ITR Filing | প্রথমবার আইটিআর ফাইল করছেন? দেখে নিন কী কী জিনিস মাথায় রাখতে হবে!
আইটিআর ফাইল বা আয়কর রিটার্ন ফাইল দাখিল করা বাধ্যতামূলক। আপনি যদি প্রথমবার আইটিআর ফাইল করতে যান, তাহলে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
আয়কর রিটার্ন ফাইল অর্থাৎ ইনকাম ট্যাক্স ফাইল (Income Tax Return File ) করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং বাধ্যতামূলক বিষয়। তবে অনেকেই মনে করেন আইটিআর ফাইল করা কঠিন কাজ। তবে তা কিন্তু নয়। কিছু জিনিষ মাথায় রেখে ও সচেতন হয়ে চললেই আপনি নিজেই রিটার্ন ফাইল দাখিল করতে পারবেন।
অনেকেই আইটিআর ফাইল দাখিল করতে গিয়ে পিছু পা হন। আবার অনেক সময় অনেকেই নানান পরামর্শ নিয়ে থাকেন অন্যদের কাছ থেকে। তবে এ ক্ষেত্রে আর্থিক বিবরণ নিয়ে প্রতারণা হতে পারে। ফলে আয়কর রিটার্ন ফাইল দাখিল করার সময় বেশ কিছু বিষয়ে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে এবং মাথায় রাখতে হবে। ফলে দেখে নিন প্রথমবার আয়কর রিটার্ন ফাইল দাখিল করার সময় কী কী বিষয় মাথায় রাখবেন।
জানতে হবে কর ব্যবস্থা সম্পর্কে | Need to Know About the Tax System:
আইটিআর ফাইল দাখিল করার আগে আপনাকে কর ব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। কারণ আপনার আয় কোন কলামে পড়ে তা নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। পুরনো আয়করের অধীনে অনুমোদিত ছাড় পাওয়া যায় কিন্তু নতুন কর ব্যবস্থায় কোনও ছাড় নেই। পাশাপাশি প্রযোজ্য স্ল্যাব অনুযায়ী কর দিতে হয়। ফলে আপনাকে জানতে হবে কোনটি আপনার জন্য উপকারী। উল্লেখ্য, এর জন্য আয়কর পোর্টালে ক্যালকুলেটর রয়েছে যা থেকে হিসেব করতে পারবেন।
ধারা ৮০ সি | Section 80C:
ছাড়ের পরিপ্রেক্ষিতে আইনে অনুমোদিত প্রধান ছাড় হলো ধারা ৮০ সি (Section 80C)। এই ধারার অধীনে রয়েছে ইপিএফ (EPF), ভিপিএফ (VPF), পিপিএফ (PPF) সহ বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগ এবং খরচ যেমন জীবন বীমা প্রিমিয়াম (Life Insurance Premium), ইএলএসএস (ELSS), হোম লোন প্রিন্সিপাল (Home Loan Principal) ইত্যাদি। এই সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ করের সীমা ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা । স্বাস্থ্য বিমা পলিসির জন্য প্রদত্ত প্রিমিয়াম ধারা ৮০ডি-এর (Section 80D) অধীনে দাবি করতে পারেন। এনপিএস-এ দেওয়া প্রায় ৫০হাজার টাকা ধারা ৮০সিসিডি-র ১বি এর (Section 80CCD, 1B) অধীনে করমুক্ত। অনুদান বা ডোনেশন ধারা ৮০জি (Section 80G) এর অধীনে দাবি করা যেতে পারে। এতে করের বোঝা কমানোর জন্য ছাড় পাওয়া যেতে পারে ।
কোন ফর্ম বেছে নেবেন ? | Which Form to Choose?
যাদের বেতন, পারিবারিক আয়, সুদ ইত্যাদি সহ আয় ৫০ লক্ষের কম, তাদের জন্য আইটিআর ১ ফর্ম (ITR 1 Form) প্রযোজ্য। অন্যদিকে যাদের স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি মূলধন লাভ রয়েছে তাদের জন্য আইটিআর ২ ফর্ম (ITR 2 Form) প্রযোজ্য। এছাড়াও আপনার জন্য কোন ফর্মটি প্রযোজ্য সেসব বিষয়ে বিশদে জানতে পারবেন আয়কর পোর্টালে। উল্লেখ্য, নতুন ফাইল দাখিলকারীদের প্রথমে প্যান কার্ডের ওপর ভিত্তি করে আয়কর পোর্টালে নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রেশন (Registration) করতে হয়। এই সময় আপনাকে আপনার ইমেল (E-mail), ফোন নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ এবং ঠিকানা দিতে হবে।
ফর্ম ১৬ | Form 16 :
আইটিআর ফাইল দাখিল করার সময় সমস্ত কাগজ পত্র প্রস্তুত রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এছাড়াও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ফর্ম ১৬। কারণ এর মধ্যে রয়েছে আপনার আয়, যোগ্য কর্তন, বিনিয়োগ ইত্যাদি। নিয়োগকারী সংস্থা আপনাকে ফর্ম ১৬ দেবে। যা গত অর্থ বছরে আপনার অর্জিত আয়ের প্রমাণ। ভবিষ্যতে ঋণ বা লোন (Loan) নেওয়ার সময় এই ফর্ম কাজে আসবে।
প্রতারকদের থেকে সাবধানতা অবলম্বন করুন | Beware of Scammers :
অনেক সময় অনেকে আইটিআর ফাইল দাখিল করার সময় অন্যের পরামর্শ নেন। এক্ষেত্রে আর্থিক প্রতারণার সম্ভাবনা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে পরামর্শ নিলে বিশ্বস্ত অথবা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। এছাড়াও আয়কর রিটার্ন ফাইল দাখিল করার জন্য বেশ কিছু ভিডিও এবং চ্যাটবটও (Chatbot) রয়েছে। হিসেবে কোনও অমিল না থাকলেই আয়কর রিটার্ন দাখিল করা যাবে। যদি কোনো অসঙ্গতি থাকে তাহলে তা সংশোধনের জন্য কোম্পানিকে বলুন।
আগের আর্থিক বছরের অর্থাৎ ২০২২-২০২৩ এর আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ ৩১ সে জুলাই। ফলে এই তারিখের মধ্যেই দাখিল করা ভালো। এই সময়ের পড়ে আইটিআর ফাইল দাখিল করলে আয়ের ওপর নির্ভর করে ১থেকে ৫হাজার টাকা পর্যন্ত ফি দিতে হবে।