Global Warming | হিমালয় অঞ্চলে দ্রুত গলে যাচ্ছে শতাধিক হিমবাহ! সেই বরফগলা জলে বাড়ছে হ্রদের আয়তন! বড়সড় বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিলো ISRO!
হিমালয় অঞ্চলে দীর্ঘ সময়ের উপগ্রহ মানচিত্র খতিয়ে দেখা গিয়েছে, অন্তত ১০ হেক্টর আয়তনবিশিষ্ট ২৪৩১টি গ্লেসিয়াল লেক বা হিমবাহ গলা জল থেকে তৈরি হ্রদ তৈরি হয়েছে। গ্লেসিয়াল লেকের আয়তন বেড়েছে অনেকেটা। এর মধ্যে ১৩০টিই ভারতে।
সময়ের সঙ্গে বদলাচ্ছে বিশ্বের পরিবেশ, বাড়ছে তাপমাত্রা। পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া (west bengal weather) যেন ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। এপ্রিল মাসেই ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পেরিয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। কেবল পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া (west bengal weather) নয় বদলাচ্ছে গোটা দেশ এমনকি বিশ্বের আবহাওয়াও।এর নেপথ্যে বিশ্ব উষ্ণায়নকেই দায়ী করছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। বিশ্ব উষ্ণায়নের ছবি (global warming photos) প্রায়শই ধরা পরে প্রকৃতিতে। কিন্তু সম্প্রতি বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে ইসরো (ISRO) ভয়াবহ চিত্র সামনে এনেছে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, হিমালয় অঞ্চলে শতাধিক হিমবাহ দ্রুত গলে যাচ্ছে। আর সেই বরফগলা জলে বাড়ছে হ্রদের আয়তন। যা বড়সড় বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা।
হিমালয় অঞ্চলে গলছে শতাধিক হিমবাহ!
হিমালয় অঞ্চলে দীর্ঘ সময়ের উপগ্রহ মানচিত্র খতিয়ে দেখা গিয়েছে, অন্তত ১০ হেক্টর আয়তনবিশিষ্ট ২৪৩১টি গ্লেসিয়াল লেক বা হিমবাহ গলা জল থেকে তৈরি হ্রদ তৈরি হয়েছে ২০১৬-১৭ সালে। ১৯৮৪ থেকে ৬৭৬টি গ্লেসিয়াল লেকের আয়তন বেড়েছে অনেকেটা। এর মধ্যে ১৩০টিই ভারতে। এই ১৩০টির মধ্যে সিন্ধু নদী অববাহিকায় ৬৫টি, গঙ্গা নদী অববাহিকায় সাতটি এবং ব্রহ্মপুত্র নদী অববাহিকায় ৫৮টি হ্রদ রয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। হিমালয় অঞ্চলে দীর্ঘসময়ের উপগ্রহ মানচিত্র খতিয়ে দেখা গিয়েছে, অন্তত ১০ হেক্টর আয়তনবিশিষ্ট ২৪৩১টি গ্লেসিয়াল লেক তৈরি হয়েছে ২০১৬-১৭ সালে। এদিকে ১৯৮৪ থেকে ৬৭৬টি গ্লেসিয়াল লেকের আয়তন বেড়েছে অনেকেটা। এর মধ্যে ১৩০টিই ভারতে। এই ১৩০টির মধ্যে সিন্ধু নদী অববাহিকায় ৬৫টি, গঙ্গা নদী অববাহিকায় সাতটি এবং ব্রহ্মপুত্র নদী অববাহিকায় ৫৮টি হ্রদ রয়েছে। যে ৬৭৬টি হ্রদের উল্লেখ করা হয়েছে এর মধ্যে ৬০১টি হ্রদের আয়তন অন্তত দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দেড় থেকে দুই গুণ আয়তন বেড়েছে ১০টি হ্রদ। দেড় গুণ আয়তন বেড়েছে এমন হ্রদের সংখ্যা ৬৫। উচ্চতার নিরিখে দেখা যাচ্ছে, চার থেকে পাঁচ হাজার মিটার উচ্চতায় রয়েছে ৩১৪টি এবং পাঁচ হাজার মিটার উচ্চতার উপরে রয়েছে ২৯৬টি হ্রদ। হিমাচল প্রদেশে ৪০৬৮ মিটার উচ্চতায় গেপং গাথ গ্লেসিয়াল লেকের আয়তন বেড়েছে ১৭৮%। ১৯৮৯ সালে এই হ্রদের আয়তন ছিল ৩৬.৪৯ হেক্টর। সেটিই ২০২২ সালে বেড়ে হয়েছে ১০১.৩০ হেক্টর। অর্থাৎ বছরে ১.৯৬ হেক্টর আয়তন বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশ্ব উষ্ণায়নের এই ছবি (global warming photos) সামনে আসায় গোটা ঘটনায় উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা। বিশ্ব জলবায়ু সংস্থা জানিয়েছে, গত বছর গোটা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আবহাওয়াগত বিপর্যয়ের সাক্ষী থেকেছে এশিয়া। বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির থেকেও এই মহাদেশে উষ্ণতা বৃদ্ধির হার বেশি। গত বছর এশিয়ায় আবহাওয়াগত বিপর্যয়ের সংখ্যা ৭৯। তার জেরে দু’হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান। প্রভাবিত ৯০ লক্ষেরও বেশি মানুষ। তবে এই হিমাবহ গলার ঘটনায় হ্রদ যে ভাবে বেড়ে চলেছে তা ভবিষ্যতে মানালি লে হাইওয়ে পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তার জেরে প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা ওই অঞ্চলের জনবসতিরও। যার ফলে বিজ্ঞানীরা বলছেন, অবিলম্বে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করা প্রয়োজন।
এই ঘটনা নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গেও আলোচনা প্রয়োজন বলে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। গত বছর সিকিমের লোনাক হ্রদের জল উপচে বন্যার প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন ওই হিমবাহবিদ। প্রসঙ্গত হিমবাহের জলে পুষ্ট লেকে হঠাৎ যদি জলের পরিমাণ বেড়ে যায়, তা থেকে ভয়ঙ্কর বন্যা সৃষ্টি হতে পারে। এদিকে একেই বর্ষাকালে ভারতের বহু জায়গায় প্রবল বন্যা দেখা গিয়েছে। তাপপ্রবাহের জেরেই গত বছর এপ্রিল ও জুনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১১০ জন। এমনকি বসন্তেও তাপপ্রবাহ থেকে রেহাই পাননি দেশবাসী। এক্ষেত্রে নতুন করে চিন্তা ধরাচ্ছে হিমালয় অঞ্চলে শতাধিক হিমবাহর গলার ঘটনা।
- Related topics -
- অন্যান্য
- ইসরো
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
- বিজ্ঞানী
- বিশ্ব উষ্ণায়ন