তৃণমূল কংগ্রেস

গ্রেফতারির পর জিজ্ঞাসাবাদের সময় মুখ্যমন্ত্রীর নাম নেয় পার্থ? ক্ষুব্ধ তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্ব

গ্রেফতারির পর জিজ্ঞাসাবাদের সময় মুখ্যমন্ত্রীর নাম নেয় পার্থ? ক্ষুব্ধ তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্ব
Key Highlights

গ্রেফতারের পরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরির বার্তা দিতে শুরু করল তৃণমূল। দল ও সরকারের পদে রেখেও সেই দূরত্ব স্পষ্ট করা হয়েছে।

গ্রেফতারের পরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরির বার্তা দিতে শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস। দল ও সরকারের পদে রেখেও রবিবার সেই দূরত্ব স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। গ্রেফতার হওয়ার সময়ে পার্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন জানতে পেরে বিষয়টিকে ‘অবাঞ্ছিত’ এবং ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে জানিয়ে দিলেন অসন্তুষ্ট দলীয় নেতৃত্ব। 

পার্থ-কাণ্ডের জেরে কাঠগড়ায় তৃণমূল! বিরোধী দলগুলোর নিশানায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব

পার্থের সঙ্গে তৃণমূল দূরত্ব বাড়াতে চাইলেও ওই শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। নিয়োগ-দুর্নীতির অভিযোগে দলের মহাসচিব তথা মন্ত্রী পার্থের বাড়িতে ইডি-র তল্লাশিকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ বলেই প্রথমে চিহ্নিত করেছিল তৃণমূল। কিন্তু তার পরে এই ঘটনায় ক্রমশ অবস্থান বদল করেছেন দলীয় নেতৃত্ব। তবে এই ঘটনায় যাবতীয় জবাবদিহির দায় পার্থের উপরে দিলেও তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে চাননি তাঁরা। তবে ‘অ্যারেস্ট মেমো’য় পার্থ মুখ্যমন্ত্রীর নাম ও ফোন নম্বর লেখানোয় এ দিন দূরত্ব স্পষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূল।

এই প্রেক্ষাপটে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এ দিন বলেন, ‘‘ইডি-র কোনও তথ্যপ্রমাণ আদালতে মান্যতা পেলে দল উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। সে ক্ষেত্রে তিনি যত বড় নেতাই হোন না কেন।’’ ইডি-র হানা এবং গ্রেফতার প্রসঙ্গে তাঁর কথা, ‘‘তৃণমূল কাউকে অন্যায় করতে বলেনি। দল এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ভাবে জড়াবে না।’’

তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, ‘‘এতেই অসন্তুষ্ট হলে চলবে? পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাজত-যাত্রায় তো এই ঘটনা শেষ নয়। কানের উপরে মাথাটা ধরতে হবে। অনেক গভীর পর্যন্ত যেতে হবে। কালীঘাট ঘিরতে হবে।’’