সেলিব্রিটি

ফের ঐন্দ্রিলা শর্মার শারীরিক অবস্থার অবনতি! সংক্রমণ বাড়ায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসরা

ফের ঐন্দ্রিলা শর্মার শারীরিক অবস্থার অবনতি! সংক্রমণ বাড়ায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসরা
Key Highlights

গত কয়েকদিনে ধীরে ধীরে সংক্রমণ কাটিয়ে উঠছিল অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছিলেন তবে আচমকাই তাঁর শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে

ঐন্দ্রিলার শরীরে সংক্রমণ ঔ, পাশাপাশি তাঁর ফের জ্বর এসেছে। গত ১লা নভেম্বরের ব্রেন স্ট্রোকের শিকার হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। তারপর থেকে হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি অভিনেত্রী। এখনও পর্যন্ত কোমায় ঐন্দ্রিলা, তাঁর জ্ঞান ফেরেনি। ভেন্টিলেশন সাপোর্টের মাত্রা মাঝে কমানো হলেও ফের অবনতি ঐন্দ্রিলার শারীরিক পরিস্থিতির। 

জ্বর আসবার জেরেই অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার সংক্রমণ বেড়েছে, চিন্তিত চিকিৎসকরা

গত বৃহস্পতিবার সংক্রমণের পরিমাণ কমায় অভিনেত্রীর অ্যান্টি বায়োটিকের মাত্রা কমানো হয়েছিল। ওষুধে বেশকিছু হেরফের করা হয়েছিল। ভেন্টিলেশন প্রেসারও বাড়ানো হয়নি। কিন্তু নতুন করে সংক্রমণ বেড়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমাণ যা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে চিকিৎসকদের। বিপদের মেঘ কাটেনি, এর মাঝেই নতুন করে ঐন্দ্রিলার স্বাস্থ্য বিগড়ানোয় চিন্তায় সকলে। 

গত ১লা নভেম্বর দুপুরে বাড়িতেই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন ঐন্দ্রিলা। তাঁর মায়ের বক্তব্য অনুয়ায়ী, মিনিট দশেকের মধ্যেই অসাড় হয়ে গিয়েছিল অভিনেত্রীর সারা শরীর। সঙ্গে বমি করছিলেন তিনি। এরপর সব্যসাচীকে ফোন করেন শিখা দেবী (ঐন্দ্রিলার মা)। পরে ঐন্দ্রিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত অভিনেত্রী। ওইদিন রাতেই তাঁর অস্ত্রোপচার হয়, তারপর থেকেই ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রয়েছেন ঐন্দ্রিলা। 

গত সোমবার ঐন্দ্রিলার মনের মানুষ সব্যসাচী চৌধুরী ফেসবুক পোস্টে দ্বিতীয়বার ঐন্দ্রিলার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে আপটেড দিয়েছিলেন। তিনি লেখেন, ‘হাসপাতালে ছয় দিন পূর্ণ হলো আজ, ঐন্দ্রিলার এখনও পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি। তবে ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে, শ্বাসক্রিয়া আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে, রক্তচাপও মোটামুটি স্বাভাবিক। জ্বর কমেছে। ওর মা যতক্ষণ থাকে, নিজের হাতে ওর ফিজিওথেরাপি করায়, যত্ন নেয়। বাবা আর দিদি ডাক্তারদের সাথে আলোচনা করে। সৌরভ আর দিব্য রোজ রাতে আমার সাথে হাসপাতালে থাকতে আসে। আর আমি দিনে তিনবার করে গল্প করি ঐন্দ্রিলার সাথে। গলা চিনতে পারে, হার্টরেট ১৩০-১৪০ পৌঁছে যায়, দরদর করে ঘাম হয়, হাত মুচড়িয়ে আমার হাত ধরার চেষ্টা করে। প্রথম প্রথম ভয় পেতাম, এখন বুঝি ওটাই ফিরিয়ে আনার এক্সটার্নাল স্টিমুলি।’