Burdwan University | ম্যাজিক কাজ করবে পেঁপের বীজের রস! ডেঙ্গুবাহক মশার লার্ভা বিনাশের সহজ টোটকা আবিষ্কার করল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়!
বর্তমান সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ডেঙ্গুবাহক মশার লার্ভা বিনাশের সহজ টোটকা আবিষ্কার করেছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। আর এক্ষেত্রে তারা ব্যবহার করেছেন পেঁপের বীজের রস! এই প্রসঙ্গে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গৌতম চন্দ্র জানিয়েছেন, প্রথমে পাকা পেঁপের কালো বীজ থেকে নির্যাস বের করতে হবে। এরপর বিজারক হিসেবে তা ব্যবহার করতে হবে সিলভার নাইট্রেট নামে একটি রাসায়নিকের সঙ্গে। এর ফলে তৈরি হবে সিলভার ন্যানো পার্টিকল। এটি জলে দিলেই নষ্ট হয়ে যাবে লার্ভা।
বর্ষা আসতেই চিন্তা বাড়ে ডেঙ্গু নিয়ে। এই মরশুমে মশার উপদ্রব কমাতে নানান অস্ত্র,টোটকা ব্যবহার করে থাকেন কমবেশি সকলেই। তবে কোনো কিছুতেই যেন সমস্যার সুরাহা হয় না। তবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনতে মশার লার্ভা বিনাশের সহজ টোটকা আবিষ্কার করল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় (Burdwan University)! এই উপায় বেশ কাজে আসবে বলেই আশা সকলের।
বর্তমান সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ডেঙ্গুবাহক মশার লার্ভা বিনাশের সহজ টোটকা আবিষ্কার করেছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। আর এক্ষেত্রে তারা ব্যবহার করেছেন পেঁপের বীজের রস! এই প্রসঙ্গে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গৌতম চন্দ্র জানিয়েছেন, প্রথমে পাকা পেঁপের কালো বীজ থেকে নির্যাস বের করতে হবে। এরপর বিজারক হিসেবে তা ব্যবহার করতে হবে সিলভার নাইট্রেট নামে একটি রাসায়নিকের সঙ্গে। এর ফলে তৈরি হবে সিলভার ন্যানো পার্টিকল। এটি জলে দিলেই নষ্ট হয়ে যাবে লার্ভা। জানা গিয়েছে, ডেঙ্গু মশার পাশাপাশি অন্যান্য মশার লার্ভাও নষ্ট করবে এই আবিষ্কার। ডেঙ্গুর পাশাপাশি ফাইলেরিয়া রোগ বহনকারী মশার লার্ভাও ধ্বংস হবে বলে দাবি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টির পরীক্ষা সফল হয়েছে। এমনকি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে পেটেন্টও এসেছে।
এই পদ্ধতিটির আবিষ্কারকদের বক্তব্য, এই ধরনের পণ্য তৈরি করতে খরচ অনেকটাই কম। পাশাপাশি এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। ফলে অনায়াসেই এটি ফুলের টব বা ড্রামের জলেও ব্যবহার করা যাবে। প্রসঙ্গত, প্রত্যেক বছর বর্ষার সময় ডেঙ্গু নিয়ে চিন্তা বাড়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রশাসনের। ফলে ডেঙ্গুবাহক মশার লার্ভা নষ্ট করতে এই নতুন আবিষ্কার নিয়ে বেশ উৎসাহিত স্বাস্থ্যদফতরও। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ বিশ্বনাথ রায় এ বিষয়ে বলেন, ‘ই ধরনের উপকরণ যাতে কাজে লাগানো যায়, তার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে কোনও বাণিজ্যিক সংস্থাকেই প্রথম এগিয়ে আসতে হবে।