টেট-প্রার্থীদের পাশে দাঁড়ালেন অধীর চৌধুরী, আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশের অত্যাচার জল্লাদের সঙ্গে তুলনা
করুণাময়ীতে গভীর রাতে টেট প্রার্থী আন্দোলনকারীদের উপর করা পুলিশি জুলুমের বিরুদ্ধে এবার রুখে দাঁড়ালেন অধীর চৌধুরী, প্রতিবাদের জেরে শুক্রবার রাজপথে নামল কংগ্রেসও।
তৃণমূল সরকারের পুলিশকে জল্লাদের সঙ্গে তুলনা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। কংগ্রেস সভাপতির নেতৃত্বে কলকাতার মেয়ো রোডে মিছিল হয়। মিছিল করে গিয়ে মেয়ো রোডে তিনি টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন।
পুলিশকে তুলনা করা হল জল্লাদের সঙ্গে, তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে টেট-প্রার্থীদের পাশে দাঁড়ালেন অধীর
বৃহস্পতিবার রাতে সল্টলেকের করুণাময়ীতে চাকরির দাবিতে অবস্থানরত প্রার্থীদের জোর করে তুলে দেওয়া হয়। তাঁদের উপর পুলিশ জুলুম করা হয়। তারই প্রতিবাদে এদিন কলকাতায় মিছিল করেন বিরোধী সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস। কংগ্রেসের মিছিলের নেতৃত্ব দেন অধীর চৌধুরী। তিনি মেয়ো রোডে অবস্থানরত চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন।
তারপর অধীর চৌধুরী বলেন, রাজ্যের পুলিশ এখন জল্লাদের ভূমিকা নিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতের ওই ঘটনা বাংলার শিক্ষাত সমাজকে কলুষিত করেছে। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী ভূমিকারও সমালোচনা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, মুখ্যমন্চত্রী সৌরভ নিয়ে সরব হতে পারেন। কিন্তু শিক্ষিত যুবকদের পাশে দাঁড়াতে পারেন না।
তিনি বলেন, গোটা বিশ্বে গণতান্ত্রিকভাবে প্রতিবাদ কররা অধিকার সবার রয়েছে। কিন্তু করুণাময়ীতে বৃহস্পতিবার রাতে যা ঘটল তাতে রাজ্যের গণতান্ত্রিক গরিমা ভূলু্ণ্ঠিত হল। রাজ্যের সরকারকে নমনীয় হতে হয়। কিন্তু এই সরকার নমনীয় নয়। তাহলে এই সরকার বাংলার সরকার হয়ে উঠবে কী করে? এরা কী করে দাবি করে, এরা মা-মাটি-মানুষের সরকার চলবে।
যদিও পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে বৃহস্পতিবারের ঘটনায় কোনওরকম আক্রমণাত্মক ব্যবহার করা হয়নি। বরং তাঁরা অনেক আগে থেকেই মাইকিং করে অনশনকারীদের সরে যেতে অনুরোধ করেছিলেন। পুলিশের দাবি, গোটা ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টেরর নির্দেশ মেনেই তাঁরা কাজ করেছেন। পুলিশ কোনওরকম জুলুম করেনি।
টেট চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনকে আরও অক্সিজেন জোগাতে বিরোধী তিনদলই রাস্তায় নামে শুক্রবার। এদিন সকাল থেকে বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের ডাকে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হন। পরে তাদের চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় প্রিজনভ্যানে। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, কলতান দাশগুপ্তদের গ্রেফতারের পর সন্ধ্যায় তাঁদের বিধাননগর উত্তর থানা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। তাঁদের থানায় নিয়ে যাওয়ার পর থেকে থানার ভিতরে এবং বাইরে বিক্ষোভ চলতে থাকে।