দেশ

Aditya L1 Mission | সেলফি পাঠালো 'আদিত্য এল ১'! পৃথিবী ও চাঁদের ছবি ভিডিও আকারে প্রকাশ ইসরোর ! চাঁদের লক্ষ্যে এবার চন্দ্রযান পাঠালো জাপান!

Aditya L1 Mission | সেলফি পাঠালো 'আদিত্য এল ১'! পৃথিবী ও চাঁদের ছবি ভিডিও আকারে প্রকাশ ইসরোর ! চাঁদের লক্ষ্যে এবার চন্দ্রযান পাঠালো জাপান!
Key Highlights

সূর্যের দিকে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে আদিত্য এল ১। স্বাভাবিকভাবেই চলছে আদিত্য এল ১ মিশন। নিজের সেলফির সঙ্গে পৃথিবী ও চাঁদের ছবি পাঠালো ভারতের প্রথম সৌরযান। চাঁদের উদ্দেশ্যে মহাকাশযান পাঠালো জ্যাক্সা, পূর্ণ রূপ জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি।

চন্দ্রযান-৩ (ISRO Chandrayaan-3) এর পর এবার আদিত্য এল ১ (Aditya L 1)। অন্ধকার, সীমাহীন মহাকাশে ভাসতে ভাসতে নিজের গন্তব্যের দিকে এগিয়ে চলার সময় সেলফি তুলে পাঠালো ভারতের (India) প্রথম সৌরযান। সূর্যের দিকে 'এল পয়েন্টে'র উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় পৃথিবী এবং চাঁদের ছবি তুলে পাঠিয়েছে আদিত্য।

আজ অর্থাৎ ৭ই সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার সকালে ট্যুইটারে (অধুনা এক্স হ্যান্ডেল) সৌরযান আদিত্য এল ১ (Aditya L1) -এর তোলা ওইউ ছবিগুলি ভিডিওর আকারে প্রকাশ করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (Indian Space Research Organization) অর্থাৎ ইসরো (ISRO)। ছবি পোস্ট করার পাশাপাশি আদিত্য এল ১ মিশনের (Aditya L1 Mission) আপডেটও দিয়েছে ইসরো। জানানো হয়েছে,  'আদিত্য-এল ১ অভিযান: প্রত্যক্ষদর্শী! আদিত্য এল ১ (Aditya L1) সূর্যের ল্যাগ্রেঞ্জ এল১ পয়েন্টের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। পথে সেলফি তুলেছে সে। ছবি তুলেছে পৃথিবী এবং চাঁদেরও'। ইসরোর তরফ থেকে পোস্ট করা ৪১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওর শুরুতে ভারতীয় সৌরযানের তোলা সেলফি তুলে ধরা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে সৌরযান আদিত্য এল ১ (Aditya L1)-এর সেলফিতে ভিসিবল এমিসন লাইন করোনাগ্রাফ (VELC) এবং 'সোলার আল্ট্রাভায়োলেট ইমেজিং টেলিস্কোপ' (SUIT)।

ইসরো জানিয়েছে, এখনও পরিকল্পনা মাফিক, স্বাভাবিকভাববেই চলছে আদিত্য এল ১ মিশন (Aditya L1 Mission)। ক্রমশ সূর্যের দিকে এগিয়ে চলা ভারতীয় সৌরযানে বসানো ক্যামেরার তোলা পৃথিবী এবং চাঁদের ছবিতে দেখা যায়, ঘন কালো আকাশে আলোয় উদ্ভাসিত পৃথিবীর একদিক। তার ডানদিকে চোখে পড়ছে একটি চলমান বিন্দু। সেটিই চাঁদ বলে জানিয়েছে ইসরো। যে চাঁদে এখন 'ঘুমিয়ে' আদিত্য এল ১-র পরিবারের সদস্য চন্দ্রযান-৩ (ISRO Chandrayaan-3) এর প্রজ্ঞান ও বিক্রম।

উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা (Sriharikota, Andhra Pradesh) থেকে আদিত্য এল ১ (Aditya L1)সৌরযানের উৎক্ষেপণ হয়। এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর চারিদিকে দু'বার চক্কর কেটেছে সেটি। ১৫ লাখ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে সূর্যের ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট এল১-এ পৌঁছনোর আগে, আরও দু'বার গতি বাড়িয়ে চক্কর কাটবে সে। এরপর ১২৫ দিন পর ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট এল ১-এ পৌঁছাবে ভারতের সৌরযান।

