Women Safety | নাইট শিফটে কর্মরত মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে সরব রাজ্য, জারি একগুচ্ছ নিয়ম-নীতি!

Thursday, July 31 2025, 1:09 pm
highlightKey Highlights

রোজ বহু মহিলা নাইট শিফটের চাকরি (night shift jobs​) করে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে তাদের সারারাত অফিসেই থাকতে হয়, আবার অনেক ক্ষেত্রে তাদের মাঝরাতে বাড়িতে ফিরতে হয়। কিন্তু এখনও ভারতে নারী নিরাপত্তার (women safety in india​) একাধিক গলদ রয়েছে। তবে এবার রাতের কলকাতায় নারী নিরাপত্তা (women safety​) নিশ্চিত করতে নয়া নীতি তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। কী কী নিয়ম মানতে হবে সংস্থাগুলিকে? এই নয়া নীতি না মানলেই বা কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে? জেনে নিন সবিস্তারে।


রোজ বহু মহিলা নাইট শিফটের চাকরি (night shift jobs​) করে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে তাদের সারারাত অফিসেই থাকতে হয়, আবার অনেক ক্ষেত্রে তাদের মাঝরাতে বাড়িতে ফিরতে হয়। কিন্তু এখনও ভারতে নারী নিরাপত্তার (women safety in india​) একাধিক গলদ রয়েছে। তবে এবার রাতের কলকাতায় নারী নিরাপত্তা (women safety​) নিশ্চিত করতে নয়া নীতি তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। কী কী নিয়ম মানতে হবে সংস্থাগুলিকে? এই নয়া নীতি না মানলেই বা কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে? জেনে নিন সবিস্তারে।

কোন কোন ক্ষেত্রে লাগু হবে এই নয়া নীতি?

নারী নিরাপত্তা (women safety​) নিয়ে জারি করা রাজ্যের এই নয়া নীতি অনুযায়ী, রাত ৮:০০ টা থেকে সকাল ৬:০০ টা পর্যন্ত যে সব সংস্থায় কাজ হয় তাদের ক্ষেত্রে নয়া নীতি প্রযোজ্য হবে। বিশেষ করে আইটি অফিস (it office​) বা তথ্যপ্রযুক্তি, স্বাস্থ্য এবং জরুরি পরিষেবা, হোটেল গেস্ট হাউস, পরিবহণ এবং সংবাদমাধ্যমের ক্ষেত্রে লাগু হবে এই নয়া নীতি।

কী কী নিয়ম মানতে হবে?

  • আইটি অফিস (it office​) বা তথ্যপ্রযুক্তি, স্বাস্থ্য এবং জরুরি পরিষেবা, হোটেল গেস্ট হাউস, পরিবহণ এবং সংবাদমাধ্যমে যে সকল মহিলারা কাজ করেন তাদের রাতের শিফটে কাজ করা বাধ্যতামূলক নয়।
  • নাইট শিফটে কাজ করতে আগ্রহী কি না, সে বিষয়ে লিখিত সম্মতি নিতে হবে মহিলা চাকুরীজীবির কাছ থেকে।
  • নিয়োগকর্তাদের নাইট শিফটে কর্মরত মহিলা কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ এবং বিনামূল্যে পরিবহণের ব্যবস্থা বাধ্যতামূলকভাবে করতে হবে।
  • সেই সব গাড়িতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত চালক রাখতে হবে। সঙ্গে থাকতে হবে GPS ট্র্যাকিং ব্যবস্থা। সম্ভব হলে, নিরাপত্তা কর্মী দিতে হবে মহিলা কর্মীর গাড়িতে।
  • নাইট শিফটে কমপক্ষে ১০ জন মহিলা অথবা মোট শিফটের এক তৃতীয়াংশ সদস্য মহিলা হতে হবে।
  • সংস্থায় নাইট শিফটে কর্মরত মহিলা কর্মীদের জন্য পৃথক এবং স্বাস্থ্যকর শৌচালয় ও বিশ্রামের জায়গা থাকা আবশ্যিক।
  • ৫০ জনেরও বেশি মহিলা রয়েছেন এমন অফিসে ক্যান্টিনের ব্যবস্থা এবপং ন্যুনতম প্রাথমিক চিকিৎসার পরিকাঠামো ব্যবস্থা থাকতে হবে।
  • নাইট শিফটে কর্মরত মহিলারা অফিসে থাকলে প্রয়োজনে বাইরে যেতে পারেন, সেক্ষেত্রে সে সব জায়গায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকতে হবে।
  • নারী নিরাপত্তার (women safety​) জন্য রাতের বেলায় প্রতিষ্ঠানগুলিকে প্রশিক্ষিত নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করতে হবে। তাদের দিতে হবে নিয়মিত টহল। গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রাখতে হবে সিসিটিভি।

নয়া নীতি না মানলে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে?

সংস্থাগুলিতে তৈরী করতে হবে অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি। সেই কমিটির কাজ হলো কর্মক্ষেত্রে আচরণ সম্পর্কে নিয়মিত প্রশিক্ষণ পরিচালনা করা। যে কোনও ধরনের যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে জ়িরো টলারেন্স নীতির প্রয়োগ জরুরি। অপ্রীতিকর ঘটনা অবিলম্বে শ্রম বিভাগ এবং স্থানীয় থানায় জানানো আবশ্যিক। জরুরি যোগাযোগের নম্বর অফিসের বিভিন্ন‍ জায়গায় টাঙিয়ে রাখতে হবে। পাশাপাশি মেয়েদের রাতের শিফটে কাজের বিশদ বিবরণ তিনমাস অন্তর শ্রম কমিশনারের কাছে বাধ্যতামূলকভাবে জমা দিতে হবে।

এক সময়ে নারীদের বাড়ির বাইরে এক বেরোনোর অধিকার ছিল না। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে সেই চিন্তাধারা। এখন মেয়েরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে, চাকরি করছে, ব্যবসা করছে, দেশকে রক্ষা করছে এমনকি দেশও চালাচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এখনও নিরাপদ নয় নারীরা। চাকরি করতে গিয়ে সহকর্মী বা উচ্চপদস্থ কর্মীদের দ্বারা হোক কিংবা অফিস থেকে ফেরার সময় রাস্তায়-নারীদের ওপর যৌন হেনস্থা, ধর্ষণের ঘটনা রোজই হয়ে চলেছে। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নাইট শিফট করে হাসপাতালের এক সেমিনার রুমে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন ডাক্তারি পড়ুয়া 'তিলোত্তমা'। কিন্তু এরপরই তাঁকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এই ঘটনায় এক সিভিক ভলেন্টিয়ার দোষী সাবস্ত হন এবং তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়। কিন্তু এই ঘটনা নাড়িয়ে দেয় গোটা দেশকে। ওঠে নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন। যে সকল মহিলারা নাইট শিফটের চাকরি (night shift jobs​) করেন তাদের নিরাপত্তা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। এরপরই সরকার এবং বিভিন্ন সংস্থা থেকে একাধিক নিয়ম নীতি তৈরী করা হয়।




পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File