Summer Haircare | গরমেও হেয়ারফল! বিরক্ত হয়ে চুল কাটার সিদ্ধান্ত? 'হাল ছেড়ো না বন্ধু, বরং চুলের যত্ন নাও ভালোভাবে'! রইলো গরমে চুল ভালো রাখার টিপস!

Wednesday, April 17 2024, 2:07 pm
highlightKey Highlights

গরমে ঘাম বসে স্ক্যাল্পে হয় ছোটো ছোটো ফোঁড়া। যার থেকেই শুরু হয় চুল ওঠা। তবে গরমকালে কিছু বিষয় মেনে চললেই যেমন চুল পড়া বন্ধ হবে তেমনই উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর থাকবে আপনার চুল।


বসন্ত কাটতে না কাটতেই তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী। গা জ্বালানো গরম সঙ্গে প্যাচপ্যাচে ঘাম। গরমে শরীর তো খারাপ লাগেই, সেই সঙ্গে তার ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে আমাদের স্বাস্থ্য, ত্বক এমনকি চুলেও। এই সময়ে অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে চুলের ক্ষতি হয়। বেশিক্ষণ স্ক্যাল্প ঘামতে থাকলে সেই ঘাম বসে আবার হয় ছোটো ছোটো ফোঁড়া। আর থেকে মুঠো মুঠো উঠতে থাকে চুল। এদিকে আবার রোদে চুল ক্রমশ রুক্ষ হতে থাকে। সময়ের অভাবে সঠিক ভাবে পরিচর্যাও করা হয় না। বাজারচলতি প্রসাধনী, ঘরোয়া টোটকা মেখেও যখন চুলের স্বাস্থ্য ফেরে না। যার ফলে বিরক্ত হয়ে অনেকেই চুল কেটে ফেলেন। এই বিষয়ে রূপটানশিল্পীরা বলছেন, গরমে চুলের যত্ন নেওয়া মানেই রোজ শ্যাম্পু করা কিংবা চুল কেটে ফেলা নয়। সাধারণ কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই গরমেও চুল থাকবে রেশমের মতো। সঙ্গে বন্ধ হবে চুল পড়াও। দেখে নিন গরমকালে কীভাবে যত্ন নেবেন চুলের।

রোজ স্ক্যাল্প পরিষ্কার করুন :

Trending Updates

স্ক্যাল্পে ঘাম হওয়া খুব অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু এই গরমে অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে যখন মাথার তালুতে প্রচুর পরিমাণে ঘাম হয়। আর তার ফলে ধুলো-ময়লা বসে যায়। আর এর কারণে স্ক্যাল্পের পিএইচ মাত্রার  (pH level) হেরফের হয় এবং স্বাস্থ্যেও প্রভাব পড়ে। তখন নানারকম সমস্যা দেখা যায়। এছাড়া চুলের গোড়ায় থাকা ফলিকলের মুখ রুদ্ধও হয়ে যেতে পারে। তাই মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখা জরুরি। এর জন্য নিয়মিত স্ক্যাল্প শ্যাম্পু (scalp shampoo) দিয়ে মাথার ত্বক পরিষ্কার করুন। রোজ শ্যাম্পু না করলেও মাথার ত্বক এবং চুলের ধরন অনুযায়ী একদিন অন্তর শ্যাম্পু করতেই পারেন। তবে মনে রাখবেন স্ক্যাল্প অর্থাৎ মাথার ত্বক বুঝে স্ক্যাল্প শ্যাম্পু (scalp shampoo) ব্যবহার করবেন।  জেন্টল শ্যাম্পুর পাশাপাশি আপনি ক্ল্যারিফাইয়িং শ্যাম্পুও লাগাতে পারেন স্ক্যাল্পে। তাতে চুলের গোড়াও পরিষ্কার থাকবে এবং চুল পড়ার সমস্যাও কমবে।

কাজে দেবে স্ক্রাব : 

