদান দিয়ে বানানো ডিটক্স ওয়াটার (Detox Water) কিন্তু শরীর ঠান্ডা রাখবে এবং ডিটক্সিফিকেশন করবে। এমনকি ওজন কমানোর জন্য বর্তমানে ডিটক্স ওয়াটার বেশ জনপ্রিয়। ডিটক্স ওয়াটার বাড়িতেই বানানো যায়। খুব সহজ পদ্ধতিতেই ঘরোয়া কিছু উপকরণ দিয়ে এই জল বানিয়ে ফেলা যায়। রোজ সকালে বা দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় ডিটক্স ওয়াটার খেলে ওজনও দ্রুত কমে। ওজন কমানো ছাড়াও ডিটক্স ওয়াটারের বেশ কিছু স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক বাড়িতে কীভাবে কম খাটনিতে বানাবেন এই পানীয়।
উষ্ণ জলে লেবু :
উষ্ণ জলে সামান্য লেবুর রস দিয়ে পান করুন এটি ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন সি যা টক্সিসিটি দূর করতে সাহায্য করে। উষ্ণ লেবুর জল মারাত্মক ডিটক্স ওয়াটার হিসাবে কাজ করে।
কাঁচা আমের ডিটক্স পানীয় :
একটা গোটা কাঁচা আম খোসা সমেত টুকরো করে কেটে নিয়ে এক লিটার জলের মধ্যে দিন। তার সঙ্গে হাফ ইঞ্চি আদা সূক্ষ্ম করে কেটে ও সঙ্গে কয়েরটা পুদিনা পাতা দিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর দু-তিন ঘণ্টা ধরে এই জল অল্প অল্প করে পান করতে পারেন। এই তীব্র গরমে কাঁচা আম তাপপ্রবাহ ম্যানেজমেন্টে দুর্দান্ত কাজ করে। হিট স্ট্রোক, হিট ক্র্যাম্প প্রতিহত করে সাহায্য করে। শরীর ঠান্ডা রাখে, ক্লান্তি দূর করে।
অ্যালোভেরার জুস :
অ্যালোভেরার রস একটি অত্যন্ত ভাল ডিটক্স ওয়াটার। লিভার ফাংশন ভাল রাখার জন্য অত্যন্ত উপকারী এই জুস। এ ছাড়াও এই রস কন্সিটিপেশন দূর করতে অত্যন্ত সাহায্য করে। তাই এটিও একটি অসাধারণ ডিটক্স ওয়াটার।
তরমুজ ডিটক্স ওয়াটার :
এটি বানানোর জন্য ১ লিটার জলে এক চামচ তুলসি সিড ও ৪-৫ টি তুলসি পাতা, সঙ্গে খোসাসমেত অর্ধেক শশা গোল গোল করে কেটে এক-দেড় ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর পান করুন। গরমে শারীরিক স্ট্রেস হয় মারাত্মক, ক্লান্তিবোধ হয়, কিছু ভালো লাগে না। এসব কাটাতে এই জল পান করুন।
আমলা আইস টি :
গরমে চা খাওয়ার বদলে খান আইস টি (Ice Tea)। চা ছাঁকার পর অবশিষ্ট চা পাতা ফেলে না দিয়ে এর সঙ্গে ৪টে পুদিনা পাতা, হাফ চামচ জিরে, মৌরি ও হাফ ইঞ্চি আদা একগ্লাস জলে ১ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এই পুরো মিশ্রণটি ছেঁকে নিন ও ঠান্ডা হতে দিন। এরপর অন্য গ্লাসে আগে থেকে হাফ চামচ আমলকীর জুস বা কিছুটা আমলকী থেঁতো করে রেখে তার সঙ্গে ছেঁকে নেওয়া তরল মেশান। তার পর এতে আবার অল্প আদা কুচি, পুদিনা পাতা ও রক সল্ট দিতে পারেন। চা খাওয়ার বদলে এই আইস টি (Ice Tea) করলে শরীরকে ভিতর থেকে ঠান্ডা করে, এনার্জি পাওয়া যায়, চুল ভালো থাকে, ত্বকও ভালো হয়। প্রচুর ভিটামিন সি থাকে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি জোরদার করে।
শশা-তুলসী ডিটক্স :
গরমে শারীরিক স্ট্রেস হয় মারাত্মক, ক্লান্তিবোধ দূর করতে পারে এই পানীয়। এর জন্য ১ লিটার জলে এক চামচ তুলসি সিড ও ৪-৫ টি তুলসি পাতা, সঙ্গে খোসা সমেত অর্ধেক শশা গোল গোল করে কেটে এক-দেড় ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর পান করুন।
প্রসঙ্গত, ডিটক্স ওয়াটারের মধ্যে বেশ কিছু এমন উপাদান থাকে যা শরীর গরম করে দেয়। গরমকালে এই ধরনের উপাদান এড়িয়ে চলাই ভাল। এই উপাদানগুলি দিয়ে ডিটক্স ওয়াটার বানালে দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বেড়ে যায়। শরীর ঠাণ্ডা হওয়ার বদলে গরম হয়ে যায়। যা থেকে গরমজনিত নানা রোগ যেমন হিট এডেমা, হিট স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে আদা, জিরে ইত্যাদি।
- Related topics -
- অন্যান্য
- খাদ্য
- খাদ্যগুণ
- খাদ্যের গুনাগুন
- পেটপুজো
- পানীয়
- পানীয়জল
- ডিটক্স ড্রিংক
- ডিটক্স
- লাইফস্টাইল