Geeta Path | ব্রিগেডে 'লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠে'র প্রস্তুতি শুরু! একটি নয় একাধিক 'বিশ্ব রেকর্ড' গড়বে এই অনুষ্ঠান! কী কী রেকর্ড দেখে নিন!
বড়দিনের আগে কলকাতায় ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে 'লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ'। এই অনুষ্ঠান একাধিক বিশ্ব রেকর্ড গড়বে বলে দাবি আয়োজকদের। আবেদন জানানো হয়েছে গিনেজ় ওয়ার্ল্ড রেকর্ড-সহ বেশ কয়েকটি সংস্থাকে।
আর কয়েকদিন পরেই বড়দিনের আগেই ইতিহাস তৈরী হতে চলেছে খাস কলকাতায়! আজ থেকেই শুরু হল ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের প্রস্তুতি। ২৪সে ডিসেম্বর ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড (Brigade Parade Ground) এ ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কর্মসূচিতে একটি নয় তৈরী হতে চলেছে একাধিক বিশ্ব রেকর্ড, এমনটাই মনে করছেন কর্মসূচির আয়োজকেরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Prime Minister Narendra Modi) উপস্থিতিতে গীতা পাঠ (Gita Path) করবেন লক্ষ মানুষ।
২০২৩ সালের ২৪সে ডিসেম্বর কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড (Brigade Parade Ground) এ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কর্মসূচি। সংগঠনের সভাপতি স্বামী প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ দাবি করেছেন, ওই দিন ব্রিগেড ময়দানে যা হতে চলেছে, তা বিশ্বে কোথাও কখনও হয়নি। এত মানুষের সমাগমে একত্রে গীতাপাঠ বিশ্বরেকর্ড তৈরি করবে। ইতিমধ্যেই গীতাপাঠের যে আয়োজন, তা সফল করতে বিজেপি-সহ বাংলার সঙ্ঘ পরিবারের সব সংগঠনই উঠে পড়ে লেগেছে। কারণ, মূল রেকর্ড তৈরি হতে পারে জমায়েতের উপরেই। লক্ষ মানুষকে ব্রিগেডে নিয়ে আসার লক্ষ্যপূরণে তাই সর্বতো ভাবে চেষ্টা চলছে।
কী কী বিশ্ব রেকর্ড গড়তে পারে 'লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ'?
আয়োজকদের দাবি, মোট চারটি বিষয়ে বিশ্বরেকর্ড তৈরি হতে পারে। প্রথম রেকর্ডটি, এক লক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে গীতা পাঠ (Gita Path)। দ্বিতীয়টি, ওই দিন ব্রিগেডে ৭০ হাজার মহিলা একসঙ্গে শঙ্খ বাজাবেন। সেটাও বিশ্বে অতীতে হয়নি বলেই তাঁদের দাবি। এছাড়াও সেদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে সমবেত কণ্ঠে কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam) এর লেখা গান গাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আয়োজকদের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, ৬০ হাজার জন একত্রে গাইবেন ‘হে পার্থসারথি! বাজাও বাজাও পাঞ্চজন্য শঙ্খ...’ গানটি। একসঙ্গে এতজন কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam) এর গান গাইবেন এই ঘটনাও বিশ্ব রেকর্ড গড়তে পারে। এ ছাড়াও একসঙ্গে প্রায় দেড় হাজার সাধুসন্ত ওই দিন ব্রিগেড ময়দান ‘শান্তি স্তোত্র’ পাঠ করবেন। এটিওবিশ্ব রেকর্ড তৈরী করতে পারে।
সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ধরনের রেকর্ড প্রমাণের আবেদন করার ক্ষেত্রে যে যে নিয়ম মানতে হয় তার সব কিছু মাস ছয়েক আগে থেকেই শুরু হয়। বিভিন্ন ধাপে বিভিন্ন সংস্থা নানা তথ্য চেয়ে পাঠায়। সব কিছু দেওয়ার পরে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট অর্থ দিয়ে আবেদন করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বসন্ত শেঠিয়া বলেন, গিনেজ় ওয়ার্ল্ড রেকর্ড-সহ বেশ কয়েকটি সংস্থার কাছে আবেদন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কয়েকটি সংস্থার পক্ষে সম্মতিও এসে গিয়েছে যে, তারা কলকাতায় প্রতিনিধি দল পাঠাবে।
প্রসঙ্গত,আজ, শনিবার ১৬ই ডিসেম্বর থেকেই হয়েছে ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের প্রস্তুতি। এদিন কুরুক্ষেত্র থেকে আনা মাটি গঙ্গার ঘাটে মেশানো হয়। এরপর গঙ্গাজল ও মাটি নিয়ে বাবুঘাট থেকে ব্রিগেড পর্যন্ত শোভাযাত্রা করেন সাধু-সন্ন্যাসীরা। জগন্নাথ মন্দিরের ধ্বজা উত্তোলনের পর ব্রিগেডে ভূমি পুজোও করা হবে বলে জানা গিয়েছে। অভিনব এই উদ্যোগ নিয়েছে, অখিল ভারতীয় সংসকৃত পরিষদ, সংস্কৃতি সংসদ ও মতিলাল ভারত তীর্থ সেবা মিশন আশ্রম। গতবার মায়াপুরে একসঙ্গে ৫ হাজার মানুষ গীতা পাঠ করেছিলেন। আর এবার, ব্রিগেডে হবে লক্ষ কন্ঠে গীতাপাঠ। সকল পুরুষের পরনে থাকবে সাদা ধুতি ও পাঞ্জাবি। সামনের সারিতে বসা মহিলারা পরবেন লালপাড় সাদা বা ঘিয়ে শাড়ি।
এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন মঠ-মিশনের আশ্রমিক থেকে স্কুল পড়ুয়া, প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দারাও। এই বিরল অনুষ্ঠানের জন্য রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের সব বিধায়কদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। উল্লেখ্য , ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাজি হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি ছাড়াও ওই অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন দ্বারকামঠের বর্তমান শঙ্করাচার্য স্বামী সদানন্দ সরস্বতী। তাঁদের উপস্থিতিতে গীতার প্রথম, দ্বিতীয়, দ্বাদশ, পঞ্চদশ ও অষ্টাদশ অধ্যায়ের সমবেত পাঠ হবে ব্রিগেডে। অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদের আয়োজক এবং লক্ষ কন্ঠে গীতাপাঠ মানস ভট্টাচার্য বলেন, সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হবে, নেপথ্যে রাজনীতি নেই। ২৪ সে ডিসেম্বর সকাল ৯টায় এই অনুষ্ঠান শুরু হবে ২০ হাজার ৮টি শঙ্খধ্বনিতে।
- Related topics -
- শহর কলকাতা
- নরেন্দ্র মোদি
- গিনেসবুক রেকর্ড
- বিশ্ব রেকর্ড
- রেকর্ড