নাট্য রত্ন গিরিশচন্দ্র ঘোষ | Biography of Girish Chandra Ghosh

Friday, May 13 2022, 9:27 am
highlightKey Highlights

গিরিশচন্দ্র ঘোষ ছিলেন একজন বিশিষ্ট বাঙালি সংগীতস্রষ্টা, কবি, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, নাট্যপরিচালক ও নট। বাংলা থিয়েটারের স্বর্ণযুগ মূলত তারই অবদান। ১৮৭২ সালে তিনিই প্রথম বাংলা পেশাদার নাট্য কোম্পানি ন্যাশানাল থিয়েটার প্রতিষ্ঠা করেন।


ভূমিকা | Introduction of Girish Chandra Ghosh

বাংলা থিয়েটারের স্বর্ণযুগের কর্ণধার গিরিশচন্দ্র ঘোষ ছিলেন একজন বিশিষ্ট বাঙালি সংগীতস্রষ্টা, কবি, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, নাট্যপরিচালক ও নট। ১৮৭২ খ্রীস্টাব্দে তিনিই প্রথম বাংলা পেশাদার নাট্য কোম্পানি ন্যাশানাল থিয়েটার প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।

জন্ম ও শিক্ষা | Birth & Education of Girish Chandra Ghosh

Trending Updates

১৮৪৪ সালে  ২৮ শে ফেব্রুয়ারি কলকাতার বাগবাজার অঞ্চলের গিরিশচন্দ্র  ঘোষ জন্মগ্রহণ করেন।  পিতামাতার অষ্টম সন্তান, গিরিশচন্দ্র ঘোষ  প্রথমে হেয়ার স্কুল ও পরে ওরিয়েন্টাল সেমিনারি বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছিলেন। তবে বাল্যকালেই  বাবা-মায়ের মৃত্যু হলে গিরিশচন্দ্র লেখাপড়ার প্রতি অনেকটা অমনোযোগী হয়ে পড়ে। ১৮৬২ সালে পাইকপাড়া স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছিলেন। এখানেই তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সমাপ্তি ঘটেছিল। পরবর্তী জীবনে তিনি বন্ধু ব্রজবিহারী সোমের দ্বারা বিশেষ ভাবে প্রভাবিত হয়ে স্বইচ্ছায়  প্রচুর অধ্যয়ন করেন। ইংরেজি ও হিন্দু পুরাণে  ও জ্ঞান অর্জন করেছিলেন।

কর্মজীবন | Career of Girish Chandra Ghosh

অধ্যয়ন পর্বের অবসান ঘটলে গিরিশচন্দ্রের জীবন কিছুটা উচ্ছৃঙ্খল , স্বেচ্ছাচারি ও মদ্যপ হয়ে ওঠে। সেই পরিস্থিতিতে  শ্বশুরমশাই এর সহায়তায় তিনি অ্যাটকিনসন টিলকন কোম্পানিতে শিক্ষানবিশের চাকরিতে নিযুক্ত হন। ওই অফিসে বইয়ের  রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বের  ভার তাঁর ওপর ন্যস্ত ছিল।  তিনি দক্ষতার সহিত বুক-কিপারের কাজটি করতে থাকেন । চাকরির সাথে সাথে তিনি এ সময় নানা বিষয় পড়াশোনা করে জ্ঞানপ্রাপ্ত হন এবং  স্বশিক্ষিত হয়ে উঠেছিলেন। ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের দ্বারা তিনি প্রভাবিত হয়েছিলেন এবং ফল স্বরূপ  তিনি প্রথমে গান ও কবিতা রচনায় মনোনিবেশ করেছিলেন  এবং পরে নাট্যমঞ্চের সঙ্গে যুক্ত হন এবং  নাটকও লিখতে শুরু করেন । 

