ক্রাইম

Berhampore Murder case: সুতপার সঙ্গে ৫ বছরের সম্পর্ক, ‘প্রতিশোধ’ নিতে নৃশংস খুন, জেরায় দাবি সুশান্তের!

Berhampore Murder case: সুতপার সঙ্গে ৫ বছরের সম্পর্ক, ‘প্রতিশোধ’ নিতে নৃশংস খুন, জেরায় দাবি সুশান্তের!
Key Highlights

কলেজ ছাত্রী সুতপার হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত সুশান্ত বেশ কয়েক বার আত্মহত্যা করার হুমকিও দিয়েছে তদন্তকারীদের। যা নিয়ে বেশ চিন্তিত তদন্তকারীরা।

সোমবার সন্ধ্যায় বহরমপুর গোরবাজারে কুপিয়ে সুতপাকে খুন করা হয়। খুনের যে ভিডিয়ো ছড়িয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে যে রাস্তায় পড়ে কাতরাচ্ছেন সুতপা। তাঁকে একের পর এক কোপ মারছেন সুশান্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা কথা বলার চেষ্টা করলেও সুতপা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে থাকে সুশান্ত। পরে রাত ১০ টা নাগাদ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বহরমপুর পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত যুবক মালদা থানার বলরামপুরের বাসিন্দা। ধৃতের বাবা নিখিল চৌধুরী পেশায় নিউ জলপাইগুড়িতে কর্মরত একজন পুলিস কনস্টেবল। আর ধৃত প্রেমিক সুশান্ত কম্পিউটার নিয়ে বিহারের পাটনাতে পড়াশোনা করত। অন্যদিকে, নিহত কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরীর পরিবার আগে মালদার বৈষ্ণবনগর থানার রাজনগর গ্রামে বসবাস করত। তবে বছর ১২ আগে তাঁরা মালদার ইংরেজবাজারে চলে আসেন। ইংরেজবাজার পুর এলাকার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন বাড়ি বানিয়ে বসবাস শুরু করেন।

ওই এলাকার এক অন্যতম সুন্দরী ছিল সুতপা। বছর পাঁচেক ধরে সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর। বছরখানেক আগে মন্দিরে গিয়ে 'বান্ধবী' সুতপা চৌধুরীকে বিয়ে করেছিল। কিন্তু গত এক বছর ধরে সেই সম্পর্কে ফাটল ধরে। হঠাৎই সুশান্তকে এড়িয়ে যেতে থাকে সুতপা। শুরু হয় সম্পর্কের টানাপোড়েন। মনোমালিন্যের জেরে এরপর ৮ মাস আগে একবার সুশান্ত বেশ কয়েকজন যুবককে সঙ্গে নিয়ে মদ্যপ অবস্থায় সুতপার বাড়িতে হামলাও করে বলে অভিযোগ।

পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে, পড়াশোনার জন্য সুশান্ত একসময় সুতপার বাড়ির পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থিত তাঁর পিসির বাড়িতে থাকত। সেখান থেকেই দুজনের মধ্যে সম্পর্কের সূত্রপাত। সুতপা-সুশান্তর সম্পর্কের কথা সুতপার পরিবার জেনে গিয়েছিল। কিন্তু তারা তা মেনে নেয়নি। তারপরই পরিবারের অমতে গিয়ে সম্পর্ক বজায় রাখতে অস্বীকার করে সুতাপা। সেই আক্রোশ থেকেই সুতপাকে সুশান্ত খুন করেছে বলে মনে করছে পুলিস।

মঙ্গলবার সুশান্তকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তার পর থেকে বহরমপুর থানাতেই রয়েছে সে। তদন্তকারীদের মতে, পুলিশ হেফাজতে আসার পর থেকে মুখে কুলুপ এঁটেছে সুশান্ত। তার মুখ থেকে প্রায় কোনও কথাই বার করা যাচ্ছে না। এমনকি, পুলিশি জেরায় সে কোনও সহযোগিতা করছে না বলেই তদন্তকারীদের দাবি।