রাজ্য

Load Shedding | শহরের একাধিক এলাকায় লোড শেডিং! সাধারণ মানুষের ভুলের জন্যই ভোগান্তি বলে জানালেন বিদ্যুৎমন্ত্রী!

Load Shedding | শহরের একাধিক এলাকায় লোড শেডিং! সাধারণ মানুষের ভুলের জন্যই ভোগান্তি বলে জানালেন বিদ্যুৎমন্ত্রী!
Key Highlights

লোড না বাড়িয়ে বিদ্যুৎ খরচের কারণেই কলকাতা ও কলকাতা পার্শবর্তী এলাকায় বেশ কয়েকঘন্টা ধরে লোড শেডিং হচ্ছে বলে জানালেন অরূপ বিশ্বাস।

একেই তীব্র তাপদাহ, প্রচন্ড গরমে নাজেহাল অবস্থা বঙ্গবাসীর। তার মধ্যে কিছুটা স্বস্তি পেতে এসি (AC) বা পাখা চালিয়ে জিরোবারও উপায় নেই। কারণ ঘন্টার পর ঘন্টা নেই কারেন্ট। কলকাতা (Kolkata) ও শহরতলির একাধিক জায়গায় দীর্ঘক্ষণের জন্য লোড শেডিং (Load Shedding)। রীতিমতো সিইএসসি (CESC) এর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ আম জনতা। তবে বাংলার বিদ্যুৎমন্ত্রী জানালেন, এই সমস্যার কারণের নেপথ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষই।

গত মাসে অর্থাৎ মে মাসেও বারবার লোড শেডিংয়ের সমস্যায় ভুগতে হয়েছে কলকাতাবাসী-সহ শহরের আশেপাশের বাসিন্দাদেরও। যার ফলে এই সমস্যা দূর করতে বৈঠক করে সিইএসসি-র আধিকারিকদের পর্যাপ্ত ট্রান্সফর্মারের (Transformers) ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas)। এমনকি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ডি জি সেটের (DG Sets) ব্যবস্থা ও সর্বত্র সর্বক্ষণ বিদ্যুৎ কর্মীদের প্রস্তুত থাকার কথাও বলেন তিনি। তবুও প্রায় রোজই কয়েক ঘন্টার জন্য লোড শেডিং হচ্ছে শহর ও শহরতলি এলাকায়।

সম্প্রতি দক্ষিণের বেহালা-হরিদেবপুর (Behala-Haridebpur) থেকে উত্তরের হাতিবাগান-সিঁথি (Hatibagan-Sinthi), এমনকি কুঁদঘাট (Kundghat), বেহালা (Behala), মুকুন্দপুর (Mukundpur), যোধপুর পার্কের (Jodhpur Park) মতো একাধিক এলাকার বেশ কিছু জায়গায় দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা ছিলোনা কারেন্ট। উত্তর কলকাতার জোড়াবাগান (Jorabagan), হাতিবাগান (Hatibagan), কলুটোলা (Kolutola), বিকে পাল অ্যাভিনিউ (BK Pal Avenue), কাঁকুড়গাছি (Kankurgachi), বেলেঘাটা (Beleghata), সিঁথি (Sinthi), নাগের বাজার (Nager Bazar), দমদমের (Dum Dum) বিভিন্ন এলাকায় রাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তাদের অভিযোগ, রাতে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না। প্রায় প্রতিনিয়ত এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে জনতা। যার ফলে তাদের ক্ষোভ উপচে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) সহ রাস্তাঘাটেও। কিছুক্ষণ পর পরই সিইএসসি-তে ফোন করে অভিযোগ জানাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ।

গত মাসেই প্রবল গরমে দীর্ঘক্ষণ কারেন্ট না থাকায়, মেয়রের বাড়ির অদূরে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। তাদের দাবি, গত মাসে ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে ১৭ নম্বর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। অভিযোগ ওঠে, সিইএসসি-তে ঘটনা জানানোর পরেও ৫ ঘণ্টা ধরে আলো-পাখাহীন অবস্থায় কাটাতে হয় বাসিন্দাদের। এরপরেই অতিষ্ট হয়ে পথে নামেন এলাকার বাসিন্দাসরা। সেদিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আন্তে মোতায়েন করা হয় চেতলা থানার (Chetla Police Station) বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের আশ্বাসে রাত ৩টে নাগাদ অবরোধ ওঠে। তবে তখনও বিদ্যুৎ ছিলোনা এলাকায়।

তবে এই ঘটনায় সিইএসসি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও, বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, রাজ্যে বিদ্যুতের ঘাটতি নেই। লোড শেডিং হওয়ার কারণের পেছনে রয়েছে সাধারণ মানুষই। বিদ্যুৎমন্ত্রীর দাবি, লোড বাড়ানোর জন্য আবেদন করছেন না অনেকেই। এছাড়াও অনুমতি না নিয়েই এই গরমকালে অসংখ্য মানুষ এসি লাগিয়েছেন। ফলে লোডে চাপ পড়ছে। কিছু ক্ষেত্রে ট্রান্সফর্মারে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অরূপ বিশ্বাস জানান, বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলা এক নম্বরে। সেই সঙ্গে রাজ্যবাসীর উদ্দেশে চাহিদা মতো লোড বাড়ানোর আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। তবুও সাধারণ মানুষের ভুলেই এই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

বিদ্যুতের কোনও ঘাটতি নেই। সিস্টেমের সমস্যা। কারণ অনেকে যা লোড নিয়ে রেখেছেন তাঁর থেকে বেশি বিদ্যুৎ খরচ করছেন। লোড না বাড়িয়ে একসঙ্গে অনেক জিনিস চালানোতেই হচ্ছে সমস্যা। সরকার কঠোর হলে তো ওভারলোডিংয়ের জন্য লাইনটা কেটে দিতে হয়।

বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস

প্রসঙ্গত, এর আগেও সাধারণ মানুষের ওপরই লোড শেডিংয়ের ডে চাপিয়েছিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। অন্যদিকে আমফান ঝড়ের সময় সিইএসসি-র ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee)।  তবে এবার সিইএসসি-র ভূমিকায় কোনও খামতি নেই বলেই জানালেন বিদ্যুৎমন্ত্রী।