বিগত ৭০ বছরের খরা কাটিয়ে দেশে আগমন চিতার, স্বাগত জানাতে নামবিয়ায় পাঠানো হল বিশেষ বিমান
১৯৫০ সালের পর ভারতের জঙ্গলে প্রথমবারের জন্য চিতা দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ১৭ই সেপ্টেম্বর চিতা নামবিয়া থেকে মধ্যপ্রদেশে পৌঁছবে।
চিতা আনার জন্য নামবিয়াতে বি-৭৪৭ এর একটি বৃহৎ বিমান ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছে। জানা গিয়েছে নামবিয়া থেকে ভারতে মোট আটটি চিতা আনা হবে। এই বৃহৎ বিমানটি ইতিমধ্যে নামবিয়ার রাজধানী উইন্ডহোয়েকের একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।
চিতা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে এটি বিশ্বের বৃহত্তম আন্তঃমহাদেশীয় প্রকল্প। আটটি চিতা আনতে নামবিয়ায় একটি বিশেষ বিমান অবতরণ করেছে বলে জানা গিয়েছে। এই বিমানের সামনে বাঘের মুখ আঁকা রয়েছে। বিমানটির গুরুত্ব বোঝাতে বাঘের মুখ আঁকা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নামবিয়ায় ভারতীয় হাইকিশনের তরফে জানানো হয়েছে, চিতা স্থানান্তরনের ক্ষেত্রে ভারত একটি বড় প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই সাহসী ভূমিকার জন্য ভারতকে শুভেচ্ছা।
ভারতীয় বন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "দেশে আফ্রিকান চিতা পরিচিতি প্রকল্প প্রথম ২০০৯ সালে গ্রহণ করা হয়েছিল। গত বছর নভেম্বরে জাতীয় উদ্যানে চিতা নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে করোনা মহামারী, ধারাবাহিকভাহে লকডাউনের কারণে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয়নি। শিকারের জন্য ভারত থেকে চিতার অবলুপ্তি ঘটে।"
এছাড়াও জানা যাচ্ছে এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে চিতা নিয়ে যাওয়ার জন্য এই বৃহৎ বিমানটিকে বিশেষ উপায়ে তৈরি করা হয়েছে। সাভানার বিস্তীর্ণ এলাকা ও এশিয়ার চিতা পরিবহণের ওপর গুরুত্ব দিয়েই এই বিমানটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখানে একাধিক চিতা নিয়ে যাওয়ার যেমন সুবিধা রয়েছে। তেমনি পশু চিকিৎসকরাও এই বিমানে প্রয়োজনীয় ওষুধ নিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন। এই বিমানের অভ্যন্তরে বিশেষ খাঁচার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে স্বাচ্ছন্দে বিমানের অভ্যন্তরে চিতাগুলোকে এক মহাদেশ থেকে অন্য নিয়ে যেতে সুবিধা হয়।
- Related topics -
- দেশ
- ভারত
- চিতাবাঘ
- নামবিয়া
- মধ্যপ্রদেশ