Yoga For Migraine | মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে মুঠো মুঠো ওষুধ সেবন নয়, অভ্যাস করুন এই কয়েকটি যোগা! ফল পাবেন হাতেনাতে!

Wednesday, June 19 2024, 8:35 am
highlightKey Highlights

মাইগ্রেনের ক্ষেত্রে মাথার একপাশে কম্পন দিয়ে মাঝারি বা তীব্র ধরনের ব্যথা হয়। কখনো কখনো এই ব্যথা মাথার একপাশে শুরু হয়ে ধীরে ধীরে ওই পাশের পুরো স্থান জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। যারা এই সমস্যায় ভুগে থাকেন তাদের বেশিরভাগই এই ব্যথা কমানোর জন্য প্রচুর ওষুধ খেয়ে থাকেন। তবে তাতে সাময়িক স্বস্তিই মেলে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে এবং নিয়ন্ত্রণ করতে বড় সাহায্য করতে পারে যোগাসন।


মাথা ব্যথা হয়না এমন মানুষ খুঁজলে খুব কমই পাওয়া যাবে। প্রাপ্তবয়স্ক প্রায় সকলেই মাথা ব্যথার সমস্যায় ভুগে থাকেন। আবার অনেকের মাঝেমাঝেই মাথার বাম পাশে কিংবা মাথার পিছন দিকটায় ব্যথা করে। এই ধরণের মাথা ব্যথার বড় কারণ হলো মাইগ্রেন (migraine)। এই ধরণের মাথা ব্যথার ক্ষেত্রে মাথার একপাশে কম্পন দিয়ে মাঝারি বা তীব্র ধরনের ব্যথা হয়। কখনো কখনো এই ব্যথা মাথার একপাশে শুরু হয়ে ধীরে ধীরে ওই পাশের পুরো স্থান জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। আবার মাইগ্রেনের সমস্যায় কখনো কখনো ব্যাথার সঙ্গে দৃষ্টি বিভ্রম বা বমি বমি ভাবও অনুভব হতে পারে। যারা এই সমস্যায় ভুগে থাকেন তাদের বেশিরভাগই এই ব্যথা কমানোর জন্য প্রচুর ওষুধ খেয়ে থাকেন। তবে তাতে সাময়িক স্বস্তিই মেলে। কিছুক্ষণ পর আবার শুরু হয় সেই তীব্র মাথা ব্যথা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে এবং নিয়ন্ত্রণ করতে বড় সাহায্য করতে পারে যোগাসন। 

মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে উপশম পেতে কোন কোন যোগাভ্যাস করবেন? । Yoga to Get Relief from Migraine Pain : 

মাইগ্রেনের যন্ত্রণা ওষুধ খেয়ে পুরোপুরি নির্মূল করা যায় না। জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে না পারলে এই ধরনের যন্ত্রণা বশে রাখা সম্ভব নয়। তাই যোগ প্রশিক্ষকেরা বলছেন, নিয়মিত কিছু যোগাসন করে এই ধরনের সমস্যাকে বশে রাখা যায়।

Trending Updates

পদ্মাসন । Padmasana :

পদ্মাসন করার জন্য পা দুটি সামনে ছড়িয়ে সোজা হয়ে বসতে হবে। এরপর ডান পা হাঁটুর কাছ থেকে ভেঙে বাঁ জানুর ওপর এমন ভাবে রাখতে হবে যাতে ডান পায়ের গোড়ালী তলপেটে বাঁ দিকের মূলাধার স্পর্শ করে। এখন বাঁ পা হাঁটুর কাছ থেকে ভেঙে ডান পায়ের উপর এমনভাবে রাখতে হবে, যাতে বাঁ পায়ের গোড়ালী ডান দিকের মূলাধার স্পর্শ করে। এই অবস্থায় যাতে হাঁটু ভূমি থেকে না উঠে পড়ে, সে দিকে দৃষ্টি রাখা জরুরি। এই আসনে অবস্থানকালে শির, গ্রীবা ও মেরুদণ্ড সোজা ও সরলভাবে তাকবে। হাত দুটি পাশের ছবির মতো কোলের উপর রাখলে ভালো হয়।

