Cyclone Mocha | দুই বঙ্গেই ঝড়-বৃষ্টির সতর্কতা জারি! পশ্চিমবঙ্গের দিকে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোকা!
বঙ্গোপসারে ফুঁসছে ঘূর্ণিঝড়। দিন কয়েকের মধ্যেই আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় মোকা!
বঙ্গোপসারে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই সম্পূর্ণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে প্রকোপ ফেলতে চলেছে 'মোকা' (Cyclone Mocha)। তবে এখনও জানা যায়নি এর গতিপ্রকৃতি। তবে ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি (Thunderstorm) হবে গোটা বঙ্গে। কোথাও কোথাও আবার শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় নির্ভর করছে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর। শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে (Southeast Bay of Bengal) ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যার প্রভাবে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ওই অঞ্চলে নিম্নচাপ তৈরি হবে। পরে সেই নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়ে।
তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের গতি প্রকৃতি সম্পর্কে এখনও সেভাবে কোনও তথ্য পায়নি আবহাওয়া দফতর (Alipore Weather Office)। নিম্নচাপ 'মোকা' ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে কোন দিকে যাবে তা জানা যাবে আগামী সাতদিনের মধ্যেই। প্রাথমিকভাবে মোকা ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ বাংলাদেশ অথবা মায়ানমার উপকূলের দিকে। কিন্তু এর গতিপথ ঘুরলে তা আছড়ে পড়বে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে। যদি এই সম্ভাবনাই সত্যি হয় তাহলে কতটা প্রভাব পড়বে সে সম্পর্কেও এখনই ধারণা করতে পারছেন না আবহাওয়াবিদরা।
সূত্রের খবর, আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকেই পরিবর্তন হবে আবহাওয়ার। আগামী ৩ থেকে ৪ দিন তাপমাত্রা বাড়বে ২-৪ ডিগ্রি। তবে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে বইতে পারে দমকা হাওয়া। শিলাবৃষ্টি ও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায় শিলাবৃষ্টি হতে পারে বলে জানায় হাওয়া দফতর। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে পার্বত্য এলাকাতেও বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক বছর ধরে মে মাসে একের পর এক ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। ২০২০ সালে 'আমফান', ২০২১ সালে ‘যশ’, ২০২২ সালে ‘অশনি’। ওই বছরের অক্টোবর মাসে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ও। এবার ২০২৩ সালে বঙ্গোপসাগরে ফুঁসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’। তবে এই ঘূর্ণিঝড় আমাদের রাজ্যে আসবে নাকি পড়শি রাজ্য ওড়িশাতে (Odisha) তা এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না আবহাওয়াবিদরা।
উল্লেখ্য, মোকা ঘূর্ণিঝড় নিয়ে মঙ্গলবারই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক (Naveen Patnaik)। ওড়িশা সরকার সূত্রে খবর, সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি রাজ্য বিপর্য়য় মোকাবিলা বাহিনী এবং দমকল বিভাগকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওড়িশা সরকারের থেকে। প্রয়োজনে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা থেকে এখন থেকেই নিরাপদ দূরত্বে স্থানীয় মানুষ জনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন নবীন। ত্রাণকার্য এবং পুনর্বাসন নিয়েও সতর্ক ওড়িশা সরকার।