ইন্টারনেটের প্রায় সর্বক্ষেত্রেই রমরমা ই কমার্স কথাটির ; তাহলে জেনে নেওয়া যাক ই কমার্স সম্পর্কিত কিছু কথা
ই-কমার্স সম্পর্কে অনেকই এখনো হয়তো সম্পূর্ণরূপে অবগত নন । তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা ই-কমার্স কাকে বলে, ই-কমার্স এর ইতিহাস, এবং প্রকারভেদ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব
ই-কমার্স কাকে বলে ?
অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন জিনিস কেনাবেচা করার জন্য যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, সেটিকে ই-কমার্স বলে। ই-কমার্স এর মাধ্যমে সাধারণ ব্যক্তি থেকে শুরু করে বড় বড় কোম্পানি বিভিন্ন সার্ভিস এবং প্রোডাক্ট এর আদান-প্রদান ও আয়-ব্যয় করে থাকে।
ই-কমার্স এর ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নিন
1979 সালে Michael Aldrich নামক এক ব্যক্তি প্রথমবার Teleshopping নামক একটি সিস্টেম তৈরি করেন যেটির উদ্দেশ্য ছিল, কোন প্রোডাক্ট এর অ্যাডভার্টাইজমেন্ট টিভিতে হবে এবং অনলাইনের মাধ্যমে সেই প্রোডাক্ট গুলি কেনা যাবে কিনা তা নির্ধারণ করা। । সেই পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে ১৯৯১ সালে, প্রথমবার ইন্টারনেটে ই-কমার্স এর সূচনা করা হয়। বর্তমানে আরও নতুন নতুন ওয়েবসাইট এই ই-কমার্স ক্যাটাগরিতে যুক্ত হয়।
ই-কমার্সের কয়টি প্রকারভেদ রয়েছে
বিভিন্ন রকমের ওয়েবসাইটের কাঠামো অনুযায়ী ই-কমার্স ওয়েবসাইট কে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়। সেগুলি সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
১. Business-To-Business (B2B)
এই প্রক্রিয়ায় একজন ব্যবসাদার এর সাথে অন্য ব্যবসাদারের বা একটি কোম্পানির সাথে অন্য কোম্পানির লেনদেন হয়। যেমন- এক কোম্পানি থেকে আরেক কোম্পানিতে সফটওয়ারের আদান-প্রদান।
২. Business-To-Consumer (B2C)
এই প্রক্রিয়ায় একজন ব্যবসাদার বা একটি কোম্পানি, সরাসরি ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে কাস্টমারের কাছে প্রোডাক্ট ও সার্ভিস পৌঁছে দেয়। যেমন- কোন অনলাইন ওয়েবসাইট থেকে কোন প্রোডাক্ট কেনা।
৩. Consumer-to-Consumer (C2C)
এই প্রক্রিয়ায় একজন কাস্টমার অন্য আরেক কাস্টমারকে, তার প্রোডাক্ট ও সার্ভিস লেনদেন করে। যেমন- কোন সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি, সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল, বাড়ি ইত্যাদি।
৪. Consumer-to-Business (C2B)
যখন কোন কনজিউমার বা কাস্টমার কোন কোম্পানিকে তার সার্ভিস বা প্রোডাক্ট বিক্রি করে তখন এটি C2B সিস্টেম এর অন্তর্ভুক্ত হয়।
- Related topics -
- টেকনোলজি
- ই-কমার্স
- প্রযুক্তি
- অনলাইন শপিং