গিরিশ ঘোষের বাড়ি
গিরিশ ঘোষের বাড়ি

গিরিশচন্দ্র ঘোষ নাট্যজীবনে প্রবেশ করেন ১৮৬৭ সালে বাগবাজার সখের যাত্রাদল-প্রযোজিত মধুসূদনের 'শর্মিষ্ঠা' নাটকের গীতিকার হিসেবে। পরবর্তীকালে দীনবন্ধু মিত্রের 'সধবার একাদশী' নাটকে তিনি নিমচাঁদ চরিত্রে অভিনয় করে বেশ সুনাম অর্জন করেছিলেন । গিরিশচন্দ্র  সে কালে সকালে অফিস করতেন ও সন্ধের পরে এসে অভিনয় শিক্ষা দিতেন। ১৮৭১ সালে বাগবাজার দল ন্যাশনাল থিয়েটার নামকরণ  অনুসারে প্রথম সাধারণ রঙ্গমঞ্চ প্রতিষ্ঠা করে অভিনয় আরম্ভ করে। কিন্তু মতবিরোধের কারণ বশত, গিরিশচন্দ্র কয়েক জন অনুগামীসহ দলত্যাগ করেছিলেন। । ১৮৮০ খ্রীস্টাব্দে  তিনি পার্কার কোম্পানির চাকরি পরিত্যাগ করেন এ স্বল্প বেতনে গ্রেট ন্যাশনাল থিয়েটারের এক শত টাকার বেতনে  ম্যানেজার পদে নিযুক্ত হন।১৮৭৭ সালে তাঁর রচিত প্রথম মৌলিক নাটক ,'আগমনী'এ মঞ্চেই অভিনীত হয়েছিল।১৮৮৩ সাল থেকে ১৯০৭ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২৪ বছর সময়কালে গিরিশচন্দ্র স্টার, এমারেল্ড, মিনার্ভা, ক্লাসি, কোহিনূর প্রভৃতি রঙ্গশালায় পরিচালনার কাজ করেছিলেন।

চৈতন্যলীলা
চৈতন্যলীলা

পরে ১৯০৮ খ্রীস্টাব্দে তিনি মিনার্ভা থিয়েটারে অধ্যক্ষ পদে আসীন হয়েছিলেন  এবং সেখানেই আমৃত্যু তিনি  নিযুক্ত ছিলেন।১৮৮৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর  গিরিশ ঘোষ নটী বিনোদিনীকে নিয়ে কলকাতার  স্টার থিয়েটারে, ' চৈতন্যলীলা' নাটকটি মঞ্চস্থ করেছিলেন। বিনোদিনীর অভিপ্রায় ছিল এই যে নতুন থিয়েটার তৈরি হলে তা বিনোদিনীর নামকরণ অনুসারে  বি-থিয়েটার হবে । কিন্তু তিনি প্রতারণার শিকার হন । তাই বাস্তবে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।প্রতারকদের মধ্যে যিনি অন্যতম ছিলেন তিনি হলেন  তার নিজের অভিনয় গুরু গিরিশচন্দ্র ঘোষ। রামকৃষ্ণ পরমহংস সেই নাটক দেখতে এসেছিলেন এবং মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে ছিলেন।পরবর্তীকালে উভয়েই ঠাকুরের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন।  মদ্যপ ও স্বেচ্ছাচারী হওয়া সত্ত্বেও গিরিশচন্দ্র ঘোষ শ্রীরামকৃষ্ণের এক অন্যতম অন্তরঙ্গ শিষ্যে পরিণত হয়েছিলেন। তিনি বিবেকানন্দের মতন মনীষীর ও  বন্ধুত্ব লাভ করেছিলেন। "শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত" গ্রন্থে উল্লিখিত হয়েছে যে কি প্রকার শ্রীরামকৃষ্ণের সান্নিধ্যে আসবার পর  গিরিশচন্দ্রের নৈতিক পরিবর্তন ঘটে এবং তিনি শ্রীরামকৃষ্ণদেবের ঘনিষ্ঠতম শিষ্যদের একজন হয়ে উঠেছিলেন।

