Insomnia: রাতে কি আপনার ভালো করে ঘুম হয় না? কী বলছেন করিনার যোগ প্রশিক্ষক
অনিদ্রা (Insomnia) হল একটি সাধারণ ঘুমের ব্যাধি যা ঘুমিয়ে পড়া কঠিন করে তুলতে পারে, ঘুমাতে অসুবিধা হতে পারে বা আপনাকে খুব তাড়াতাড়ি জেগে উঠতে পারে এবং আবার ঘুমাতে সক্ষম হতে পারে না।
ঘুমই মানবদেহের প্রধান ওষুধ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতি দিন অন্তত ৬ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের প্রয়োজন। কিন্তু অনিদ্রার সমস্যায় আক্রান্ত মানুষ সহজে ঘুমাতে পারেন না। ফলে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব ডেকে আনতে পারে বহুবিধ শারীরিক অসুস্থতা।
সেক্ষত্রে বয়স নির্বিশেষে সকলেরই পর্যাপ্ত ঘুম হওয়া জরুরি। রাতে ঘুম না আসার এই সমস্যাকে চিকিৎসা-পরিভাষায় বলা হয় ‘ইনসমনিয়া’। এই সমস্যায় আক্রান্তরা যেমন তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যেতে পারেন না, তেমনই এক বার ঘুম ভেঙে গেলে ফের ঘুমাতে মারাত্মক অসুবিধা বোধ করেন তাঁরা।
অনেক কিছু মেনে চলেও ‘ইনসমনিয়ার’ হাত থেকে রেহাই পাননি বহু মানুষ। সম্প্রতি বলিউড অভিনেত্রী করিনা কপূর খানের যোগ প্রশিক্ষক অনুষ্কা পরওয়ানি নিজের ইনস্টাগ্রামে এই সমস্যার সহজ সমাধানের হদিস দিয়ে একটি ভিডিয়ো ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট কয়েকটি যোগাসনেই জব্দ হতে পারে অনিদ্রার অসুখ।
প্রতি রাতে শান্তিতে ঘুমানোর জন্য নিয়মিত অভ্যাস করুন এই যোগ ব্যায়ামগুলি -
বৃক্ষাসন । Vrikshasana
পদ্ধতি :
সোজা হয়ে দাঁড়ান। এ বার ডান পা হাঁটু থেকে মুড়ে ভাঁজ করে বাঁ উরুমূলে বা কুঁচকিতে লাগান যেন পায়ের পাতা উরুর সঙ্গে লেগে থাকে। হাত দু’টি নমস্কারের ভঙ্গিতে বুকের কাছে রাখুন। এই অবস্থায় স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাসে মনে মনে দশ থেকে ক্রমশ বাড়িয়ে তিরিশ গুনুন। অনুরূপ ভাবে বাঁ পায়ে অভ্যাস করুন। এই হল এক বার। এ বার শবাসনে বিশ্রাম নিন। এ রূপ তিন বার অভ্যাস করুন।
উপকারিতা :
হাত পা কাঁপা, পায়ের মেদ, পায়ের দুর্বলতা, বারসাইটিস সারাতে, পায়ের জোর ও চলাফেরার ক্ষমতা বাড়াতে এবং দেহের ভারসাম্য রাখতে উপকারী। অনিদ্রার সমস্যা চির দিনের মতো বিদায় নেবে।
তাড়াসন । Tadasana
প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়ান। পায়ের পাতার মধ্যে দুই ইঞ্চি দূরত্ব রাখুন। শ্বাস নিন। হাত দু’টিকে উপরে তুলে কাঁধের সমান সমান নিয়ে যান। এ বার দু’হাতের আঙুল জড়িয়ে নিন। হাতের তালু রাখুন বাইরের দিকে। এ বার শ্বাস নিতে নিতে মাথার উপর হাত দু’টি নিয়ে যান। পায়ের গোড়ালিগুলি মাটি থেকে উপরে তুলুন। পায়ের পাতার উপর শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখুন। এই অবস্থায় ৩ থেকে ১০ বার শ্বাস নিন। এ বার গোড়ালি নীচে নিয়ে আসুন। শ্বাস ছেড়ে আগের অবস্থায় ফিরে আসুন। রোজ ২-৩ বার এই আসনটি করতে পারেন। সুফল পাবেন।
উপকারিতা: এই আসন কৰিলে মেৰুদণ্ড শক্ত হয়। শরীরের দৈর্ঘ্যতা বাঢ়ে, শরীরের চর্বি দূর হতে সাহায্য করে।
সর্বাঙ্গসন | Sarvangasana
এই আসনটি করতে প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। পা দু’টি জোড়া করে উপরে তুলুন। এ বার দু’হাতের তালু দিয়ে পিঠ এমন ভাবে ঠেলে ধরুন, যেন ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত এক সরলরেখায় থাকে। থুতনিটি বুকের সঙ্গে লেগে থাকবে। দৃষ্টি থাকবে পায়ের আঙুলের দিকে। স্বাভাবিক ভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ে ধীরে ধীরে আগের অবস্থায় ফিরে আসুন। প্রতি দিন ৩-৪ বার এই আসনটি করুন। অনিদ্রার সমস্যা দূর হবে।
উপকারিতা
যোগশাস্ত্রমতে এই আসনটিতে সর্বরোগ দূর হয়। আসন অবস্থায় রক্তবাহী ধমনী, উপশিরা বিপরীতমুখী হয় বলে গলদেশ ও মস্তিষ্ক রক্তে প্লাবিত হয়। ফলে থাইরয়েড, প্যারাথাইরয়েড, টনসিল, স্যালিভারী প্রভৃতি গ্রন্থিগুলো সতেজ ও সক্রিয় হয়ে উঠে। যৌবনকে অটুট রাখতে আসনটি অদ্বিতীয়। সর্বাঙ্গাসন অভ্যাসকারিণীদের কোন স্ত্রী-ব্যাধি হতে পারে না, এমনকি স্থানচ্যুত জরায়ু ঠিক জায়গায় ফিরে আসে।
নিষেধ
হৃদরোগীদের এবং বারো-তেরো বছরের কম বয়সের ছেলেমেয়েদের আসনটি করা উচিত নয়।
- Related topics -
- লাইফস্টাইল
- যোগাসন
- অনিদ্রা
- শরীরচর্চা