গ্রাহক সংযোগ ও সামগ্রী পরিবহণ ব্যবস্থা সহজ করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের।
গ্রাহক সংযোগ উন্নত করতে ফের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে (North-East Border Railway)। গ্রাহকদের দ্বারা নানান সামগ্রীর পরিবহণ সহজ করে তুলতেই এই সিদ্ধান্ত। যার ফলে স্থানীয় অর্থনীতির পাশাপাশি লাভবান হবেন পরিবহনকারীরাও।
সূত্রের খবর, গ্রাহক সংযোগ ও পণ্য পরিবহণ আরও বৃদ্ধি করার জন্য ইতিমধ্যেই লামডিং ডিভিশনের মৈনারবন্দ স্টেশনকে স্টোন চিপস পরিচালনার জন্য বিকশিত করা হয়েছে। কৌশলগত মার্কেটিং প্রচেষ্টার ফলে স্টোন চিপের প্রথম রেক লোড করা হয়। এছাড়াও, ইন্দো-নেপাল সীমান্তে জোনাল স্তরে একটি সমঝোতা চুক্তি চূড়ান্ত করা হয় ইন্ডিয়ান কাস্টোম ইয়ার্ড (ICOY) এবং নেপাল কাস্টমস ইয়ার্ড (NCOY) পরিচালনার জন্য।
পাশাপাশি, ভারত ও নেপালের মধ্যে ক্রস বর্ডার ট্রাফিক চলাচল পরিচালনা করার লক্ষ্যে যৌথ ত্রিপাক্ষিক পরিদর্শন পরিচালনা করা হয় কাস্টমস, আইআরসিওএন এবং রেলওয়ের মধ্যেও। পরিকল্পিত মার্কেটিং প্রচেষ্টার ফলে আলিপুরদুয়ার ডিভিশন থেকে আলুর ৮.৫ রেক বুক করা হয়েছিল, যা ২০২৩-এর মার্চ মাসে অতিরিক্ত পণ্য রাজস্ব নিয়ে এসেছিল।
উল্লেখ্য, কোভিড পরবর্তী সময় থেকেই উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহণ বৃদ্ধির সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে পণ্যবাহী ট্রেন চালানোর সংখ্যাও। ভারতীয় রেলের আয়ের একটা বড় অংশ নির্ভর করে এই পণ্য পরিবহনের ওপর৷ পণ্য পরিবহণের ফলে বিভিন্ন শিল্প সংস্থার যেমন সুবিধা হয়, তেমনই সুবিধা হয় ব্যবসায়ীদের। কারণ তারা সময় মতো পণ্য পাঠিয়ে দিতে পারেন।
প্রসঙ্গত, পণ্যবাহী ট্রাফিক পরিবহণ ব্যবস্থা আরও উন্নত করার জন্য নানান পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের তরফ থেকে।এই বিষয়ে ভারতীয় রেলের আধিকারিকরা জানান, প্রতি মুহূর্তে যাবতীয় তথ্য-সহ সমস্ত বিষয় গ্রাহকদের জানানো হচ্ছে ৷ যার ফলেই বাড়ছে ভারতীয় রেলের পণ্য পরিবহণ। গ্রাহক সংযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং নতুন টার্মিনাল খোলার ফলে বৃদ্ধি পেয়েছে পণ্যবাহী ট্রেনের লোডিং ও আনলোডিং ব্যবস্থাও। যার ফলসরূপ হিসেবে আগামী বছরগুলিতে বৃদ্ধি পাবে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের রাজস্ব আয়।
- Related topics -
- দেশ
- উত্তর পূর্ব রেলওয়ে
- গ্রাহক সংযোগ