West Bengal Weather Update | রবিবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ ৯টি জেলায় বৃষ্টি-কালবৈশাখী! জানুন রাজ্যের আবহাওয়ার পূর্বাভাস!
পশ্চিমবঙ্গ আবহাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলারই বিস্তীর্ণ অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। ৯টি জেলায় কালবৈশাখীর জন্য কমলা সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস।
দহনজ্বালা থেকে আপাতত স্বস্তি। রবিবার পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া (West Bengal Weather) একই রকম থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পশ্চিমবঙ্গ আবহাওয়া রিপোর্ট (West Bengal Weather Report) অনুযায়ী, শুক্রবারও দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলারই বিস্তীর্ণ অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। রাজ্যের ৯টি জেলায় কালবৈশাখীর জন্য কমলা সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। দেখে নিন সপ্তাহ শেষে ছুটির দিনগুলোতে কেমন থাকবে পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া (West Bengal Weather)।
কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া?
আজ, শুক্রবার কলকাতার আকাশ মূলত মেঘলা। বেলা বাড়তেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে বলে পশ্চিমবঙ্গ আবহাওয়ার খবর (West Bengal Weather News)। সঙ্গে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিমি বেগে ঝড় হবে। কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে শহরে। আজ কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকতে পারে। আজ কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হল ৩২ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩.৭ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হল ২১.৯ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের ৪.৯ ডিগ্রি কম। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩.৭ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৫ ডিগ্রি কম। শুক্রবার ছাড়াও শনিবার ও রবিবারও কলকাতায় বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া?
পশ্চিমবঙ্গ আবহাওয়া রিপোর্ট (West Bengal Weather Report) অনুযায়ী, শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। তিনটি জেলা-উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের একাংশে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ন'টি জেলা- উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং পূর্ব বর্ধমানে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিমি বেগে ঝড় উঠবে। কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে ৪০-৫০ কিমিতে ঝড় হবে। হলুদ সতর্কতা থাকবে।
এরপর শনিবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। তিনটি জেলা উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে ঝড় উঠবে। বাকি জেলাগুলিতে ৩০-৪০ কিমিতে ঝোড়ো হাওয়া বইবে বলে পশ্চিমবঙ্গ আবহাওয়ার খবর (West Bengal Weather News)। রবিবার সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। সাতটি জেলা-উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং নদিয়ায় ৩০-৪০ কিমিতে ঝড় হবে। জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। সোমবারও সাতটি জেলা- দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং পূর্ব বর্ধমানে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। ঝাড়গ্রাম ছাড়া বাকি জেলাগুলিতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং পূর্ব বর্ধমানে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার সব জেলায় বৃষ্টি হবে।
কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া?
শুক্রবার, শনিবার, রবিবার, সোমবার, মঙ্গলবার, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের সব জেলা অর্থাৎ দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে। শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত সব জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তারপর আর কোনও জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়নি। আজ শুধুমাত্র ৩০-৪০ কিমিতে ঝড় হবে।
উল্লেখ্য, উত্তরে হালকা বৃষ্টি হলেও রাজ্যের দক্ষিণের জেলাগুলিতে রবিবার থেকে বৃষ্টি ক্রমশ কমে আসবে। উপকূলবর্তী দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সোমবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও বাকি জেলাগুলিতে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হতে পারে। গত সোমবারের বৃষ্টি স্বস্তি নিয়ে আসে কলকাতা-সহ দক্ষিণের জেলাগুলির বিস্তীর্ণ অংশে। তার পর থেকেই কমবেশি বৃষ্টিতে ভিজেছে জেলাগুলি। বৃহস্পতিবারও দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, দুই মেদিনীপুরে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির হাত ধরে স্বাভাবিকের নীচে নেমে এসেছে পারদও। আবহাওয়ার এই পরিস্থিতির জন্য ঘূর্ণাবর্তকে দায়ী করেছেন আবহবিদেরা। বাংলাদেশ এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় এই মুহূর্তে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ০.৯ কিলোমিটার উপরে অবস্থান করছে। এ ছাড়া উত্তর-পূর্ব রাজস্থান থেকে দক্ষিণ অসম পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা বিস্তৃত। যার প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প প্রবেশ করছে গাঙ্গেয় বাংলায়। তাতেই ঝড়বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।