Ayodhya Masjid | অযোধ্যায় রামমন্দিরের পর এবার তৈরী হবে মসজিদ! মক্কা-মদিনা থেকে এলো 'শুদ্ধ' ইট! দেখুন অযোধ্যা মসজিদে রয়েছে কী কী চমক?

Wednesday, February 7 2024, 1:20 pm
highlightKey Highlights

অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের পর পরই তৈরী হতে চলেছে অযোধ্যা মসজিদ বা রাম মন্দির বাবরি মসজিদ। মসজিদের জন্য মক্কা মদিনা থেকে অযোধ্যায় এলো শুদ্ধ ইট।


মন্দিরের পর এবার মসজিদ! রাম মন্দির উদ্বোধন (Ram Mandir inauguration) এর পর এবার অযোধ্যায় মসজিদ তৈরীর প্রস্তুতি শুরু হলো। সূত্রের খবর, বিতর্কিত যে অংশ মুসলিম পক্ষকে দেওয়া হয়েছিল, সেই পাঁচ কাঠাতেই তৈরি হচ্ছে সুবিশাল অযোধ্যা মসজিদ (Ayodhya Masjid) বা রাম মন্দির বাবরি মসজিদ  (Ram Mandir Babri Masjid)। ইতিমধ্যেই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের জন্য মক্কা ও মদিনা থেকে প্রথম ইট এসে পৌঁছল অযোধ্যায়। সৌদির সেই ইট শোধনও করা হয়েছে বলে খবর।

অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের পর পরই তৈরী হতে চলেছে অযোধ্যা মসজিদ 
অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের পর পরই তৈরী হতে চলেছে অযোধ্যা মসজিদ 

সম্প্রতি মহা সমারোহে অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন (Ram Mandir inauguration) হয়েছে। ২২সে জানুয়ারি দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান শেষে 'নিজ ঘরে' ফেরেন রামলালা। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi) প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন। উপস্থিত ছিলেন দেশের মুনি ঋষি থেকে শুরু করে সেলেব্রেটিরাও। রামমন্দির উদ্বোধনের পরের দিনই জনসাধারণের জন্য খুলে গিয়েছে মন্দিরের দরজা। তবে এবার শীঘ্রই জনসাধারণের জন্য অযোধ্যাতেই তৈরী হতে চলেছে মসজিদ। রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ (Ram Mandir Babri Masjid) নিয়ে বোফা বিতর্ক ও আইনি ঝামেলার পর রাম মন্দিরের পাশাপাশি মসজিদ নির্মাণেরও অনুমতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই অনুমতি অনুযায়ী, অযোধ্যার ধান্যিপুরে অযোধ্যা মসজিদ (Ayodhya Masjid) এর নির্মাণকাজ শুরু হবে।

Trending Updates

জানা গিয়েছে, এপ্রিল মাসে নির্মাণকাজ শুরু করার জন্য ইতিমধ্যেই একটি ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে ফেলেছে মসজিদ ডেভেলপমেন্ট কমিটি। ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের ট্রাস্ট তৈরি করেছে উত্তর প্রদেশের সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড (UPSCWB)। তাদের উপরই এই মসজিদের যাবতীয় দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এই মসজিদের একটি নামকরণও করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। আগে এই মসজিদের নাম রাখা হয়েছিল ধন্নিপুর মসজিদ। অনেকে পরামর্শ দেন এটির নাম রাখা হোক, মসজিদ-ই-আমান। পরবর্তীতে এটির নামকরণ হয় মুহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ মসজিদ (Muhammad Bin Abdullah Masjid)। উল্লেখ্য, এই মসজিদের নাম হজরত মহম্মদের বাবার নামে নামকরণ করা হয়েছে।

এপ্রিল মাসে নির্মাণকাজ শুরু করার জন্য ইতিমধ্যেই একটি ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে ফেলেছে মসজিদ ডেভেলপমেন্ট কমিটি
এপ্রিল মাসে নির্মাণকাজ শুরু করার জন্য ইতিমধ্যেই একটি ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে ফেলেছে মসজিদ ডেভেলপমেন্ট কমিটি

অযোধ্যার এই মসজিদ পাঁচ মিনার বিশিষ্ট ৩৪০ ফুট উঁচু হবে বলে জানা গিয়েছে। এই পাঁচ চূড়া শাহদা (বিশ্বাসের প্রতীক), সালাহ (নমাজের প্রতীক), সাওয়ান (রোজার প্রতীক), জাকত (দানের প্রতীক) এবং হজের প্রতীক। এছাড়াও দু'টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে মসজিদটিকে। মহিলাদের জন্যও নমাজের বিশেষ অংশ রাখা হবে অযোধ্যার মসজিদে। পাশাপাশি দেওয়ালে খোদাই করা হবে কোরানের লাইন দিয়ে তৈরি ক্যালিগ্রাফি। মসজিদের তালা-চাবিটিও বিশেষভাবে তৈরি করা হবে বলে খবর। মসজিদে থাকবে একটি বড় বাগান, ফোয়ারা এবং জলের রিজার্ভার, বিশ্বের সর্ববৃহৎ কোরান। জানা গিয়েছে এই কোরান ২১ বাই ৩৬ ফুটের হবে। থাকবে একটি বিরাট অ্যাকোয়ারিয়াম এবং আন্ডারওয়াটার জু।

মসজিদের জন্য মক্কা মদিনা থেকে অযোধ্যায় এলো শুদ্ধ ইট
মসজিদের জন্য মক্কা মদিনা থেকে অযোধ্যায় এলো শুদ্ধ ইট

জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের একটি ইটভাটায় এই ইটগুলি তৈরি হয়। এরপর সেগুলি পাঁচজন ভক্ত নিয়ে যান মক্কায়। সেখানে ইটগুলিকে পবিত্র শোধন প্রক্রিয়ায় শুদ্ধ করা হয়। জানা গিয়েছে, ইটগুলি তৈরি হয়েছে কালো মাটি দিয়ে। সৌদির পবিত্র মক্কা এবং মদিনা থেকে শোধিত হয়ে আসা কালো ইটগুলিতে খোদাই করা রয়েছে গিল্টের মসজিদ এবং কোরানের অংশ খোদাই করা। জানা গিয়েছে, আগামী ১২ই  মার্চ রমজানের পর অযোধ্যার ধন্নিপুরে এই ইটগুলি নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই নির্মাণ হবে মসজিদটি। আপাতত মসজিদ মহম্মদ বিন আবদুল্লাহ ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান এবং ইন্দো-ইসলামিক কালচার ফাউন্ডেশনের সদস্য হাজি আরাফাত শেখের বাড়িতে ইটগুলি রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, রমজানের পর পীররা ইটগুলি নিয়ে বিশাল মিছিলে পায়ে হেঁটে কুরলা থেকে মুলুন্ড অবধি যাবেন। এরপর ইটগুলি ছয়দিনের সড়কপথে লখনউ এবং অবশেষে ধন্নিপুরে যাবে। নামাজের জন্য প্রতি ৩০০ কিলোমিটার যাত্রায় একটি বিরতি থাকবে।




পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File