জেলের খাবারে আসছে বদল! উত্তরপ্রদেশের কারাগার পেল পাঁচ তারা FSSAI রেটিং

Saturday, September 3 2022, 10:42 am
highlightKey Highlights

জেলের খাবার মানেই অত্যন্ত খারাপ। দেশের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে এধরনের একটা ধারণা রয়েছে। তবে খুব শীঘ্রই এই ধারণা পাল্টানোর সময় এসেছে। কী হতে চলেছে, জানুন বিশদে


দেশের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে ধারণা রয়েছে যে জেলের খাবার মানেই তা অত্যন্ত নিম্নমানের। তবে এবার উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদের ফতেহগড় কেন্দ্রীয় কারাগারের খাবার দেখলে সেই ধারণা পাল্টাতে বাধ্য হবে সকলেই। বৃহস্পতিবার এই কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দিদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের জন্য ফাইভ স্টার রেটিং দিয়েছে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া।

পুষ্টিগত খাবারের দিকে দেওয়া হচ্ছে নজর, জেলের খাবারের মান হতে চলেছে উন্নত, কর্মীদের দেওয়া হয়েছে প্রশিক্ষণ

ফারুখাবাদের জেলা শাসক সঞ্জয় সিং জানিয়েছেন, এফএসএসএআই-এর এর স্বীকৃতি নির্দেশ করে, কারাগারের বন্দিদের যে খাবার পরিবেশন করা হয়, তার গুনগত মান অত্যন্ত উন্নত। এই কারাগারে প্রায় ১১০০ জন বন্দি রয়েছেন। বন্দিদের জন্য পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে। এই কারাগারটি ২০২২ সালের মার্চে এফএসএসআই এর লাইসেন্স পেয়েছে। তারপরেই এই কারাগারে বন্দিদের খাবারের গুনগত মানের ওপর জোর দেওয়া হয়। পাশাপাশি পরিষ্কার পরিছন্নতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।

ফতেহগড় কারাগারের জেলার অখিলেশ কুমার জানান, প্রথমে কারাগারের কর্মীদের অনলাইনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এরপরে তা বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করা হয়। খাদ্যপণ্য কেনার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয় এফএসএসএআই-এর রেটিং দেওয়া দোকানগুলোর ওপর জোর দেওয়া হয়। সেখান থেকেই খাদ্যপণ্য কেনা হয়। এছাড়া রান্নার সময় জেলের কর্মীদের পোশাকের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ওপর জোর দেওয়া হয়। পাশাপাশি অ্যাপ্রন পরে রান্না করা বাধ্যতামূলক করা হয়। তিনি বলেন, জেলে নিরামিষ রান্না পরিবেশন করা হয়। তবে বন্দির পুষ্টির যাতে কোনও অভাব না হয়, তাকেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।

অখিলেশ কুমার জানিয়েছেন, প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের খাবার পরিবেশন করা হয়। ডালের মধ্যে মূলত অহড়র, মুসুর ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও বন্দিদের জন্য ছানার ব্যবস্থা করা হয়। তিনি জানিয়েছেন, সপ্তাহে দুই দিন বন্দিদের প্রতাঃরাশের সময় ছানা দেওয়া হয়। এছাড়াও সপ্তাহে দুই দিন বন্দিরা প্রাতঃরাশে রুটি খান ও দুই দিন ডালিয়া। রবিবারে বন্দিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাসের প্রথম, তৃতীয় ও শেষ রবিবারের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে লুচি, তরকারি ও সুজি। তিনি জানিয়েছেন, বন্দিদের মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ জন রান্নার কাজে যুক্ত।




পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File