নাট্য রচনা | Drama composition of Girish Chandra Ghosh

গিরিশ রচনাবলী
গিরিশ রচনাবলী

গিরিশচন্দ্র রামকৃষ্ণদেবের শিষ্যত্ব গ্রহণ করার পর  ধর্মভাবে অনুপ্রাণিত হন ও  বহু পৌরাণিক ও ভক্তিমূলক নাটকও রচনা  করেম।'চৈতন্যলীলা 'ও 'বিল্বমঙ্গল ঠাকুর' গিরিশচন্দ্রের আদর্শ ভক্তিরসের নাটক রূপে বহু পরিচিত। পৌরাণিক, ঐতিহাসিক ও সামাজিক বিষয় নিয়ে লেখা তাঁর নাটকের সংখ্যা মোট আশি । এদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় নাটকগুলো হল: অভিমন্যুবধ (১৮৮১), সীতার বনবাস (১৮৮১), সীতাহরণ (১৮৮২), পান্ডবের অজ্ঞাতবাস (১৮৮২), প্রফুল্ল (১৮৮৯), জনা (১৮৯৪), আবু হোসেন (১৮৯৬), বলিদান (১৯০৪), সিরাজদ্দৌলা (১৯০৫), মীরকাশিম (১৯০৬), ছত্রপতি শিবাজী (১৯০৭), শঙ্করাচার্য (১৯১০), বিল্বমঙ্গল ঠাকুর প্রভৃতি। প্রেম ও ভক্তিমূলক রচনা ,স্বদেশপ্রীতি ও সমকালীন সামাজিক সমস্যাসমূহ  ছিল গিরিশচন্দ্রের নাটকের বিষয়বস্তু।এগুলি ছাড়া ও গিরিশচন্দ্র শেকসপীয়রের ম্যাকবেথ (১৮৯৩) নাটকের বাংলা অনুবাদ করেছিলেন, বঙ্কিমচন্দ্রের মৃণালিনী, বিষবৃক্ষ ও দুর্গেশনন্দিনী উপন্যাস, মধুসূদনের মেঘনাদবধ কাব্য এবং  নবীনচন্দ্রের পলাশীর যুদ্ধ কাব্যের নাট্যরূপ প্রদান করেছিলেন। বেশির ভাগ নাটকে বিভিন্ন চরিত্রে গিরিশচন্দ্র ঘোষ স্বয়ং নিজেই  অভিনয় করেছেন এবং তার সাথে সাথে বহু অভিনেতা-অভিনেত্রীকে অভিনয়ের  সুযোগ করে দেওয়ার  মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে একটি  অভিনয় স্কুল স্থাপন করেছিলেন ।

গিরিশ ঘোষ
গিরিশ ঘোষ

মধুসূদন দত্ত কর্তৃক আবিষ্কৃত  চোদ্দ মাত্রার অমিত্রাক্ষর ছন্দকে ভেঙে তিনি অভিনয়ের সুবিধার্থে ছোট ছোট ছত্রে বিন্যস্ত করেছিলেন। এই নতুন উদ্ভাবনের কারণে গিরীশচন্দ্র ঘোষের নামানুসারে সেই ছন্দের নাম হয় ‘গৈরিশ ছন্দ’। বাংলা ভাষায়  সর্বাধিক  নাটক রচনা করেছিলেন  তিনি।  গিরিশচন্দ্র মঞ্চাভিনয়ের জগতে অসাধারণ ব্যক্তিত্বের নিদর্শনে রূপে নিজের প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন ও অসামান্য  অভিনয় দক্ষতার   প্রদর্শন করেছিলেন যার জন্য তিনি এক জীবন্ত কিংবদন্তিতে পরিণত হয়েছিলেন। ১৮৭৭ খ্রীস্টাব্দে  'মেঘনাদবধ কাব্যে'  রামচন্দ্র ও মেঘনাদ উভয় ভূমিকায় তাঁর অসামান্য অভিনয় দেখে সাধারণী পত্রিকার সম্পাদক অক্ষয়চন্দ্র সরকার গিরীশ চন্দ্র ঘোষকে  ‘বঙ্গের গ্যারিক’ আখ্যায় সম্মানিত করেছিলেন। গিরিশচন্দ্রের অন্যান্য অবিস্মরণীয়   নাটকগুলি হল;  দক্ষযজ্ঞ, পাণ্ডবের অজ্ঞাতবাস, জনা, পাণ্ডবগৌরব, প্রফুল্ল, হারানিধি, কালাপাহাড়, আবুহোসেন প্রভৃতি।

অভিনেতা গিরীশ চন্দ্র ঘোষ | Actor life of Girish Chandra Ghosh

নানা রঙের আধার, গিরিশচন্দ্র ঘোষ প্রথমে অভিনেতা, তার পরে মঞ্চাধ্যক্ষ এবং তার পরে নাট্যকার। একই সঙ্গে কবিবর, সাঙ্গীতিক, প্রাবন্ধিক ও সম্পাদক। কিন্তু তাঁর নাট্যকার পরিচিতির জনপ্রিয়তায়  বহু সত্তা ঢাকা পড়ে গেছে। অভিনয়-শিল্পী গিরিশচন্দ্রের  মহত্তম চরিত্রগুলি যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সেই অভিনয়শৈলী ভুলতে পারেননি। ‘কৃষ্ণকুমারী’ নাটকে শোকোন্মাদ ভীমসিংহের চরিত্র যেখানে ’ গিরিশের ‘মানসিংহ’ গর্জনে কয়েক জন দর্শক বিহ্বল পড়ে গেয়েছিলেন। ‘জনা’ নাটকে তিনি বিদূষকের ভূমিকায় অসামান্য অভিনয় প্রদর্শন করে  সিরিয়ো-কমিক শৈলীর সাথে বঙ্গমঞ্চের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। বিশিষ্ট দর্শক ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় লিখেছিলেন জগাই-মাধাই চরিত্রে গিরিশ-মুস্তাফীর  অনন্যসাধারণ অভিনয়ের কথা। ঠিক যেন  নটের শরীরের দুই অংশ দু’টি আলাদা ভঙ্গিতে কথা বলছে। আর এক বিশিষ্ট দর্শক গিরিশচন্দ্র কে চাক্ষুষ ধর্ষণ করে তাঁর  স্মৃতিকথা শুনিয়েছেন  আরএক তরুণ অভিনয়-শিক্ষার্থীকে। ‘শিবাজী’ নাটকে ‘আওরংজেব’-এর চরিত্রে গিরিশচন্দ্র গোটা মঞ্চে আলোড়ন তুলে দিয়েছিল। তাঁর চাউনি, সংযম, স্বরপ্রয়োগ— সবই তাঁর অসামান্য অভিনয় দক্ষতার ই ফল। তিনি স্টেজের সঙ্গে অন্য জগতের যোগ স্থাপন করে ফেলতেন তাঁর বলিষ্ঠ অভিনয় ক্ষমতার মাধ্যমে । 

