তৃতীয়বার ভাইরাসের থাবা, সপরিবারে করোনা আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা বাবুল সুপ্রিয়
দিল্লি এবং মুম্বাইয়ের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য রাজ্যেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনা সংক্রমণ। এরই মধ্যে পরিবার সহ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি নিজেই ট্যুইট করে জানিয়েছেন এই তথ্য।
কোভিড ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজ নিয়েও ফের তৃতীয়বার করোনায় আক্রান্ত হলেন বাবুল সুপ্রিয়। এবার ভাইরাসে আক্রান্ত তাঁর স্ত্রী এবং পিতা। এছাড়াও তাঁর সঙ্গে কর্মরত একাধিক তৃণমূল কর্মীর দেহেও সংক্রমণ ছড়িয়েছে।
সংক্রমণ কতটা ছড়িয়েছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বাবুল
করোনা ভ্যাকসিনের সম্পূর্ণ ডোজ নেওয়ার পর ও যে করোনা ফের তাঁর শরীরে থাবা বসাতে পারে তা বোঝেনি বাবুল সুপ্রিয়। ইতিমধ্যে তিনি বহু মানুষের সংস্পর্শে এসেছেন তাই ঠিক কতজন তাঁর দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী।
তিনি এবিষয়ে টুইটে উল্লেখ করেন, "এই নিয়ে তৃতীয়বার করোনায় আক্রান্ত হলাম। প্রথমবার ২০ নভেম্বর আমার শরীরে থাবা বসিয়েছিল করোনা। তখন করোনায় আমার মাকে হারিয়েছিলাম। কোনওমতে বাবাকে বাঁচাতে পেরেছিলাম। তারপর ফের ২১ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হই। পজিটিভ হওয়া নিয়ে চিন্তিত নই কিন্তু, যারা আমার সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদের নিয়ে উদ্বিগ্ন। জানি না কার থেকে কার মধ্যে ভাইরাস ছড়াচ্ছে। খুব কম সংখ্যক মানুষই মাস্ক পরছেন।"
ককটেল টীকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
করোনায় আক্রান্ত বাবুল একটি টুইটে লেখেন, "আমার বাবার ৮৪ বছর বয়স। এই মুহূর্তে তাঁর জরুরিভিত্তিতে ককটেল অ্যান্টিবডি ইঞ্জেকশনের প্রয়োজন। তবে বাজারে সেটি অমিল। ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজ নিয়েও যখন মানুষের শরীরে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে না, তখন সরকারের উচিত এই ককটেল ইঞ্জেকশন সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করা। ককটেল ইঞ্জেকশনই এখন নিড অফ দ্য আওয়ার।"
ককটেল ডোজের দাম ৬১ হাজার টাকা। এই দামে কীভাবে গরীব মানুষরা ককটেল ডোজ কিনবেন? তাঁর টুইটে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুর মান্ডিয়াকে ট্যাগ করে তাঁর প্রশ্নবাণ ছোড়েন।
- Related topics -
- রাজনৈতিক
- বাবুল সুপ্রিয়
- কোভিড ১৯
- কোভিড পজিটিভ