Weather Update | বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে! উত্তরবঙ্গে প্লাবন ও ধসের সতর্কতা!
বুধবার সারাদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে। আগামীকাল থেকেই বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে উত্তরবঙ্গে, জারি সতর্কতা।
গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাত থেকেই চলছে, বিরামহীন বৃষ্টি। যার ফলে কলকাতার (Kolkata) অনেকাংশে জমেছে জল। আপাতত গোটা রাজ্য জুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত চলবে বলে জানা গিয়েছে। এদিন একটানা বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে কলকাতা, হাওড়া (Howrah), উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (North and South 24 Parganas)।
আইএমডি-র ওয়েদার আপডেট (IMD Weather Update) অনুযায়ী, আজ অর্থাৎ ২৮ জুন বুধবার বিকেল থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে। আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা কম রয়েছে। তবে জানা গিয়েছে, শহর কলকাতায় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলে ইতিমধ্যে নিচু, প্লাবিত এলাকাগুলিতে ট্রাফিক কনজেশন (Traffic Congestion) এবং বজ্রপাতের কারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Weather Department)।
বিক্ষিপ্তভাবে হলেও আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। দক্ষিণবঙ্গে কিছুটা বৃষ্টি কমার সম্ভাবনা থাকলেও উত্তরবঙ্গে বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। এদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মালদা (Malda), উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে (North and South Dinajpur)। পাশাপাশি প্রবল বৃষ্টিপাতের সর্তকতা জারি করা হয়েছে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলা, দার্জিলিং (Darjeeling) ,কালিম্পঙ (Kalimpong), আলিপুরদুয়ার (Alipurduar), কোচবিহার (Coochbehar) ও জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri)। জানা গিয়েছে এর মধ্যে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
ইতিমধ্যেই প্রচন্ড বৃষ্টিপাতের জেরে তিস্তা (Teesta), তোর্সা (Torsha), জলঢাকা (Jaldhaka) সহ উত্তরবঙ্গের নদীগুলির জলস্থল বাড়ছে। এমনকি জলস্তর বেড়ে বিপদসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। ফলে নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় ধস (Landslide) নামতে পারে বলেও খবর।
প্রসঙ্গত, গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার কপ্টার থেকে নামতে গিয়ে পায়ে চট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের লিগামেন্টে (Ligament) চোট লেগেছে। পাশাপাশি তাঁর হাঁটুতে জল জমার চিহ্নও পাওয়া গিয়েছে। চিকিৎসকরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিলেও আপাতত বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করাতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএসকেএম হাসপাতাল (SSKM Hospital) সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীকে নিক্যাপ (Nicap) দেওয়া হয়েছে। আপাতত তাকে বিশ্রামে থাকার জন্য এবং হাঁটাচলা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বলেছেন চিকিৎসকরা। সঙ্গে লাগাতে হবে আইসপ্যাকও। আপাতত ১৫ দিন পুরোপুরি বিশ্রাম নেওয়ার পর তার শারীরিক উন্নতি কতটা হচ্ছে তারওপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন ডাক্তাররা।
অন্যদিকে হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, বঙ্গোপসাগরের (Bay of Bengal) ওপর তৈরি নিম্নচাপের ফলেই বৃষ্টি হচ্ছে দুই বঙ্গে। জানা গিয়েছে, আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টি পরিস্থিতি জারি থাকবে, উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্য গুলিতে। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে ছত্রিশগড় (Chhattisgarh), মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh), ওড়িশা (Odisha), উত্তরাখন্ড (Uttarakhand), কঙ্কন (Konkan), গোয়া (Goa), কেরালা (Kerala), মাহে (Mahe), রাজস্থান (Rajasthan) ও বিদর্ভ (Vidarbha) এলাকায়। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে পঞ্জাব (Punjab), হরিয়ানা (Haryana), চন্ডিগড় (Chandigarh), দিল্লি (Delhi) সহ দেশের বিভিন্ন এলাকা।
জানা গিয়েছে, বাংলা পেরিয়ে আরো দ্রুত এগিয়ে চলেছে বর্ষা। খুব কম সময়ের মধ্যেই গোটা দেশে ছেয়ে যাবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। মৌসুমী অক্ষরেখা যোধপুর (Jodhpur), নার্নাউল (Narnaul), ফিরোজপুরের (Ferozepur) ওপর অবস্থান করছে। আগামী দু-তিন দিনে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু গুজরাট (Gujarat), রাজস্থান (Rajasthan), হরিয়ানা (Haryana) পঞ্জাবের (Punjab) বাকি অংশ ঢুকে পড়বে।