দীর্ঘ ছয় বছর পর নোট বাতিল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা পেশ করলো কেন্দ্র সরকার
কালো টাকা মোকাবিলার জন্য… ব্যবসার খরচ কমেছে’, নোট বাতিল প্রসঙ্গে অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে হলফনামা পেশ করা হল সুপ্রিম কোর্টে।
২০১৬ সালের ৮ই নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সিদ্ধান্তে রাতারাতি বাতিল করা হয়েছিল ১০০০ টাকা এবং ৫০০ টাকার নোট। দেশে চলতে থাকা কালো বাজার বন্ধ করার উদ্দেশ্যেই প্রধানমন্ত্রী এরূপ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। তবে সে সময় রাতারাতি নোট বাতিল করার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত আরবিআই এবং কেন্দ্রের কাছ থেকে হলফনামা চেয়েছিল।
দীর্ঘ ছবছর পর নোট বদলের জেরে দায় হওয়া মামলার হলফনামা পেশ করা হল, সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ কী তা জানুন
দীর্ঘ বিলম্ব এবং সু্প্রিম কোর্টের হালকা ভর্ৎসনার পর কেন্দ্র অবশেষে হলফনামা পেশ করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলো। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, ‘সন্ত্রাসবাদে অর্থের জোগান, কালো টাকা এবং কর ফাঁকির মতো সমস্যাগুলির মোকাবিলা করার জন্যই নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কেন্দ্রীয় পরিচালন পর্ষদের বিশেষ সুপারিশ মেনেই নোট বাতিল করেছিল সরকার। ধারাবাহিক পরিবর্তনশীল আর্থিক নীতির ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ এক সিদ্ধান্ত ছিল।’
হলফনামায় কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়, ‘নোট বাতিলের কারণে যাতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কম হয়, তার জন্য পদক্ষেপ করা হয়েছিল। বাস, ট্রেন এবং বিমানের টিকিট বুকিং, হাসপাতালে ভর্তি, এলপিজি সিলিন্ডার কেনার মতো কয়েকটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে লেনদেনের জন্য বাতিল নোটগুলি ব্যবহারের ছাড় দেওয়া হয়েছিল।’ এদিকে নোট বাতিলের সুফল প্রসঙ্গে হলফনামায় কেন্দ্র বলে, ‘নোট বাতিলের ফলে ব্যবসা করার খরচ কমেছে।’
উল্লেখ্য, মোট ৫৮টি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নোট বাতিল সংক্রান্ত মামলার শুনানি হচ্ছে, বিচারপতি এস আব্দুল নাজির, বিআর গাভাই, এএস বোপান্না, ভি রামাসুব্রহ্মণ্যম এবং বিভি নাগারত্নার সাংবিধানিক বেঞ্চে। এর আগে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি পিছিয়ে দিতে হয়েছিল গত ৯ই নভেম্বর পর্যন্ত তবে তখ কেন্দ্র সঠিক সময়মতো হলফনামা পেশ করতে না পারায় এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ২৪শে নভেম্বর ধার্য করা হয়েছে।
- Related topics -
- অর্থনৈতিক
- ভারত
- সুপ্রিম কোর্ট
- বিমুদ্রাকরণ
- কালো টাকা