Gaganyaan Mission | মহাসপ্তমীর সকালেই গগনযান উৎক্ষেপণ! চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি! কোথায় দেখবেন লাইভ স্ট্রিমিং?
আগামিকাল, ২১সে অক্টোবর গগনযান-র পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ। এই পরীক্ষাই বলে দেবে গগনযান মিশনের ভবিষ্যৎ।
চন্দ্রযান ৩ মিশন সাফল্য পাওয়ার পর থেকে একের পর এক মহাকাশ মিশনের পরিকল্পনা করছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (Indian Space Research Organization) বা ইসরো (ISRO)। আগামীকাল, ২১ সে অক্টোবরই এরকমই এক ইসরো মিশন (ISRO Missions) এর বড় পরীক্ষা। পুজোর মধ্যে, মহাসপ্তমীর দিন সকালেই গগনযান (Gaganyaan) এর টেস্ট ড্রাইভ হতে চলেছে। আর ২৪ ঘণ্টা বাকি নেই হাতে ফলে এখন চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি।
ইসরো জানিয়েছে, ২১সে অক্টোবর সকাল ৮টা নাগাদ গগনযান মিশন (Gaganyaan Mission) এর এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হওয়ার কথা। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারের (Satish Dhawan Space Center in Sriharikota) প্রথম লঞ্চপ্যাড থেকে উড়বে মহাকাশযানটি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর চেষ্টা করছে দেশ। সেই সঙ্গে আরও জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০৩৫ সালের মধ্যে স্পেস স্টেশন তৈরির নকশা তৈরিতেও নির্দেশ দিয়েছেন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাকে। চন্দ্রযান-৩ মিশনে সাফল্য মেলার পর মহাকাশ গবেষণায় সরকার জোরাল উদ্য়োগ নিতে চাইছে। যার জন্যই পর পর ইসরো মিশন (ISRO Missions) এর পরিকল্পনা করছে।
গগনযান মিশন (Gaganyaan Mission) দ্বারা মহাকাশে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্যে ইসরো। ৪০০ কিলোমিটার কক্ষপথে মহাকাশচারীদের পাঠানো ও তাঁদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা এই অভিযানে প্রধান লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে একাধিক ধাপ বা পর্য়ায় সফল ভাবে পার করাও জরুরি। ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই অভিযানের যে ক্রিউ মডিউল রয়েছে সেটি নির্মাণের নানা স্তর থাকে। এরই মধ্যে একটি হল টেস্ট ভেহিকে অ্যাবর্ট মিশন বা টিভি-ডি১। ইসরো সূত্রে খবর, টিভি ডি-১ ক্রু মডিউলের একটি 'আনপ্রেশারাইজ ভার্সন'। আগামীকাল, ২১সে অক্টোবর শ্রীহরিকোটা থেকে এটিরই পরীক্ষামূলক উড়ান হবে। ইসরো জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে অবতরণের পর এই ক্রুল মডিউলটি উদ্ধার করে আনা হবে। সে জন্য তৈরি রয়েছে একটি ভেসেল এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি টিমও।
আগামীকাল গগনযান (Gaganyaan) এর পরীক্ষামূলক উড়ানের জন্য শেষ প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের মধ্য়ে একাংশ মাঝেমধ্যে আলোচনার পর্ব সেরে নিচ্ছেন। কেউ কেউ নজর রাখছেন সিমুলেশনের উপর।জানা গিয়েছে, ১৬.৬ কিলোমিটার উচ্চতায় সিইএস ওঠার পর যদি কোনও সমস্যা তাতে ধরা পড়ে তবে তখন বিজ্ঞানীরা তখনই মিশনটি স্থগিত করে দেবেন। তখন ক্রু মডিউলটিকে রকেটের টেক অফ সাইট থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে পাঠানো হবে। বিষয়টিকে অ্যাবর্ট ডেমোনস্ট্রেশন বলে। অর্থাৎ মহড়ায় নভোশ্চরদের নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখে নেওয়া হবে। চূড়ান্ত মিশনের সময় যদি কোনও কারণে কোনও বিপত্তি ঘটে তাহলে মহাকাশচারীরা কী ভাবে বেরিয়ে আসবেন মহাকাশযান থেকে তা দেখবেন বিজ্ঞানীরা।
প্রসঙ্গত,গগনযান লঞ্চের তারিখ (Gaganyaan Launch Date) সম্পর্কে এখনও খোলাসা করে কিছু না বললেও জানা গিয়েছে ২০২৪ সালের শেষের দিকে হুবহু একই রকম দেখতে একটি মহাকাশযানে করে নভোশ্চরদের ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিলোমিটার উচ্চতায় পাঠানো হবে। আগামীকাল, শনিবার তারই মহড়া শুরু হয়েছে। এই উৎক্ষেপণ দেখা যাবে - http://isro.gov.in ; https://facebook.com/ISRO ; YouTube: https://youtube.com/watch?v=BMig6ZpqrIs ; DD National TV এই প্ল্যাটফর্মে। তবে এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে নভোশ্চররা থাকবে না। মানববিহীন মিশন হতে চলেছে এটি। উৎক্ষেপণের এক মিনিট পর ক্রু এস্কেপ সিস্টেম ও ক্রউ মডিউলটি রকেট থেকে আলাদা হয়ে যাবে। গগনযান লঞ্চের তারিখ (Gaganyaan Launch Date) এর আগে সব সিস্টেম নিখুঁত রয়েছে কি না তা বুঝতেই বারংবার বিষয়গুলি ঝালিয়ে নিচ্ছে ইসরো।
- Related topics -
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
- ভারত
- ইসরো
- মহাকাশচারী
- মহাকাশ
- মহাকাশযান
- আদিত্য এল ১