Durand Cup 2023 | সবুজ-মেরুন ডুরান্ড কাপ! ১০জন নিয়ে খেলেও জয় মোহনবাগানের! কে জিতলেন কী পুরস্কার?

ইস্টবেঙ্গলকে ১-০ গোলে হারিয়ে ডুরান্ড কাপ ২০২৩ এ জয় ছিনিয়ে নিলো মোহনবাগান। ডার্বির প্রতিশোধ ও ডুরান্ড কাপের জয় সবুজ-মেরুনের।
২০২৩ সালের ডুরান্ড কাপে (Durand Cup 2023) লাগলো সবুজ-মেরুন রং। ১০ জনে পিছিয়ে পড়েও ডুরান্ড কাপের ফাইনালে (Durand Cup 2023 Final) শেষ হাসি হাসল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টই (Mohun Bagan Super Giant)। খেলার মাঠের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal) ১-০ গোলে হারিয়ে ২০২৩ সালের ডুরান্ড কাপ ছিনিয়ে নিলো মোহনবাগান। ৭১ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন মোহনবাগানের ফরোয়ার্ড দিমিত্রি পেত্রাতোস (Dimitri Petratos)।

এশিয়ান গেমস ভারতীয় ফুটবল দল সম্পর্কে আরও পড়ুন : ক্লাবের আগে দেশ! সুনীল ছেত্রীর নেতৃত্বেই এশিয়ান গেমসে নামবে ভারত!
রবিবাসরীয় ডুরান্ড কাপ ২০২৩ এর ফাইনাল খেলার ৪ মিনিটের মাথায় মোহনবাগান ম্যাচের প্রথম কর্নার পায়। তবে পেত্রাতোস কর্নার থেকে সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হন। এরপর খেলার ৯ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল ফরোয়ার্ড হাভিয়ের সিভেরিয়ো (Javier Severio) ও শুভাশিস বোস(Subhasish Bose) ঝামেলায় জড়ান। সিভোরিয়ো ক্ষোভ জাহির করেন, যার ফলে হলুদ কার্ডের দাবিও উঠে। তবে রেফারি তা নাকচ করে দেন। খেলার ১৫ মিনিটের মাথায় ফের মোহনবাগান কর্নার পেলেও, তা কাজে লাগাতে পারে না। পেত্রাতোস ভাল জায়গায় বল রাখলেও, তা ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ বাইরে বের করে দেয়। থ্রো পেলেও, তাতেও বড় সুযোগ তৈরি হল না।

প্রথমার্ধেই লাল হলুদ সেন্টার ব্যাক এলসে চোট পান। চোট নিয়ে তিনি খানিকটা সময় খেলা চালিয়ে গেলেও, শেষমেশ মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। তাঁর বদলে পার্দো মাঠে নামেন। প্রথমার্ধের শেষের দিকে সাহাল, পেত্রাতোসরা গোলের সুযোগ পেলেও, তা কাজে লাগাতে পারেনি। প্রথমার্ধ গোলশূন্য শেষ হয়। কোনও দলই তেকাঠির মধ্যে নিজেদের একটিও শট রাখতে পারেনি। এরপর ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ইস্টবেঙ্গল ৪৭ মিনিটের মাথায় গোলের সুযোগ পায়। আনোয়ার আলির ব্য়াক পাস আরেকটু হলেই পেয়ে যাচ্ছিলেন সিভেরিয়ো। তবে বিশাল কাইথ কোনওরকমে বল বের করে দেন। ম্যাচ গড়ালেও, গোল না আসায় দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে বিরক্তি বাড়ে। রেফারির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে হলুদ কার্ড দেখেন লাল হলুদ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতও।

তবে দশজনের মোহন বাগানকে হারানো নিয়ে বেশ নিশ্চয়তা দেখা যায় ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে। উল্লেখ্য, গত ১২ই আগস্ট এই প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্বে নন্দ কুমারের গোলে ডার্বি জয় করে ইস্ট বেঙ্গল। টানা আটটি বড় ম্যাচের পর সেই জয় স্বাভাবিকভাবেই লাল-হলুদ খেলোয়াড়দের এবং সমর্থকদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিল। কিন্তু ইস্ট বেঙ্গল ফুটবলাররা যখন বক্সের মধ্যে ভিড় বাড়াতে ব্যস্ত, তখন বক্সের কাছে এসে ছোট্ট ইনসাইড ডজে শট নেওয়ার জায়গা করে নেন সবুজ-মেরুন স্ট্রাইকা। তারপরই গর্জে উঠল তাঁর বাঁ পা। দুরন্ত শট ইস্ট বেঙ্গলের পারদোর পা স্পর্শ করে আছড়ে পড়ে জালে। ১-০ গোল! এই গোলেই ডাবল লক্ষ্যভেদ করে মোহন বাগান। তিন সপ্তাহের মধ্যেই ডার্বিতে মধুর প্রতিশোধ এবং ডুরান্ড কাপ জয়লাভ সবুজ-মেরুনের।

প্রসঙ্গত, ১৭ তম বার ডুরান্ড কাপ ঘরে নিয়ে গেলো মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গলকে ফাইনালে হারিয়ে মোট ৬০ লক্ষ আর্থিক পুরোস্কার পেয়েছে সবুজ-মেরুন দল। এছাড়া, ডুরান্ড কাপ ২০২৩-এ সোনার গ্লাভস (Golden Gloves) জিতেছেন মোহনবাগানের বিশাল কাইথ (Vishal Keith)। তিনি ডুরান্ডে দুটো ম্যাচে ক্লিনশিট রেখেছেন। একাধিক কঠিন সেভও করেছেন। উল্লেখ্য, গত আইএসএল (ISL)-এও তিনি সোনার গ্লাভস জিতেছিলেন। গোল্ডেন গ্লাভসের পাশাপাশি তাঁকে ৩ লক্ষ টাকার আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গলের নন্দকুমার শেখর (Nandakumar Shekhar) পেয়েছেন সোনার বল (Golden Ball)। গ্রুপস্তরে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে গোল ও সেমিফাইনালে নর্থইস্টের বিরুদ্ধে তাঁর সমতা ফেরানো গোলের জন্য তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিনি আর্থিক পুরস্কার পেয়েছেন ৪ লক্ষ টাকা। এছাড়াও রানার্স আপ হওয়ায় লাল হলুদকে ৩০ লক্ষ টাকার আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ডুরান্ডে সবথেকে বেশি গোল করেছেন মহামেডান স্পোর্টিংয়ের (Mahamedan Sporting) ২১ বছরের এই স্ট্রাইকার ডেভিড (David)। যার জন্য তিনি পেয়েছেন সোনার বুট (Golden Boot) ও ৩ লক্ষ টাকা।
- Related topics -
- খেলাধুলা
- ফুটবল
- ফুটবলার
- ডুরান্ড কাপ
- মোহনবাগান
- মোহনবাগান সুপার সুপারজায়ান্ট
- ইস্টবেঙ্গল
- ইমামি ইস্টবেঙ্গল