G.D. Birla School: অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল কলকাতার তিনটি স্কুল!
Key Highlights"বকেয়া না মেটালে স্কুলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না" - G.D. Birla School "সব পড়ুয়াকে স্কুলে ঢুকতে দিতে হবে!" বেসরকারি নামি স্কুলের নোটিস খারিজ আদালতের…
আইনশৃঙ্খলা অবনতির কারণ দেখিয়ে বেশকিছু দিন আগে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল কলকাতার তিনটি স্কুল। পড়ুয়াদের নিরাপত্তার স্বার্থে স্কুল বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার সকালে নোটিশ দিয়ে জানায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অন্যদিকে স্কুলের ফি বৃদ্ধি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই স্কুলের সামনে অভিভাবকদের আন্দোলন চলছিল। সেই প্রেক্ষিতেই স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে অভিভাবকেরা।
গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৪ই এপ্রিল, ২০২২ অন্যান্য দিনের মতোই দক্ষিণ কলকাতার রানিকুঠির স্কুলে পৌঁছয় পড়ুয়ারা। কিন্তু গেটের সামনে নোটিশ ঝুলতে দেখেন সকলে। নোটিশ পড়ে অভিযোগরা জানতে পারেন যে, অনির্দিষ্ট কালের জন্য় বন্ধ রাখা হচ্ছে স্কুল। অভিভাবকদের জানানো অভিযোগ অনুযায়ী, যারা ফি ইতিমধ্যেই জমা করেছেন, তাদের পড়ুয়াদের কেনো ক্লাস করতে দেওয়া হবে না।

বেতন বকেয়া থাকলেও ক্লাস করতে দিতে হবে পড়ুয়াদের, বেসরকারি স্কুলগুলিকে নির্দেশ দিয়ে জানিয়ে দিল আদালত। দক্ষিণ কলকাতার একটি নামি স্কুলের নোটিশ খারিজ করে আজ এই নির্দেশ দিল আদালত। গত ৯ই এপ্রিলের নোটিশ খারিজ করল আদালত। হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, "স্কুল হচ্ছে মন্দির, সেখানে এরকম হলে কিছু বলার নেই। আদালতের পক্ষে কি সব সময় নজর রাখা সম্ভব?"
এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক, কী কী নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ?
- রাজ্যে এই মুহূর্তে মোট ১৪৫ টি বেসরকারি স্কুল রয়েছে। এইসব স্কুলগুলি কোন পড়ুয়ার প্রমোশন আটকাতে পারবে না। এমনকি পড়ুয়ার মার্কশিট আটকানো যাবে না।
- যারা কোভিডকালে কোন ফি দেননি, তাদের নামও নথিবদ্ধ করবে আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিকরা।
- সমস্ত পড়ুয়াকে নতুন ক্লাসে যোগদান করতে দিতে হবে এবং তাদের প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা দিতে হবে।
- কোভিডকালে কোন পড়ুয়া কত ফি দিয়েছে, তার হিসাব আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিকদের দিতে হবে।
- সমস্ত পড়ুয়াকে নতুন ক্লাসে যোগদান করতে দিতে হবে এবং তাদের প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা দিতে হবে।
- আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিক যে বকেয়া ফিস নির্ধারণ করবেন, তা দিতে হবে অভিভাবকদের।
পাশাপাশি আদালত জানিয়েছেন, অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধির বিষয়টিও খতিয়ে দেখবেন আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিকরা।
আগামী ৬ই জুনের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলার দোহাই দিয়ে কলকাতার ৩টি বেসরকারি স্কুলের গেটে কেন তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এই সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করেছে।
- Related topics -
- রাজ্য
- শিক্ষা
- কোলকাতা
- কলকাতা হাইকোর্ট








