Ballon d'Or 2023 | অষ্টমবার বিশ্বসেরা মেসি-ই! নিজের রেকর্ড ভাঙলেন নিজেই! ব্যালন ডি'অর হাতে নিয়ে মারাদোনাকে উৎসর্গ লিওনেলের!
ব্যালন ডি'অর ২০২৩ জয় করলেন লিওনেল মেসিই। এই নিয়ে মেসি ব্যালন ডি অর জিতলেন অষ্টমবার। ব্যালন ডি'অর ২০২৩ এর ট্রফি মেসি উৎসর্গ করলেন কিংবদন্তি মারাদোনাকে। দেখুন ব্যালন ডি'অর ২০২৩ র্যাঙ্কিং- এ কে রয়েছে কোন স্থানে।
জয়ের সীমা নেই এই কিংবদন্তি ফুটবলারের কাছে। একের পর এক রেকর্ডও গড়ছেন তিনি। ফুটবলের রাজা বললে ভুল হবে না। গত বছর বিশ্বকাপে জিতে নিজের ও বিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি ফ্যানেদের স্বপ্নপূরণ করেছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা। এবার ফের আরেকবার ব্যালন ডি'অর জিতলেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। এই নিয়ে মেসি ব্যালন ডি অর (Messi Ballo d or) আটবার! আর্লিং হালান্ডকে পিছনে ফেলে দিয়ে ব্যালন ডি'অর ২০২৩ (Ballon d'Or 2023) জয় করলেন মেসি।
বিশ্বকাপ জেতার পরেই সমর্থকরা বুঝে গিয়েছিলেন, ২০২৩ ব্যালন ডি'অর (2023 Ballon d'Or) জিততে চলেছেন লিওনেল মেসি। এই গুঞ্জন আরও বেড়ে যায় যখন ইউরোপের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়ে দেয় মেসির হাতেই উঠছে বিশ্বসেরার ট্রফি। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হয়ে গেল মেসি ব্যালন ডি অর (Messi Ballo d or) জয়ের খবর। প্যারিসের তিয়াটর দুশাতলে-তে জানিয়ে দেওয়া হয়, ২০২৩ ব্যালন ডি'অর (2023 Ballon d'Or) জিতেছেন মেসি। বিশ্বকাপ জয়ের পর প্রথমবার এই খেতাব উঠল আর্জেন্টিনার মহাতারকার হাতে। মঞ্চে দাঁড়িয়েই মেসি জানান, এই ট্রফি কিংবদন্তি দিয়েগো মারাদোনাকে (Diego Maradona) উৎসর্গ করছেন তিনি। উল্লেখ্য, সোমবারই ছিল মারাদোনার জন্মদিবস। সেদিনই প্যারিসে আয়োজিত হয় পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। ব্যালন ডি'অর ২০২৩ (Ballon d'Or 2023) এর ট্রফি নিয়ে মেসি বলেন, কিংবদন্তি মারাদোনাকে জন্মবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁকেই উৎসর্গ করেন পুরস্কারটি।
২০২৩ সালে বর্ষসেরা হওয়ার দৌড় থেকে প্রথমেই ছিটকে গিয়েছিলেন মেসির প্রবলতম প্রতিপক্ষ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo)। ব্যালন ডি'অর ২০২৩ র্যাঙ্কিং (Ballon d'Or 2023 Rankings) অনুযায়ী বিশ্বসেরার দৌড়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন নরওয়ের তরুণ তারকা আর্লিং হালান্ড (Arling Haaland)। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছেন কিলিয়ান এমবাপে (Kylian Mbappe) ও কেভিন ডি’ব্রুইন (Kevin De Bruyne)। দেখে নিন এই তালিকায় আর কে কে রয়েছেন।
ব্যালন ডি'অর ২০২৩ র্যাঙ্কিং । Ballon d'Or 2023 Rankings :
- ১ম স্থান - লিওনেল মেসি (ইন্টার মিয়ামি এবং আর্জেন্টিনা)
- ২য় স্থান - এরলিং হ্যাল্যান্ড (ম্যান সিটি এবং নরওয়ে)
- ৩য় স্থান- কাইলিয়ান এমবাপ্পে (পিএসজি এবং ফ্রান্স)
- ৪র্থ স্থান - কেভিন ডি ব্রুইন (ম্যান সিটি এবং বেলজিয়াম)
- ৫ম স্থান- রডরি (ম্যান সিটি এবং স্পেন)
- ৬ষ্ঠ স্থান - ভিনিসিয়াস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ ও ব্রাজিল)
- ৭ম স্থান - জুলিয়ান আলভারেজ (ম্যান সিটি এবং আর্জেন্টিনা)
- ৮মস্থান - ভিক্টর ওসিমেন (নাপোলি ও নাইজেরিয়া)
- ৯ম স্থান - বার্নার্ডো সিলভা (ম্যান সিটি এবং পর্তুগাল)
- ১০ম স্থান - লুকা মদ্রিচ (রিয়াল মাদ্রিদ ও ক্রোয়েশিয়া)
