Climbing stairs benifit: সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে জানুন শরীরের কী কী উপকার মেলে?
সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার লুকিয়ে সুস্বাস্থ্যের মন্ত্র! লিফ্ট ব্যবহার না করে দিনের মধ্যে কয়েকবার সিঁড়ি ভাঙলেই হ্যামস্ট্রিংয়ের জোর বাড়ে। জানুন বিশেষজ্ঞদের মতামত।
জিমে গিয়ে ওয়েট লিফ্টিং করা অথবা ট্রেডমিলে দৌড়ে ঘাম ঝড়ানোই আদতে শরীরচর্চা - এই ধারণার মানুষ আপনি অনেক পাবেন। কিন্তু শরীরের গড়ন ধরে রাখা বা বাড়তি মেদ ছেঁটে ফেলার একমাত্র উপায় শুধুমাত্র জিম নয়। সুস্থ-সবল শরীর চাইলে নানা ধরনের শারীরিক কসরতই একমাত্র উপায়। হাঁটা, জগিং, সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করা তার মধ্য অন্যতম। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার অভ্যাস শরীরের শক্তি বৃদ্ধি, মাংশপেশির গঠন এবং ভারসাম্য দৃঢ় করতে খুবই কার্যকর। বেশি ক্যালোরি ঝরানো এবং পেশির টোনিংয়ে সাহায্য করে এই শারীরিক কসরত।
এই কসরত করলে হ্যামস্ট্রিংয়ের জোর বাড়ে। হাঁটুর মাংসপেশি মজবুত হয়। লিফ্ট ব্যবহার না করে দিনের মধ্যে বার কয়েক এই অভ্যাস করুন। জানুন আর কী কী উপকার মেলে এই কসরত করলে?
১) সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার সময় পায়ের স্থির পেশি, গোড়ালি এবং পেরোনাল টেনডন শরীরের ভারসাম্য রক্ষার্থে একসঙ্গে কাজ করে থাকে। এই কসরতের ফলে আপনার শরীরিক শক্তির বিকাশ ঘটে। কসরতের শুরুর দিকে পায়ে টান ধরা বা ব্যাথা অনুভূত হলেও পরে নিজেকে তরতাজা লাগবে।
আরও পড়ুন: টাকা গণনা শেষ, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতার ফ্ল্যাটে উদ্ধার হল ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা
২) সমতল ভূমিতে দৌড়নো কিংবা হাঁটার চেয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার সময় শরীরের মাংসপেশিগুলি বেশি সক্রিয় থাকে। সমতলে হাঁটার সময় শুধু মাত্র পায়ের পেশিই সক্রিয় থাকে। তবে সিঁড়িতে চড়ার সময় আপনার গ্লুটস, কোয়াডস এবং হ্যামস্ট্রিং একসঙ্গে কাজ করে। মেদমুক্ত পেশির জন্য এটি খুব কার্যকর একটি কসরত।
৩) সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখতেও সাহায্য করে। এই কসরতের ফলে ধমনীতে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয় এবং হৃদ্স্পন্দন ঠিক থাকে।
৪) শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঘটার ফলে হরমোন গ্রন্থি থেকে গুড হরমোনের ক্ষরণ হয়। যার ফলে মানসিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং মনও ভাল থাকে।
- Related topics -
- স্বাস্থ্য
- লাইফস্টাইল
- শরীরচর্চা