প্রতিরক্ষা

"আত্মনির্ভরশীল ভারত" হওয়ার লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগোলো দেশ, এই প্রথম ভারতের তৈরি সামরিক অস্ত্র রওনা দিল বিদেশে

"আত্মনির্ভরশীল ভারত" হওয়ার লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগোলো দেশ, এই প্রথম ভারতের তৈরি সামরিক অস্ত্র রওনা দিল বিদেশে
Key Highlights

দেশীয় অস্ত্র বানিয়ে আত্মনির্ভরশীল হচ্ছে ভারত! কেবল নিজেদের প্রয়োজনেই নয় বর্তমানে ভারতের তৈরী অস্ত্র পাড়ি দিচ্ছে বিদেশেও

দেশীয় অস্ত্র বানিয়ে আত্মনির্ভর হবার লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে ভারত। সাবমেরিন বানিয়েছে তবে এই ঘটনা নতুন কিছু নয় এছাড়াও আরও অনেক অস্ত্র এবং যুদ্ধ সামগ্রিক তৈরী করেছে ভারত। তবে এবার কেবলমাত্র নিজেদের জন্যই নয় ভারতীয় এই সংস্থা দেশের বাইরেও অস্ত্র বিক্রির বরাত পাচ্ছে। এর আগে এমনটা হয়নি। এমন কাজের দায়িত্ব পেয়েছে কল্যাণী স্ট্র্যাটেজিক সিস্টেম লিমিটেড।

দেশের বাইরে বিক্রি হবে ভারতীয় অস্ত্র! কোন দেশে পাঠানো হচ্ছে এই অস্ত্র? আসুন তা জেনে নেওয়া যাক

কল্যাণী স্ট্র্যাটেজিক সিস্টেম লিমিটেড হল ভারতের প্রতিরক্ষা বিষয়ক ফার্ম। এই সংস্থা বড় বরাত পেয়েছে বন্ধু দেশে বন্দুক সাপ্লাইয়ের। ওই কোম্পানি অর্ডার পেয়েছে সব মিলিয়ে প্রায় ১৫৫.৫ মিলিয়ন ডলারের। এই ধরনের বিশাল বরাত পেল এই প্রথম কোনও স্থানীয় কোম্পানি। বিশেষজ্ঞদের মত এমনটাই। তবে কোন দেশে অস্ত্র যাচ্ছে? তা অবশ্য সংস্থা খোলসা করেনি। ওই কোম্পানি সামনে আনেনি ওই বন্ধু রাষ্ট্রের নাম। কত বন্দুকের অর্ডার তা নিয়েও তাঁরা মুখ খুলতে নারাজ। কোনও কথা তাঁরা এই বিষয়ে জানাবেন না বলে স্পষ্ট জানাচ্ছেন।

ওই সংস্থা বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে গোটা বিষয়টি জানিয়েছে। তবে এই কথা তাঁরা বলছেন যে সরকার যে আত্মনির্ভরতার কথা বলে এবং কাজ করে তারই প্রতিফলন এই কা বলে জানানো হয়েছে। সূত্রের মারফত খবর মিলছে যে, বন্দুক সরবরাহ করা হবে তিন বছরে অর্ডার যেমন থাকবে সেই মত। এও জানা যাচ্ছে যে সৌদি আরবের কথাবার্তা হয়েছিল ওই সংস্থার সঙ্গে অস্ত্র বরাত নিয়ে। তবে কোনও দেশের কথা উল্লেখ করেনি এনিয়ে ওই সংস্থা।

ভারত ক্রমে উল্লেখযোগ্য ফোকাস করছে এদিকে বিদেশি মার্কেটে অস্ত্র সরবরাহের ক্ষেত্রেও। সম্প্রতি ফিলিপিন্স ব্রহ্মস মিসাইলের বরাত করেছিল। অন্যদিকে আর্মেনিয়া আগ্রহ দেখিয়েছিল রকেট লঞ্চার কেনার ব্যাপারে। যার নাম পিনাকা মালটি ব্য়ারেল।

প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার উপর জোর দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই। দেশের তরফে তেমনই আবার অস্ত্র রফতানির ক্ষেত্রেও ফোকাস করা হয়েছে। রফতানির উপর জোর দেওয়া হয়েছে মিসাইল, হালকা হেলিকপ্টার, নজরদারির যান, নজরদারি সিস্টেমে।

সম্প্রতি ভারতে প্রথম দেশে নির্মিত এয়ারক্রাফট ক্যরিয়ারে ইজরায়েলি এসা রেডার এমএফ স্টার বসানোর কাজ আগামী মাস থেকে শুরু হবে। আর এয়ার ডিফেন্স হিসাবে বারাক-৮ এবং ডিআরডিও তৈরি ভিএল-এসআর স্যাম থাকবে। খুব গুরূত্বপূর্ণ এই এ্যন্টেনার একটা অবহেলিত রত্ন আমাদের ডিফেন্স লাভারদের কাছে। খুব কম কথা হয়েছে এর বিষয়ে। এটা ডিআরডিও এর তৈরি এত্যন্ত সেন্সিটিভ ইলেকট্রনিক সাপোর্ট মেজর সিস্টেম। এই প্যসিভ সেন্সর কিন্তু পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী প্যসিভ সেন্সর। এটার কাজ হল যেকোনো রেডিও এমিশানকে ডিটেক্ট, এ্যনালাইস করা। আমরা জানি শত্রুত বিমান, মিসাইল সিকার বা জ্যমারের ফ্রিকুয়েন্সি আলাদা আলাদা ব্যন্ডের কাজ করে। এই এ্যন্টেনা এক্ষেত্রে পুরো জাহাজের কান হিসাবে কাজ করে। প্রথমে এটা বিভিন্ন ফ্রিকুয়েন্সি শোনে। তারপর সেই ফ্রিকুন্সিকে এ্যনালাইস করে জাহাজ করে থ্রেট সম্পর্কে অবগত করে। এই পুরো সিস্টেম দেশে তৈরি।