Indian Space Station | শীঘ্রই তৈরি হবে ভারতীয় মহাকাশ স্টেশন! সাহায্য করবে ‘বন্ধু‘ আমেরিকা!
ভারতীয় মহাকাশ স্টেশন তৈরিতে সাহায্য করবে আমেরিকা। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছে ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স এবং স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বিল নেলসন। ইসরোর পাখির চোখ গগনযান।
ফের মহাকাশ বিজ্ঞানে সাফল্যের দিকে ভারত! শীঘ্রই তৈরি হবে ভারতের নিজস্ব স্পেস স্টেশন। আর ভারতীয় মহাকাশ স্টেশন (Indian Space Station) তৈরির যাত্রায় ভারতকে সাহায্য করবে আমেরিকা। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছে ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স এবং স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বিল নেলসন।
নেলসন সম্প্রতি ভারতে এসে জানান আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ভারতীয় মহাকাশচারীদের পাঠানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে আমেরিকা। পাশাপাশি ভারতীয় মহাকাশ স্টেশন (Indian Space Station) তৈরিতেও সাহায্য করা হবে। নেলসন তার ভারত সফরের সময় ঘোষণা করেন, আমেরিকা এবং ভারত আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ এর শেষে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে একজন ভারতীয় মহাকাশচারীকে পাঠানো হবে। আর সেই মহাকাশচারী নির্বাচন করবে ইসরো।নেলসনের সঙ্গে অনেক আমেরিকান কোম্পানি ইসরো সঙ্গে সহযোগিতা করতে চাইছে বলে সূত্রের খবর। আমেরিকার বোয়িং, ব্লু অরিজিন, এলএলসি, ভয়েজার স্পেস হোল্ডিংস-এর আধিকারিকরাও ইসরো সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য এগিয়ে আসতে চাইছে।
প্রসঙ্গত, ইসরো একের পর এক মহাকাশ মিশনে যাচ্ছে। সাফল্য পেয়েছে চন্দ্রযান ৩ । ইসরোর ভবিষ্যত মিশন (ISRO Future Mission) এ রয়েছে মঙ্গলযান ১, গগনযান। সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। তিনি জানান, ইসরোর ভবিষ্যত মিশন (ISRO Future Mission) এর পাখির চোখ এখন গগনযান। ইসরোর চেয়ারম্যান জানান, গগনযান করে মানুষ পাঠানো এখন ইসরোর বর্তমান লক্ষ্য। ইসরোর ভবিষ্যত মিশন (ISRO Future Mission) নিয়েই এখন চলছে প্রস্তুতি। উল্লেখ্য, ২০২৫ সাল নাগাদ গগনযান মিশনের মাধ্যমে প্রথমবার মহাকাশযানে চেপে নভশচরদের মহাকাশে পাঠাতে চায় ইসরো। সেই লক্ষ্যে গত অক্টোবর মাসে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে গগনযানের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়। ভূপৃষ্ঠের ১৭ কিলোমিটার উপরে পাঠানো হয় TV-D1-কে। এরপর 'ক্রু মডিউল' এবং 'ক্রু এসকেপ মডিউল' আলাদা হয়ে যাবে। পরে সেটি ফের পৃথিবীর দিকে নেমে আসে। আগামী দিনে এই মিশন ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞান চর্চার ইতিহাসে এক অনন্য নজির হয়ে থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। মহাকাশে মানুষ পাঠানোর ব্যাপারে আরও উন্নততর প্রযুক্তি ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
অন্যদিকে, ইসরোর নতুন মিশন (ISRO New Mission) এর মধ্যে রয়েছে আদিত্য এল ১ মিশন (Aditya L1)। আদিত্য এল১ এর আপডেট (Aditya L1 Update) প্রসঙ্গে ইসরো প্রধান এস সোমনাথ বলছেন, সম্ভবত ৭ই জানুয়ারির মধ্যে, এলওয়ান পয়েন্টে প্রবেশের জন্য চূড়ান্ত কৌশল করা হবে। উল্লেখ্য, আদিত্য এলওয়ান গত ২রা সেপ্টেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে সফল উৎক্ষেপণ করে লক্ষ্যের পথে। সূর্য বিজ্ঞান সম্পর্কিত নানান রহস্যময় দিকের যে খোঁজ মহাকাশ বিজ্ঞানীরা করছেন, তা সম্পর্কে তথ্য পেতেই এই অভিযান।
আদিত্য এল১ এর আপডেট (Aditya L1 Update) অনুযায়ী, পৃথিবী থেকে রওনা হয়ে ওই স্পেসক্রাফ্ট ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার যাত্রা করে ফেলেছে। আর তা করেছে ১২৫ দিনে। এরপর আদিত্য এল ১ লক্ষ্য মহাকাশের ল্যাগরাঞ্জিয়ান পেয়েন্টের কাছে সে গিয়ে অবস্থান করবে। আর তার লক্ষ্যে সাফল্য পেতে বুক বাঁধছে ইসরো। সব মিলিয়ে বলা চলে, চন্দ্রযান ৩ এর সাফল্যের পর ইসরোর দিকে চেয়ে ভারত সহ গোটা বিশ্ব।