Weather | বৃষ্টির পরিমাণ কমবে দক্ষিণবঙ্গে! কমলা সতর্কতা উত্তরবঙ্গের অধিকাংশে! বদ্রীনাথ যাত্রার রাস্তায় ধস!
বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। তবে উত্তরবঙ্গে বাড়তে চলেছে বৃষ্টি। বদ্রীনাথ যাওয়ার রাস্তায় ধসের জেরে আটকে বহু যাত্রী।
বর্ষার আগমনের পর উত্তর-দক্ষিণ দুই বঙ্গেই বেশ দাপট চালাচ্ছে বর্ষা। প্রায় তিন দিন বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হচ্ছে কলকাতা (Kolkata) সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক অংশে। জানা গিয়েছে, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দিনভর বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এদিন শহর কলকাতায় দিনের বেলায় বৃষ্টির সম্ভবনা খুব বেশি না থাকলেও বিকেল-সন্ধের পর থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া অফিস (Alipore Meteorological Office) সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই ভারী বৃষ্টি হবে। কোচবিহার (Cooch Behar), জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri), আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে, দার্জিলিং (Darjeeling), কালিম্পং (Kalimpong), মালদা (Malda), উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে (North and South Dinajpur) ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। এমনকি এখানে প্রবল বৃষ্টির জন্য জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা (Orange Alert)। জানা গিয়েছে, রবিবার পর্যন্ত চলবে প্রবল বর্ষণ। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই অতি বৃষ্টির ফলে তিস্তা (Teesta), তোর্সা (Torsa), জলঢাকা (Jaldhaka), সঙ্কোষ (Sankosh) নদীর জলস্তর বেড়েছে, যা ছুঁয়েছে বিপদসীমা।
অন্যদিকে জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ এলাকায় আজ থেকেই কমতে চলেছে বর্ষা। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, এদিন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। তবে আজ বিকেলের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমতে পারে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সক্রিয় নিম্নচাপ বর্তমানে ছত্তিশগঢ়ের (Chhattisgarh) কাছে অবস্থান করছে। যদিও ধীরে ধীরে এই নিম্নচাপ এগোচ্ছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) দিকে। মৌসম ভবন (Mausam Bhavan ) সূত্রে খবর, মৌসুমী অক্ষরেখা পোরবন্দর (Porbandar), আহমেদাবাদ (Ahmedabad), উদয়পুর (Udaipur), নারনাউল (Narnaul) ও ফিরোজপুরের (Ferozepur) উপর অবস্থান করছে। যার ফলে আগামী ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ঢুকতে চলেছে গুজরাট (Gujarat), রাজস্থানের (Rajasthan) কিছু অংশ এবং হরিয়ানা (Haryana), পঞ্জাবের (Punjab) বাকি অংশে।
প্রসঙ্গত, প্রবল বৃষ্টির জেরে উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে (Chamoli, Uttarakhand) ধসের (Landslide) কারণে ছিনকায় সাত নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ ঢেকে রয়েছে ভগ্নাবশেষে। এই রাস্তা দিয়েই যেতে হয় বদ্রীনাথে (Badrinath)। ফলে ধসের কারণে আটকে পড়েছেন একাধিক যাত্রী। উল্লেখ্য,এই সময় কেদারনাথ (Kedarnath) এবং বদ্রীনাথে বহু মানুষ বেড়াতে যান। দীপাবলি পর্যন্ত এই মন্দির খোলা থাকে। ফলে এই সময়ে ধস নামের বেশ বিপদে পড়েছেন বহু পর্যটক।
অন্যদিকে, তিন দিন আগে হিমাচলেও (Himachal) একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মাণ্ডি (Mandi) থেকে কুলু (Kullu) যাওয়ার জাতীয় সড়কে ধস নামায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তায় তীব্র যানজট তৈরি হয়। তাতে আটকে পড়েন প্রায় ২০০ জন। এককার ধসের জেরে হিমাচলে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের, আহত অন্তত ৩৪ জন।