স্ক্যাল্প ভালোভাবে পরিষ্কার করতে ব্যবহার করতে পারেন স্ক্যাল্প স্ক্রাব (scalp scrub)। এক্ষেত্রে আপনি বাজার থেকে স্ক্যাল্প স্ক্রাব (scalp scrub) কিনতে পারেন আবার এটি বাড়িতেও বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে তাজা অ্যালোভেরা জেলের সাথে দানাদার চিনি মেশান। সপ্তাহে একবার চুল ধোয়ার আগে ঘরে তৈরি করে এই স্ক্রাব দিয়ে আপনার মাথার ত্বকে আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন শ্যামও করে নিন।

গরমেও দরকার তেল :

 অনেকেইভাবেন  গরমকালে চুলের তেল (hair oil) দরকার হয়না। কিন্তু তাপ চুলকে শুষ্ক ও রুক্ষ করে তোলে। যার ফলে চুল ধোয়ার আগে সবসময় হেয়ার অয়েল (hair oil) লাগানো চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এটি শুষ্কতা নিয়ন্ত্রণ করবে, চুল নরম রাখবে এবং অবশ্যই সুস্থ থাকবে।

শ্যাম্পুর পর লাগান কন্ডিশনার ও সিরাম :

 চুল নরম রাখতে এবং উজ্জ্বল রাখতে শ্যাম্পুর পর ব্যবহার করতে পারেন হেয়ার সিরাম (hair serum)। শ্যাম্পুর পর ব্রাশ করার আগে হেয়ার সিরাম (hair serum) ব্যবহার করুন। এতে চুলের ভাঙ্গন রোধ হবে এবং চুল জট পড়বে না। পাশাপাশি প্রতিবার শ্যাম্পু করার পরে কন্ডিশনার লাগান মনে করে।

চুল ময়শ্চারাইজ করবে মাস্ক :

বাড়িতেই ডিপ কন্ডিশনিং করুন। কন্ডিশনিং প্রোটিন হেয়ার মাস্ক চুলে লাগালেই মিলবে উপকার। সপ্তাহে অবশ্যই একবার ডিপ কন্ডিশনিং হেয়ার মাস্ক লাগান। এর জন্য ব্যবহার করতে পারেন দই। চুল এবং মাথার ত্বকে আলতো করে তাজা দই প্রয়োগ করে ২০  মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর আলতো করে ম্যাসাজ করুন এবং শ্যাম্পু করুন। চুল এবং মাথার ত্বককে ময়েশ্চারাইজড রাখতে এবং চুলকানি থেকে দূরে রাখতে সপ্তাহে একবার এটি করুন। এটি চুল দ্রুত বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।

রোদ থেকে চুল রক্ষা করুন : 

ত্বক ভালো রাখার জন্যে সানস্ক্রিন লাগানো লাগানো যেমন জরুরি, তেমনই রোদ থেকে চুলকেও রক্ষা করা প্রয়োজন। রোদে বেরনোর আগে আপনি সানব্লক ক্রিম বা সিরাম চুলে লাগাতে পারেন। সানব্লক স্প্রেও ব্যবহার করতে পারেন। এইসব প্রোডাক্ট আপনার চুলকে রোদ থেকে রক্ষা করবে। ফলে, চুলের জেল্লা হবে দেখার মতো।

অতিরিক্ত হেয়ার স্টাইলিং নয় :

গরমে চুল ভালো রাখতে স্টাইলিং টুল এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। নিয়মিত হেয়ার স্টাইলিং টুল ব্যবহার করলে চুলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা হারিয়ে যায়। ফলে, চুল রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে যায়। তাই স্ট্রেটনার, কার্ল আয়রন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। আর মনে করে হেয়ার ড্রায়ারের কুল মোড ব্যবহার করুন।

চুল ভালো রাখতে কেবল প্রসাধনী ব্যবহার করলেই হবে না। জীবনশৈলীর দিকেও নজর রাখা জরুরি। এক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলুন, প্রোটিন এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার দৈনিক ডায়েটে যোগ করুন। নিয়মিত ফল এবং শাক-সবজিও রাখুন ডায়েটে। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান। অন্তত ৩ লিটার জল নিয়মিত পান করুন। দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমও প্রয়োজন। 




পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File