গিরীশ চন্দ্র ঘোষ
গিরীশ চন্দ্র ঘোষ

চলচ্চিত্রায়ন | Film-making of Girish Chandra Ghosh

কাজী নজরুল ইসলাম গিরিশ ঘোষ রচিত ,' ভক্ত ধ্রুব' উপন্যাসটি চলচ্চিত্রায়িত করেছিলেন। এছাড়া ১৯৫৬ খ্রীস্টাব্দে  মধু বসুর পরিচালিত মহাকবি গিরিশচন্দ্র চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেয়েছিল যা গিরিশচন্দ্র ঘোষের জীবনী নিয়ে লেখা।

মৃত্যু | Girish Chandra Ghosh’s death

এক কিংবদন্তি নাট্যকার ,ঔপন্যাসিক,প্রবন্ধকার লেখক ও অভিনেতা গিরিশচন্দ্র ঘোষের ১৯১২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় জীবনাবসান ঘটে।

উপসংহার | Conclusion of Girish Chandra Ghosh

প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব গিরিশচন্দ্র ঘোষ সারা জীবন বিভিন্ন রঙ্গালয়ে যশ ও প্রতিপত্তিসহ নট, নাট্যকার ও পরিচালকের দায়িত্ব দক্ষতার সাথে পালন করে গেছেন  এবং  বাংলা নাট্য ও অভিনয় জগতে প্রভূত উন্নতি সাধন করেছিলেন। অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ও অভিনয়ের প্রতিভাবলে এক জীবন্ত কিংবদন্তিতে পরিণত হয়েছিলেন তিনি । প্রথম জীবনে উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন করা সত্ত্বেও তিনি প্রমাণ করে গেছেন যে প্রকৃত প্রতিভার ক্ষয় হয় না। তাঁর সুপ্ত প্রতিভার বিচ্ছুরণ প্রকাশ পেয়েছিল পরবর্তীকালে তাঁর সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে। আগামী প্রজন্মের নতুন নাট্যকারদের জন্য  তিনি যে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে দিয়েছিলেন বহু বছর আগে, তা বর্তমানে এবং  চিরকাল অমলিন হয়ে থাকবে ।তাঁর  চিরস্মরণীয় অবদানের কথা বহু বছর কাল ধরে  স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে ইতিহাসের পাতায়।

প্রশ্নোত্তর - Frequently Asked Questions

গিরিশচন্দ্র ঘোষ কোথায় ও কবে জন্মগ্রহণ করেন?

২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৮৪৪ সালে,বাগবাজারে।

শিক্ষাজীবনের গিরিশচন্দ্র ঘোষ কোন দুইটি স্কুলে অধ্যয়ন করেছিলেন ?

তিনি প্রথমে হেয়ার স্কুল এবং পরে ওরিয়েন্টাল সেমিনারিতে অধ্যয়ন করেন।

সধবার একাদশী' নাটকে গিরিশচন্দ্র ঘোষ কোন চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন?

’সধবার একাদশী’ নাটকে নিমচাঁদের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।

কোন নাটকের মাধ্যমে গিরিশচন্দ্র ঘোষ নাট্য জগতে পদার্পণ করেছিলেন?

শর্মিষ্ঠা নাটক।

নটী বিনোদিনীকে নিয়ে গিরিশচন্দ্র কোন নাটকটি মঞ্চস্থ করেছিলেন?

চৈতন্যা লীলা

 




পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File