রাজ্য

Bird Pets Ban | বাড়িতে আর খাঁচাবন্দি করে রাখা যাবে না পায়রা-বদ্রি-টিয়া! পাখি পোষা নিয়ে জারি হবে নিষেধাজ্ঞা!

Bird Pets Ban | বাড়িতে আর খাঁচাবন্দি করে রাখা যাবে না পায়রা-বদ্রি-টিয়া! পাখি পোষা নিয়ে জারি হবে নিষেধাজ্ঞা!
Key Highlights

দেশী পাখি আর পোষা যাবে না বাড়িতে। বিদেশি পাখি পুষতে হলে দিতে হবে ভালো পরিমাণ টাকা। থাকতে হবে ছাড়পত্রও। আগামী মাস থেকেই চালু হতে পারে নিয়ম।

'যা পাখি উড়তে দিলাম তোকে'...! হয়তো  ঠিক এমনটা বলেই উড়িয়ে দিতে হবে বাড়ির পোষ্য পাখিকে। অনেকেই শখে এবং ভালোবাসায় বাড়িতে পাখি পুষে থাকেন। পায়রা টিয়া, বদ্রি, কাকাতুয়ার মত ভিন্ন প্রজাতির দেশী বিদেশী পাখি খাচা বন্দি করে রাখেন রাজ্যের অসংখ্য মানুষ। তবে পোষ্য হিসেবে আর রাখা যাবে না পাখি। গতকাল অর্থাৎ ২৬ শে জুলাই বুধবার বাড়িতে পাখি পোষা নিয়ে নিষেধাজ্ঞার কথা জানালেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (State Forest Minister Jyotipriya Mallick)।

বুধবার বিধানসভার অধিবেশন শেষে রাজ্যের বনমন্ত্রী জানান, শখ মেটাতে বাড়িতে আর পাখি পোষা যাবে না। বিশেষত আর খাঁচা বন্দি করে রাখা যাবে না দেশি পাখি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এদিন জানান, বন্য হোক বা টিয়া পায়রা কাকাতুয়ার মত গৃহপালিত পাখি কোনটাই আর বাড়িতে পোষা যাবে না। পাখিকে আর খাঁচা বন্দি করে রাখা যাবেনা উড়িয়ে দিতে হবে খোলা আকাশে।

মূলত দেশী পাখি বাড়িতে পোষার ক্ষেত্রেই নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে রাজ্য সরকার (State Government)। সূত্রের খবর, আগামী মাসে অর্থাৎ অগাস্ট মাসের শেষেই হয়তো লাগু হতে চলেছে এই নিয়ম। ফলে যাদের বাড়িতে খাঁচা বন্দি হয়ে রয়েছে দেশি পাখি তা ছেড়ে দিতে হবে। এরপর রাজ্যের কেউই শখে বাড়িতে পুষতে পারবেন না দেশি পাখি।

কেবল দেশি পাখি বাড়িতে পোষা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা নয়। বিদেশি পাখি পোষার ক্ষেত্রেও চালু হবে একাধিক নিয়ম। রাজ্যের কোন ব্যক্তি বিদেশি পাখি পশু হিসেবে রাখতে চাইলে তাকে বনদফতরের থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে। পাশাপাশি ফি বাবদ জমা দিতে হবে ১৫০০০ টাকা। প্রজননের জন্য এই পাখি বাড়িতে রাখা গেলেও পাখি নিয়ে কোন মেলা বা প্রদর্শনী করা যাবে না।

বিদেশি পাখি বাড়িতে পোষা যাবে। তবে তা দিয়ে মেলা করা যাবে না। বাড়িতে পাখি রাখার জন্য লাগবে বনদপ্তরের থেকে ছাড়পত্র।

বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

উল্লেখ্য, বেশ কয়েক মাস আগেই সেরা চিড়িয়াখানার শিরোপা পেয়েছে দার্জিলিং এর চিড়িয়াখানা। এরপর থেকে এই বিষয়ে বেশ সরব রাজ্যের বনদফতর। দার্জিলিংয়ে তৈরি করা হয়েছে পশুদের জন্য একটি হাসপাতাল। সেখানে রয়েছে ওপিডি ব্যবস্থা। এই পশুদের হাসপাতালে পাঁচ দিন পর্যন্ত ভর্তি রেখে চিকিৎসা করা যায় পশুদের। এছাড়াও আলিপুর চিড়িয়াখানাতেও (Alipore Zoo) তৈরি হয়েছে পশুদের হাসপাতাল।

সম্প্রতি, শহরবাসীর সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকদের বড় আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। নিউটাউন চিড়িয়াখানা (Newtown Zoo)। ইতিমধ্যে সেখানে রয়েছে নানা রকমের দেশি-বিদেশি পাখি, হরিণ সহ আরো একাধিক বন্য পশু পাখি। তবে এবার এই চিড়িয়াখানায় আসতে চলেছে আরো বড় আকর্ষণ। জানা গিয়েছে, আফ্রিকা (Africa) থেকে নিউটাউন চিড়িয়াখানায় আসতে চলেছে ছটি সিংহ। তানজানিয়া (Tanzania), কঙ্গো (Congo), মাসাইমারা (Masaimara) থেকে আনা হচ্ছে এই সিংহগুলি। এছাড়াও নিউটাউন চিড়িয়াখানায় আনা হচ্ছে ছটি বাঘও। বনমন্ত্রী জানান, চারটি মহিলা এবং দুটি করে পুরুষ বাঘ ও সিংহ আসবে নিউটাউন চিড়িয়াখানায়। শিলিগুড়ি বেঙ্গল সাফারিতেও আনা হবে ১২ টি বাঘ এবং ১২টি সিংহ।