ভারতীয় রেল

Kanchanjunga Express | ১৫ মিনিট ব্যবধানে চলা দুটি ট্রেন কীভাবে এত কাছে এল? ঠিক কী কারণে ঘটলো কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা?

Kanchanjunga Express | ১৫ মিনিট ব্যবধানে চলা দুটি ট্রেন কীভাবে এত কাছে এল? ঠিক কী কারণে ঘটলো কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা?
Key Highlights

মঙ্গলবার ভোর ৩ টে বেজে ২০ মিনিটে শিয়ালদহ স্টেশনের ১৩ নম্বর ঢুকল অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। সোমবার সকাল ৮ টা বেজে ৪৫ মিনিটে দুর্ঘটনার শিকার হয় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। সাতসকালে মালগাড়ির ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃত ৮। তবে কীভাবে হলো এই দুর্ঘটনা? দুটি ট্রেনের মাঝে সময়ের ব্যবধান ছিল ১৫ মিনিট। পেপার মেমোয় যদি কোনও ট্রেন চালানো হয়, সেক্ষেত্রে নিয়মই হচ্ছে গতি প্রতি ঘণ্টায় হবে ১০ কিমি।

মঙ্গলবার ভোর ৩ টে বেজে ২০ মিনিটে শিয়ালদহ স্টেশনের ১৩ নম্বর ঢুকল অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। সোমবার সকাল ৮ টা বেজে ৪৫ মিনিটে দুর্ঘটনার শিকার হয় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। সাতসকালে মালগাড়ির ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃত ৮। তবে কীভাবে হলো এই দুর্ঘটনা? গাফিলতি কার? 

 কীভাবে দুর্ঘটনার শিকার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস?

রেল সূত্রে খবর, সোমবার সকাল ৫ টা বেজে ৫০ মিনিট থেকে রাঙাপানি ও আলুয়াবাড়ির মাঝের অটোমেটিক সিগন্যাল বন্ধ ছিল। ফলে সকাল থেকেই ট্রেন চলাচল হচ্ছিল অত্যন্ত ধীর গতিতে। পেপার লাইন ক্লিয়ার টিকিটের মাধ্যমে চলাচল করছিল ট্রেন। এরপর সকাল ৮ টা বেজে ২৭ মিনিট নাগাদ পেপার মেমো অর্থাৎ কাগুজে ছাড়পত্র পেয়েই রাঙাপানি স্টেশন ছেড়ে এগোয় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। জানা গিয়েছে, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে TA912 ফর্ম দিয়েছিলেন রাঙাপানির স্টেশন মাস্টার। যার ভিত্তিতে সিগন্যাল না থাকলেও নির্দিষ্ট গতিতে ট্রেন এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন চালক। অন্যদিকে, সকাল ৮ টা বেজে ৪২ মিনিট নাগাদ রাঙাপানি স্টেশন ছাড়ে মালগাড়িটি। এতেই মাথাচাড়া দিচ্ছে একাধিক প্রশ্ন। দুটি ট্রেনের মাঝে সময়ের ব্যবধান ছিল ১৫ মিনিট। পেপার মেমোয় যদি কোনও ট্রেন চালানো হয়, সেক্ষেত্রে নিয়মই হচ্ছে গতি প্রতি ঘণ্টায় হবে ১০ কিমি। এতেই প্রশ্ন উঠছে তবে কীভাবে পনেরো মিনিট ব্যবধানে চলা দুটি ট্রেন এত কাছে এল? তাহলে কি কাগুজে ছাড়পত্রের নিয়ম মানেননি চালক? যদিও এখনও সব প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। এখনও জানা যায়নি ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে তদন্তে গোটা বিষয়টা স্পষ্ট হবে বলেই মনে করছে রেল।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ভোর ৩ টে বেজে ২০ মিনিটে শিয়ালদহ স্টেশনের ১৩ নম্বর ঢোকে অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। তখন যাত্রী সংখ্যা ১২৯৩। স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন ফিরহাদ হাকিম, স্নেহাশিষ চক্রবর্তী, শিয়ালদহের ডিআরএম-সহ একাধিক আধিকারিক। ট্রেন প্ল্যাটফর্মে দাঁড়াতেই যাত্রীরা স্টেশনে নেমে পড়েন। অনেকেই ট্রেন থেকে নামতেই কেঁদে ফেলেন। অনেকে আবার জড়িয়ে ধরেন ফিরহাদ হাকিমকে। সুস্থ্যভাবে শিয়ালদহ স্টেশনে ঢুকলেও সকলের মুখেই ছিল আতঙ্কের ছাপ।