দেশ

Water Crisis | শুকিয়ে গিয়েছে প্রায় ৩০০০ নলকূপের জল! ক্রমশ 'ডে জিরো'র দিকে এগোচ্ছে বেঙ্গালুরু! 'সিটি অফ লেকসে’ কেন সংকট?

Water Crisis | শুকিয়ে গিয়েছে প্রায় ৩০০০ নলকূপের জল! ক্রমশ  'ডে জিরো'র দিকে এগোচ্ছে বেঙ্গালুরু! 'সিটি অফ লেকসে’ কেন সংকট?
Key Highlights

ভয়াবহ আকার নিচ্ছে বেঙ্গালুরুতে জল সঙ্কট ।সেখানে দৈনিক জলের চাহিদা ২৬০ কোটি থেকে ২৮০ কোটি লিটার। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতি দিন বেঙ্গালুরুতে অন্তত ১৫০ কোটি লিটার জলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

জল সংকটে ভয়াবহ পরিস্থিতি বেঙ্গালুরুতে। সেখানে অবস্থা এমনই যে, কেউ কেউ বলছেন, এক মাসে মোটে বার পাঁচেক স্নান করতে পেরেছেন তাঁরা। কেউ কেউ বলছেন, রান্না করবেন কী, জলই তো নেই! পানীয় জল তো বটেই, দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারযোগ্য জলের সংকটে ভুগছে কর্নাটক। তার মধ্যে বেঙ্গালুরুতে জল সঙ্কট (Bangalore Water Crisis) পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। বেঙ্গালুরু শহরের জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ। সেখানে দৈনিক জলের চাহিদা ২৬০ কোটি থেকে ২৮০ কোটি লিটার। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতি দিন বেঙ্গালুরুতে অন্তত ১৫০ কোটি লিটার জলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সেই চাহিদা মেটাতে বাইরে থেকে জল কিনতে গিয়েও দামের কারণে নাভিশ্বাস উঠছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এক বালতি জল কিনতে ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জল অপচয় না করার বার্তা দিয়েছে প্রশাসন। জলের জোগান দেওয়ার জন্য প্রশাসনের তরফে দু-একটি ট্যাঙ্কার আসছে শহরে, সেখান থেকেও বরাদ্দ এক পাত্র জল।

 বেঙ্গালুরুর জল সংকটের সমস্যার সমাধানের জন্য, সিএম সিদ্দারামাইয়া (CM Siddaramaiah), উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার, মন্ত্রী এবং সরকারি আধিকারিকেরা বেঙ্গালুরুর জলসঙ্কট নিয়ে বৈঠকে বসেন। এদিকে সঙ্কটের সঙ্গে মোকাবিলার জন্য কর্নাটক সরকার মোট ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। যার মধ্যে ৭০ কোটি টাকা নতুন কূপ খননের জন্য খরচ করা হবে। সিএম সিদ্দারামাইয়া (CM Siddaramaiah) জানান, জলসঙ্কটের মুখে থাকা গ্রামগুলিতেই খোঁড়া হবে নলকূপগুলি। তবে জলসঙ্কটের মুখে জনসাধারণের জন্য জল ব্যবহারে কিছু নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে সরকার। প্রশাসনের সাফ নির্দেশ, গাড়ি ধোয়া, বাগান পরিচর্যা, নির্মাণকাজ, বিনোদন সংক্রান্ত কোনও কাজে জল ব্যবহার করা যাবে না। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে কর্নাটক ওয়াটার সাপ্লাই বোর্ডের তরফে।

বেঙ্গালুরুতে জল সঙ্কট (Bangalore Water Crisis) এর এই পরিস্থিতিতে আরও বিপর্যয়ের কথা আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভয় ধরাচ্ছে 'ডে-জ়িরো’ (Day-Zero)। ২০১৮ সালে ভয়ানক আকার নিয়েছিল কেপ টাউনের খরা পরিস্থিতি। মারাত্মক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন শহরের প্রায় ৪০ লক্ষ বাসিন্দা। ২০১৮-র জানুয়ারি মাসে কেপ টাউন পুরসভা সে বছরেরই ১২ মে তারিখটিকে ‘ডে-জ়িরো’ হিসেবে চিহ্নিত করে। অর্থাৎ, সে দিন থেকে শহরের কোনও কলে আর জল পড়বে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে জল সংকট (Water crisis in India)  এরকমই রূপ নিতে পারে। একই অবস্থা হতে চলেছে ভারতের অন্যতম তথ্যপ্রযুক্তি নগরী বেঙ্গালুরুর। পানীয় জল তো বটেই, দৈনন্দিন কাজে প্রয়োজনীয় জলের জন্য ইতিমধ্যেই হাহাকার পড়ে গিয়েছে ভারতের 'সিলিকন ভ্যালি'তে।