পদ্মাসনের উপকারিতা (Padmasana Benefits) : এই আসন অভ্যাসে মাইগ্রেনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে তো থেকেই পাশাপাশি পায়ের বাত ইত্যাদি দূর হয়। পদ্মাসন একটি শারীরিক অবস্থান, যাতে মেরুদণ্ড বাঁকে না। ফলে পদ্মাসনের উপকারিতা (Padmasana Benefits) সার্বিক শরীর সুস্থ্য থাকে।

 পশ্চিমোত্তনাসন । Paschimottanasana :

পশ্চিমোত্তনাসন করার জন্য প্রথমে দুই পা টানটান করে সোজা হয়ে বসতে হবে। এরপর শ্বাস নিতে নিতে দুই হাত মাথার উপরে তুলতে হবে। এবার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হাতসহ কোমর থেকে সামনের দিকে বেশ খানিকটা ঝুঁকে মুখ হাঁটুতে স্পর্শ করতে হবে। 

পশ্চিমোত্তনাসনের উপকারিতা (Paschimottanasana Benefits) :  পশ্চিমোত্তনাসনের উপকারিতা (Paschimottanasana Benefits) মাইগ্রেনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করার সঙ্গে সঙ্গে সায়াটিকা হওয়ার সম্ভাবনা কমায়, মনকে শান্ত করতে এবং শরীরে প্রশান্তিদায়ক প্রভাব প্রদান করে উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। 

পদাহস্তাসন । Padahastasana :

পদাহস্তাসন (Padahastasana) করার জন্য প্রথমে টানটান হয়ে দাঁড়ান। স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। এ বার কানের পাশ থেকে দুই হাত তুলে মাথার উপরে রাখুন। এবার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে সামনের দিকে ঝুঁকে পায়ের পাতা স্পর্শ করুন। তবে এই সময়ে খেয়াল রাখতে হবে, হাঁটু যেন ভেঙে না যায়। 

পদাহস্তাসনের উপকারিতা (Padahastasana Benefits):  এই যোগাসন ডায়াবিটিস, ক্ষুধামান্দ্য, অজীর্ণ প্রভৃতি রোগের উপকার দিতে পারে। পেটের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে বেশ কার্যকর এই আসনটি। মানসিক উদ্বেগ কমাতেও সহায়তা করতে পারে।

সেতুবন্ধনাসন । Setu Bandhasana :

সেতুবন্ধনাসন (Setu Bandhasana) করার জন্য প্রথমে মাটিতে চিত হয়ে শুয়ে পড়তে হবে। এরপর হাঁটু ভাঁজ করে পা দু’টো নিতম্বের কাছে রেখে ধীরে ধীরে মাটি থেকে কোমর তুলে ধরতে হবে। এ বার দুই হাত টান টান করে, গোড়ালি স্পর্শ করার চেষ্টা করতে হবে। 

সেতুবন্ধনাসনের উপকারিতা (Setu Bandhasana Benefits) :  মাইগ্রেনের ব্যথা উপশম করতে সেতুবন্ধনাসনের উপকারিতা (Setu Bandhasana Benefits) বিশেষভাবে উল্লেখ্য। তবে এই যোগার ভালো ফল পেতে দিনে ৪ থেকে ৫ বার অভ্যাস করুন।

 প্রসঙ্গত, মাইগ্রেন নানান কারণে হতে পারে, যেমন- মস্তিষ্কের অস্বাভাবিক কার্যক্রম, হরমোনজনিত পরিবর্তন, শারীরিক বিভিন্ন কারণ, খাদ্যাভাস। মাইগ্রেনের সে ধরনের কোনো চিকিৎসা নেই। তবে চিকিৎসকের পরামর্শে থেকে নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাপন মাইগ্রেনকে এড়িয়ে চলতে অনেকাংশে সাহায্য করে। আর এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে যোগাসন।




পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File