Centre amends Flag Code | ‘হর ঘর তিরঙ্গা’- কাশ্মীরে জাতীয় পতাকার জন্য দিতে হবে ২০ টাকা!
জম্মু কাশ্মীরের শিক্ষা বিভাগ আদালতে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ প্রচারণার জন্য তহবিল সংগ্রহ নিয়ে বিতর্ক শীর্ষে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষ্যে কেন্দ্র "হর ঘর তেরঙা" অভিযান শুরু করছে।
২০২২ সাল স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ উপলক্ষে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ প্রচার শুরু চালু করছে কেন্দ্র। ১৩ থেকে ১৫ই অগস্ট তিনদিন ধরে পালন করার কথা ‘হর ঘর তিরঙ্গা’। দেশের প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। একই সঙ্গে ভারতের পতাকা বিধি ২০২২-ও পরিবর্তন করল কেন্দ্র। এর ফলে এখন থেকে দিন-রাত মিলিয়ে ২৪ ঘন্টাই জনসাধারণের দেশের তেরঙ্গা জাতীয় পতাকা ওড়াতে পারবেন।
ঘটনার কেন্দ্রস্থল জম্মু কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) অনন্তনাগ। নতুন বিতর্কের মুখে প্রধানমন্ত্রীর ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি। শোনা যাচ্ছে, সেখানকার দোকানে জাতীয় পতাকা রাখার ‘ডিপোসিট ফি’ হিসাবে কুড়ি টাকা করে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যথায় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও মাইকে ঘোষণা করা হয়। যদিও জেলা আধিকারিক জানিয়েছেন এই পতাকা কর্মসূচি সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই হবে।
অনন্তনাগ চিফ এডুকেশন অফিসার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় জেলার স্কুলগুলির প্রত্যেক শিক্ষক এবং পড়ুয়াদের থেকেও একই মর্মে ২০ টাকা করে নেওয়া হবে। এই অদ্ভুত বিজ্ঞপ্তির ঘোষণা হতেই মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয়ে যায় আলোচনা। চাপের মুখে পড়ে বিজ্ঞপ্তি সরিয়ে নিতে বাধ্য হন সংশ্লিষ্ট কর্তা।
দেশপ্রেম স্বাভাবিক ভাবে আসা উচিত। বলপূর্বক তা চাপিয়ে দেওয়া যায় না। যেভাবে জম্মু-কাশ্মীরের প্রশাসন সেই এলাকার পড়ুয়া, দোকানদারদের কাছ থেকে জাতীয় পতাকার জন্য টাকা নিচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে কাশ্মীর আমাদের শত্রুপক্ষের কোনও এক দেশ।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (২৩শে জুলাই), সমস্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রক এবং বিভাগের সচিবদের একটি চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা বলেছেন, ‘ভারতীয় জাতীয় পতাকার প্রদর্শন, উত্তোলন এবং ব্যবহার ভারতের পতাকা বিধি, ২০০২ এবং জাতীয় সম্মানের অবমাননা প্রতিরোধ আইন, ১৯৭১ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। ২০ জুলাই, ২০২২-এ একটি আদেশ জারি করে ভারতের পতাকা বিধি, ২০০২ সংশোধন করা হয়েছে। ভারতের পতাকা বিধি, ২০০২-এর দ্বিতীয় অংশের ২.২ অনুচ্ছেদের ১১ নম্বর ধারাটি এখন নিম্নরূপ হবে – মুক্ত পরিবেশে বা জনসাধারণের বাড়িতে জাতীয় পতাকা প্রদর্শিত হলে, এটি দিনরাত ওড়ানো যেতে পারে।’ এর আগে, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্তই জাতীয় পতাকা ওড়ানোর অনুমতি ছিল। সূর্যাস্তের পর পতাকা নামিয়ে দিতে হত।
একইভাবে, সরকার ভারতের জাতীয় পতাকা তৈরির জন্য ব্যবহৃত উপাদান এবং তৈরির পদ্ধতির বিষয়ে বিধানও সংশোধন করেছে। এখন থেকে যন্ত্রে তৈরি এবং পলিয়েস্টারের তৈরি জাতীয় পতাকাও ব্যবহার করা যাবে। নয়া সংশোধনীতে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় পতাকা চরকা এবং হাতে বোনা বা যন্ত্রে তৈরি, সুতি/পলিয়েস্টার/উল/সিল্ক খাদি বান্টিং কাপড় দিয়ে তৈরি করা যাবে।’