শহর কলকাতা

Kolkata Howrah Bridge | আদিবাসীদের মিছিলের জেরে তীব্র যানজট শহরে! হাওড়া ব্রিজে অচল গাড়ি চলাচল! গোটাদিন ধরে যানজটের আশঙ্কা!

Kolkata Howrah Bridge | আদিবাসীদের মিছিলের জেরে তীব্র যানজট শহরে! হাওড়া ব্রিজে অচল গাড়ি চলাচল! গোটাদিন ধরে যানজটের আশঙ্কা!
Key Highlights

আদিবাসীদের মিছিলের জেরে অবরুদ্ধ কলকাতা হাওড়া ব্রিজ-সহ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাট। দীর্ঘক্ষণ ঘুরছে না গাড়ির চাকা। চরম ভোগান্তির শিকার অফিসযাত্রীরা। প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ সাধারণ মানুষের।

অবরুদ্ধ কলকাতা হাওড়া ব্রিজ (Kolkata Howrah Bridge)! লম্বা সাপের মতো গাড়ির পর গাড়ি দাঁড়িয়ে হাওড়া সেতুতে। আদিবাসী সংগঠনের মিছিলের জেরে নাজেহাল অবস্থায় অফিসযাত্রীরা! পতাকা, ব্যানার হাতে প্রতিবাদে নেমেছে আদিবাসী সম্প্রদায়। আর তারই জেরে অফিস টাইমে ভয়ঙ্কর যানজট সৃষ্টি হয়েছে কলকাতা হাওড়া ব্রিজ (Kolkata Howrah Bridge) এ।

শুক্রবার, ২৯সে সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা নাগাদ আচমকাই কলকাতা হাওড়া ব্রিজ (Kolkata Howrah Bridge) এ শুরু হয় অবরোধ। রাস্তার উপর পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধিদের। তাঁদের দাবি, কুড়মি-মাহাতোরা চাইছেন জোর করে তফসিলি জনজাতির তকমা পেতে। জানা গিয়েছে, রাজনৈতিক মদতও পাচ্ছেন তাঁরা। তারই প্রতিবাদে পথে নেমেছে ‘ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশন্‌স’ (United Forum of All Adivasi Organisations)। 

উল্লেখ্য,  আদিবাসীদের উপর দমন পীড়নের অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি আদিবাসীদের উচ্ছেদ এবং কুড়মি ও মাহাতোদের এসসি মর্যাদা দেওয়ার প্রতিবাদেই এদিন  রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে সভার ডাক দিয়েছে ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশন। আদিবাসী সংগঠনের দাবি, তাদের ছাড়া অন্য কাউকে ‘সিডিউল ট্রাইব’-এর মর্যাদা দেওয়া চলবে না এবং নকল এসটি সার্টিফিকেট ইস্যু বন্ধ করতে হবে। প্রসঙ্গত,  ২০০৬ সালের বন্য আইন সারা রাজ্যে চালুর দাবি রয়েছে। আদিবাসীদের এই সমাবেশে যোগ দিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আদিবাসীরা হাওড়া স্টেশনে জড়ো হন। সেখান থেকে মিছিল করে রানি রামসণি অ্য়াভিনিউয়ের দিকে রওনা হন তাঁরা। সূত্রের খবর,  হাওড়া থেকে স্ট্র্যান্ড রোড, ব্রেবোর্ড রোড হয়ে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ধরে এগিয়ে যাবে আদিবাসীদের এই মিছিল।

আদিবাসীদের এই মিছিলের জেরে এদিন বিপাকে পড়েছেন অফিসযাত্রীরা। কার্যত কলকাতার প্রাণকেন্দ্র অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। ধর্মতলাগামী প্রতিটি রাস্তাই আটকে গাড়ির জটে।  অনেকে গাড়ির চাকা ঘোরার অপেক্ষা না করেই হাটতে শুরু করেছেন। বেশির ভাগ মানুষজনই হাওড়া সেতুর উপর দিয়ে হেঁটে পারাপার হচ্ছেন। মিছিলের জন্য শহরের নানান কেন্দ্রে  ট্র্যাফিক মোতায়েন থাকলেও তাঁদের খুব একটা সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়নি বলে ক্ষোভ যাত্রীদের একাংশের। স্ট্র্যান্ড রোডমুখী রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিকল্প উপায়েও গন্তব্যে পৌঁছোতে পারছেন না অফিসযাত্রীরা। ফলে প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

এই মিছিলের ফলে চাপ বাড়ছে বড়বাজার-সহ কলকাতার একাধিক অঞ্চলের রাস্তায়। শুক্রবার সারা দিনই এই ভোগান্তি চলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। লালবাজার কলকাতা (Lalbazar Kolkata) ট্রাফিক পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আদিবাসী সংগঠনের মিছিল ও গণ বিক্ষোভ হাওড়া থেকে আরআর এভিনিউ অবধি আসবে। সেই কারণে হাওড়া ব্রিজ, স্ট্যান্ড রোড ও মহাত্মা গান্ধী রোডের ট্রাফিকের উপর প্রভাব পড়েছে। এই রাস্তাগুলিতে যানজট রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। লালবাজার কলকাতা (Lalbazar Kolkata) ট্রাফিক পুলিশ আরও জানিয়েছে, দুপুর দেড়টা নাগাদ অটো-রিক্সা মিছিলও রয়েছে। সেই কারণে মৌলালি, এজেসি বোস রোড, শিয়ালদা ফ্লাইওভার, সূর্য সেন স্ট্রিট, এপিসি রোড, কাইজার স্ট্রিট, নারকেলডাঙা মেইন রোড, ফুলবাগান, সিআইটি রোড, বেলেঘাটা মেইন রোড, ক্যানাল ইস্ট রোড, রাসমণি বাগান লেনসহ একাধিক রাস্তায় যানজট দেখা দিতে পারে।

লালবাজার কলকাতা (Lalbazar Kolkata) ট্রাফিক পুলিশ অফিসযাত্রী ও সাধারণ মানুষকে আরআর অ্যাভিনিউ, স্ট্যান্ড রোড ও মহাত্মা গান্ধী এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে। তার বদলে দ্বিতীয় হুগলি সেতু ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে লালবাজার কলকাতা (Lalbazar Kolkata) ট্রাফিক পুলিশের তরফে।