অন্যদিকে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ঘুমাচ্ছে ইসরোর চন্দ্রযান ৩ (ISRO Chandrayaan 3)। ২৩সে অগাস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে ইতিহাস গড়েছে ভারতের তৃতীয় চন্দ্রযান। সেই অভিযানে যোগ দিয়েছিলো রাশিয়ার চন্দ্রযান লুনা (Russian lunar probe Luna )। তবে অবতরণের আগেই চাঁদের মাটিতে আছড়ে পরে সে। তবে এবার চাঁদে রকেট পাঠিয়েছে জাপান (Japan)। চাঁদের বুকে অনুসন্ধান চালাতে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি H-IIA মহাকাশযানের উৎক্ষেপণ করল জাপান।

আজ, বৃহস্পতিবার উৎক্ষেপণ করা হয় এই চন্দ্রযান। জ্যাক্সা পূর্ণ রূপ জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (Jaxa Full Form Japan Aerospace Exploration Agency) জানিয়েছে, দেশের দক্ষিণের তানেগাশিমা স্পেস সেন্টার (Tanegashima Space Center) থেকে সফল উৎক্ষেপণ হয়  ল্যান্ডার স্লিম (Smart Lander for Investigation Moon)-সহ তাদের মহাকাশযানটির।  গত মাসেই ওই মহাকাশযান উৎক্ষেপণের কথা ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য উৎক্ষেপণের দিন পিছিয়ে আনা হয়। জাপানের এই মহাকাশযানকে  স্নাইপার (Sniper) অর্থাৎ শিকারি বলেও উল্লেখ করছেন জ্যাক্সা পূর্ণ রূপ জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (Jaxa Full Form Japan Aerospace Exploration Agency) এর বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে, চন্দ্রপৃষ্ঠে নিজের লক্ষ্যের ১০০ মিটারের মধ্যেই অবতরণ করবে 'স্লিম'। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে জাপানের মহাকাশযানটি।

জ্যাক্সা পূর্ণ রূপ জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (Jaxa Full Form Japan Aerospace Exploration Agency) এর আগে, ২০২২ সালে দু’বার চন্দ্রাভিযানের পরিকল্পনা করে। কিন্তু দু’বারই ব্যর্থ হয় তারা। নভেম্বর মাসে অবতরণের আগে  ওমোতেনাশি (OMOTENASHI) ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার আগে, গতবছর এপ্রিল মাসে স্টার্টআপ সংস্থা আইস্পেস (ispace)-এর তৈরি হাকুটো আর মিশন ১ (Hakuto-R Mission 1) ল্যান্ডারও চাঁদের মাটি ছুঁতে ব্যর্থ হয়। তবে জ্যাক্সা পূর্ণ রূপ জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (Jaxa Full Form Japan Aerospace Exploration Agency) জানিয়েছে, এবার যে H-IIA মহাকাশযান পাঠানো হয়েছে, তাতে এক্সরে ইমেজিং এবং স্পেকট্রোস্কোপি (XRISM) নামের একটি কৃত্রিম উপগ্রহ রয়েছে। এছাড়াও অনুকুল পরিবেশ দেখে নয়, যেখানে ইচ্ছে, সেখানে অবতরণ করতে পারে ল্যান্ডার স্লিম। পৃথিবী থেকে কালো দাগ হিসেবে দৃশ্যমান, চাঁদের Mare Nectaris সমুদ্রের পাড়েই আপাতত সেটিকে নামানোর লক্ষ্য রয়েছে জ্যাক্সা পূর্ণ রূপ জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (Jaxa Full Form Japan Aerospace Exploration Agency) এর। এছাড়াও জানা গিয়েছে, মহাকাশযানটিতে কোনও রোভার নেই। ল্যান্ডারই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে।

উল্লেখ্য, আমেরিকার মহাকাশযান নাসা (NASA), ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (European Space Agency) এবং জ্যাক্সা-র যৌথ অভিযান এটি। H-IIA মহাকাশযানটি তৈরি করেছে মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ ( Mitsubishi Heavy Industries)। এই নিয়ে ২০০১ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ৪৭তম মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করল জাপান। এই অভিযানে খরচ পড়েছে ১০০ মিলিয়ন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।