- ১১তম স্থান - মো সালাহ (লিভারপুল ও মিশর)
- ১২তম স্থান - রবার্ট লেভান্ডোস্কি (বার্সেলোনা এবং পোল্যান্ড)
- ১৩তম স্থান - ইয়াসিন বাউনো (আল হিলাল এবং মরক্কো)
- ১৪তম স্থান - ইল্কে গুন্দোগান (বার্সেলোনা এবং জার্মানি)
- ১৫তম স্থান - এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (অ্যাস্টন ভিলা এবং আর্জেন্টিনা)
- ১৬তম স্থান - করিম বেনজেমা (আল-ইত্তিহাদ এবং ফ্রান্স)
- ১৭তম স্থান - খভিচা কোয়ার্টসখেলিয়া (নাপোলি এবং জর্জিয়া)
- ১৮স্থান- জুড বেলিংহাম (রিয়াল মাদ্রিদ ও ইংল্যান্ড)
- ১৯তম স্থান - হ্যারি কেন (বায়ার্ন মিউনিখ এবং ইংল্যান্ড)
- ২০তম স্থান - লাউতারো মার্টিনেজ (ইন্টার মিলান এবং আর্জেন্টিনা)
- ২১তম স্থান - অ্যান্টোইন গ্রিজম্যান (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ এবং ফ্রান্স)
- ২২তম স্থান - কিম মিন-জে (বায়ার্ন মিউনিখ এবং দক্ষিণ কোরিয়া)
- ২৩তম স্থান - আন্দ্রে ওনানা (ম্যান ইউনাইটেড এবং ক্যামেরুন)
- ২৪ তম স্থান - বুকায়ো সাকা (আর্সেনাল এবং ইংল্যান্ড)
- ২৫ তম স্থান - জোসকো গারদিওল (ম্যান সিটি এবং ক্রোয়েশিয়া)
- ২৬ স্থান - জামাল মুসিয়ালা (বায়ার্ন মিউনিখ এবং জার্মানি)
- ২৭তম স্থান - নিকোলো বারেলা (ইন্টার মিলান এবং ইতালি)
- ২৮তম স্থান - রান্ডাল কোলো মুয়ানি (পিএসজি এবং ফ্রান্স)
- ২৯তম স্থান - মার্টিন ওডেগার্ড (আর্সেনাল এবং নরওয়ে)
- ৩০ তম স্থান - রুবেন ডায়াস (ম্যান সিটি এবং পর্তুগাল)
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে এই পুরস্কার জিতেছিলেন করিম বেঞ্জেমা (Karim Benzema)। এর আগে ২০২১ সালে শেষবার ব্যালন ডি’অর পেয়েছিলেন মেসি। মেসি প্রথম এই পুরস্কার পান ২০০৯ সালে। এরপর ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫, ২০১৯, ২০২১ ও ২০২৩ সালে মোট আটবার ট্রফি জিতলেন বিশ্বকাপজয়ী তারকা। তবে এই পুরস্কারটা মেসির কাছে অন্যান্যবারের থেকে একটু বেশি স্পেশ্যাল। কারণ প্যারিস! গত মরশুমে প্যারিস সাঁ জাঁ ছাড়ার আগে মেসিকে সেই ক্লাব সাসপেন্ড করেছিল। অভিমানে প্যারিস ছেড়ে মায়ামিতে চলে যান লিওনেল। তবে এবার সেই প্যারিসেই এসে সোনার বল হাতে ইতিহাস তৈরী করে ফিরবেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে মেসির হাতে ব্যালন ডি অর তুলে দেন প্রাক্তন কিংবদন্তী ইংল্যান্ড ফুটবলার ও মেসির বর্তমান ক্লাব ইন্টার মিয়ামির অন্যতম কর্ণধার ডেভিড বেকহ্যাম (David Beckham)। এদিন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন দিদিয়ের দ্রোগবা (Didier Drogba), নোভাক জকোভিচের (Novak Djokovic) মত তারকারা। এদিন পুরস্কারের মঞ্চে সপরিবারে উপস্থিত ছিলেন মেসি।
উল্লেখ্য, এবার ব্যালন ডি'অর দৌড়ে মেসির সঙ্গে ছিলেন ম্যানচেস্টার সিটির তারকা এরলিং হাল্যান্ড ও ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে। এই প্রতিযোগিতায় গোলকিপারদের মধ্যে সেরা স্থান পান এমিলিয়ানো মার্তিনেজ (Emiliano Martínez)। এছাড়া এই অনুষ্ঠানে সেরা তরুণ খেলোয়াড় হয়েছেন ইংল্যান্ড ও রিয়াল মাদ্রিদের প্লেয়ার জুড বেলিংহাম (Jude Bellingham)। মহিলাদের মধ্যে বর্ষসেরা হয়েছেন আইতানা বোনামাতি(Aitana Bonamati)। এছাড়াও পুরুষদের বর্ষসেরা ক্লাবের তকমা পায় ম্যানচেস্টার সিটি (Manchester City), মহিলাদের বর্ষসেরা ক্লাব-বার্সেলোনা (Barcelona), গার্ড মুলার ট্রফি- এরলিং হাল্যান্ড (Erling Haaland) এবং সক্রেটিস অ্যাওয়ার্ড পান ভিনিশিয়াস জুনিয়র (Vinicius Junior)।