রাজ্য

Bolpur Rape Case: ‘সন্ত্রস্ত’ নির্যাতিতার বাকরুদ্ধ, গঠন হল মেডিক্যাল টিম

Bolpur Rape Case: ‘সন্ত্রস্ত’ নির্যাতিতার বাকরুদ্ধ, গঠন হল মেডিক্যাল টিম
Key Highlights

বোলপুরের নির্যাতিতা আশঙ্কাজনক, পাঠানো হল এসএসকেএমে, গ্রেপ্তার বাবা-সহ ৪।

বোলপুরের নির্যাতিতা বর্তমানে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের এইচডিইউ-তে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার বিকেলে তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা হয়েছে । সেই নির্যাতিতা এতটাই ট্রমাটাইজড যে নিজের যন্ত্রণার কথা মুখ ফুটে বলতেও পারছেন না। মঙ্গলবার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তির পর কিছু খেতেও চাইছিলেন না তিনি। আপাতত শারীরিক ভাবে স্থিতিশীল হলেও মানসিক ভাবে তিনি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে বলে জানান এক চিকিৎসক।

গতকাল এসএসকেএম হাসপাতালে আনার পর তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। তখন চিকিৎসকরা লক্ষ করেন নির্যাতিতার রক্তপাত হচ্ছে। তা বন্ধ করতে অস্ত্রপোচার করা হয়। আপাতত অ্যান্টিবায়েটিক-সহ একাধিক ওষুধ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। প্রয়োজনে রক্ত দেওয়া হতে পারে বলে জানান চিকিৎসক।

প্রসঙ্গত, তাঁর চিকিৎসায় হাসপাতালের তরফ থেকে মেডিক্যাল টিম গঠনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এক মহিলা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ-সহ দুই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, মেডিসিনের চিকিৎসক, সাইকিয়াট্রিস্ট, ফরেনসিক মেডিসিনের চিকিৎসক ওই মেডিক্যাল টিমে থাকতে পারেন। আপাতত একাধিক বিভাগের চিকিৎসক নির্যাতিতাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।

গত ৩১শে মার্চ দীপ্তি ঘোষ নামে এক যুবক ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এমনকি সে কথা কাউকে জানালে তাঁকে খুন করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। এর পর ওই তরুণী তাঁর মাসতুতো বোনের বাড়িতে চলে যান। সেখান থেকে বাড়ি ফিরলেও এ নিয়ে ‘লোক জানাজানি’র ভয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে রাজি হননি। এর পর গত ৩ এপ্রিল বর্ধমান থেকে ওই তরুণী ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পর দীপ্তি, তরুণীর বাবা বাবলু সোরেন এবং আরও দু’জন ওই তরুণীকে গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগপত্রে লেখা হয়েছে। অন্য দিকে, মঙ্গলবারই ধর্ষণে অভিযুক্ত বাবা এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতা মিলিয়ে মোট চারজনকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।