 বলে রাখা ভালো, যে বেঙ্গালুরু বর্তমানে জলসঙ্কটে ভুগছে, সেই বেঙ্গালুরুই এক সময় পরিচিত ছিল ‘সিটি অফ লেকস’ (City of Lakes) নামে। বর্তমানে যদিও বেঙ্গালুরু বর্তমানে সেই তকমা হারিয়েছে। রাজস্থানের উদয়পুর ‘সিটি অফ লেকস’ নামে পরিচিত এখন। তবে এক সময়ে শহরের আনাচকানাচে বহু হ্রদ থাকায় এমন তকমা পেয়েছিল বেঙ্গালুরু। মনে করা হয়, এক সময় শহরে প্রায় ২৮৫টি হ্রদ ছিল। এর মধ্যে প্রাকৃতিক হ্রদের পাশাপাশি বেঙ্গালুরুর প্রতিষ্ঠাতা কেম্পে গৌড়ার নির্দেশে নির্মিত অনেকগুলি জলাধারও ছিল। তাহলে কীভাবে 'সিটি অফ লেকস’ থেকে জল সংকট বেঙ্গালুরুতে?

বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, যে বেঙ্গালুরুতে এক সময় প্রায় ৩০০ হ্রদ ছিল, তার অনেকগুলি বর্তমানে ‘উন্নয়নের জোয়ারে’ বুজে গিয়েছে। পাশাপাশি জলস্তরও দিনে দিনে নেমেছে বেঙ্গালুরুর। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, কংক্রিটের স্তূপের নীচে চাপা পড়েছে বেঙ্গালুরুর মাটি। ফলে বৃষ্টির জলও মাটির নীচ পর্যন্ত পৌঁছতে পারছে না। ভূগর্ভস্থ জলস্তর কমে যাওয়ার পাশাপাশি, বেঙ্গালুরুর জল সরবরাহের অব্যবস্থাও এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। এ ছাড়াও রয়েছে বৃষ্টিপাতের অভাব, শহরের মাত্রাতিরিক্ত জনসংখ্যা, নির্মাণকাজে জলের অতিরিক্ত ব্যবহার এবং জলের চাহিদা বৃদ্ধির মতো কারণ। জলস্তর কমে যাওয়ায় বেঙ্গালুরু-সহ কর্নাটকের হাজার হাজার নলকূপের জলও শুকিয়ে গিয়েছে। আর সেই সব কারণ মিলিয়েই এই বিপত্তি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। তবে গ্রীষ্মের মরসুমে বেঙ্গালুরুর জল সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা। হিসাব বলছে, শুধুমাত্র বেঙ্গালুরুতেই প্রায় ৩০০০ নলকূপের জল শুকিয়ে গিয়েছে। রাজস্ব বিভাগের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, জল নিয়ে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে কর্নাটকের তুমাকুরু জেলা। এ ছাড়াও রয়েছে উত্তর কন্নড়ের জেলাগুলি। রাজ্য সরকার বেঙ্গালুরু-সহ কর্নাটকের এমন ৭০০টিরও বেশি গ্রাম চিহ্নিত করেছে যেগুলি গরম বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি তীব্র জলের সঙ্কটের সম্মুখীন হতে পারে। তাহলে কি কেপটাউনের মতো বেঙ্গালুরুও একই বিপর্যের মধ্যে দিয়ে যাবে? এই প্রশ্নের উত্তর জানা নেই বিশেষজ্ঞদেরও।


IPL Auction 2025 | আইপিএল ২০২৫র নিলামে রেকর্ড ঋষভ পন্থের! ২৭ কোটিতে কিনলো লখনউ
Mohun Bagan vs Jamshedpur FC । ড্র থেকে কামব্যাক সবুজ মেরুনের, জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ৩:০ ব্যবধানে জয় পেল মোহনবাগান
Ind vs Aus । পারথে যশস্বী ম্যাজিক, যোগ্য সঙ্গত কে এল রাহুলের, ১৭২ রানের পার্টনারশিপে অপরাজিত ভারত
India vs Australia । "বুমরাহর বুমেরাং " ! পার্থে প্রথম টেস্টে টানটান উত্তেজনা, বুমরাহ ম্যাজিকে দুর্দান্ত কামব্যাক টিম ইন্ডিয়ার
১০০ টি দারুন সব আজব ফ্যাক্ট | Unique & Interesting Facts in Bangla
২১ টি সেরা যোগাসন এবং তাদের উপকারিতা সঙ্গে ছবি | 21 yoga poses and their benefits with photo
'লক্ষ্মীর ভান্ডার' প্রকল্প চালু করছেন মুখ্যমন্ত্রী, বাংলার গৃহবধূরা প্রতিমাসে পাবে হাজার টাকা হাতখরচ