আবহাওয়া

WB Weather | আগামী ৪৮ ঘন্টার জন্য বজ্রপাত-সহ বৃষ্টির সতর্কতা! ২০২৭ এর মধ্যে ভাঙতে পারে উষ্ণতম বছরের রেকর্ড!

WB Weather  | আগামী ৪৮ ঘন্টার জন্য বজ্রপাত-সহ বৃষ্টির সতর্কতা! ২০২৭ এর মধ্যে ভাঙতে পারে উষ্ণতম বছরের রেকর্ড!
Key Highlights

সপ্তাহ জুড়ে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস। হতে পারে শিলাবৃষ্টিও। পাশাপাশি আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ভাঙতে পারে সবচেয়ে উষ্ণতম বছরের রেকর্ড।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কালো আকাশে মুখ ভার কলকাতার। সপ্তাহ শুরু থেকেই ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে গোটা বঙ্গ জুড়ে। বুধবার বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকলেও খুব একটা সেই আভাস সত্যি হয়নি। তবে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কেবল ঝড়-বৃষ্টিপাতই নয়, আগামী ৪৮ ঘন্টার জন্য বজ্রপাত-সহ বৃষ্টির (Thunder-Storm) সতর্কবার্তা জারি করলো আবহাওয়া দফতর।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Meteorological Department) সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টিপাত বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। জানা গিয়েছে, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, উত্তর চব্বিশ পরগনা, পূর্ব বর্ধমানে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে  ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত দমকা ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রপাতেরও আশঙ্কা রয়েছে। আপাতত ৪৮ ঘণ্টা এই পরিস্থিতি চলবে বলে সতর্ক করেছে হাওয়া অফিস।

মৌসম ভবন জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর জন্য অনুকূল পরিস্থিতি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর, দক্ষিণ আন্দামান সাগর (South Andaman Sea) এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ (Nicobar Islands)এলাকায়। তাই আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আন্দামানে (Andaman) বর্ষা ঢুকবে। তবে বর্ষা ঢুকতে দেরি হবে কেরলে (Kerala)। আন্দামানে মৌসুমী বায়ু ঢোকার নির্ধারিত দিন ২২ই মে। এরপর ভারতের মূল ভূখণ্ড কেরলে বর্ষা ঢোকার নির্ধারিত দিন ১লা জুন। উত্তরবঙ্গে ৭ই জুন প্রথম জলপাইগুড়ি জেলায় প্রবেশ করে বর্ষা। জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ নির্ধারিত দক্ষিণবঙ্গে জন্য। কলকাতায় বর্ষা প্রবেশের নির্ধারিত তারিখ ১১ই জুন। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কিছু অংশে ঢুকতে পারে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বা বর্ষা। তবে বাংলায় কবে বর্ষা আসবে তা এখনও জানায়নি হাওয়া অফিস।

সম্প্রতি, বিহার (Bihar) থেকে ছত্রিশগড় (Chhattisgarh) পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে। আরও একটি অক্ষরেখা রয়েছে তামিলনাডু উপকূল (Tamil Nadu Coast) থেকে অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhra Pradesh) পর্যন্ত। এই দুই অক্ষরেখার টানেই বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকবে পশ্চিমবঙ্গে। যার প্রভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি ও ঝড়ের আশঙ্কা জারি করেছে হাওয়া দফতর।

হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গে আট জেলাতেই শনিবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং হালকা ঝড় হবে। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গেও। তবে ঝড় বৃষ্টি হবে বিকেল থেকে। দিনের বেলায় গরমের সঙ্গে থাকবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ জেলায় শিলাবৃষ্টি হতে পারে বলে খবর। বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকছে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমানে। কালবৈশাখীর মতো পরিস্থিতি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম জেলায়।পুরুলিয়া পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

অন্যদিকে, বিশ্ব উষ্ণায়ন ( Global Warming) নিয়ে অত্যন্ত উদ্বেগজনক খবর দিল রাষ্ট্র সংঘের আবহাওয়া বিভাগ (World Meteorological Organization )। বুধবার রাষ্ট্রসংঘের আবহাওয়া বিভাগের তরফ থেকে বলা হয় ২০১৫ থেকে ২০২২ এই আট বছরকে উষ্ণতম বছর হিসেবে গণ্য করা হত। তবে আগামী পাঁচ বছর সেই রেকর্ড ভাঙতে চলেছে বলে আশঙ্কা।

ডাব্লুএমও (WMO) সূত্রে খবর, ২০২৩ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে যেকোনও একটি বছর তাপমাত্রা অত্যাধিক পরিমাণে বাড়তে পারে। যার ফলে পরিবেশের ওপর ছাড়াও স্বাস্থ, খাদ্য সুরক্ষা, জলসম্পদ রক্ষার ওপরেও মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে।