বাংলাদেশ

Bangladesh Election 2024 | রেকর্ড ভেঙে চতুর্থ বার সরকার গড়বেন শেখ হাসিনা! বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় আওয়ামি লীগের!

Bangladesh Election 2024 | রেকর্ড ভেঙে চতুর্থ বার সরকার গড়বেন শেখ হাসিনা! বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় আওয়ামি লীগের!
Key Highlights

বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসতে চলেছেন শেখ হাসিনা।

রেকর্ড ভেঙে চতুর্থ দফায় সরকার গঠন করতে চলেছেন শেখ হাসিনা! বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনার মাঝেও মোটের উপর শান্তিপূর্ণভাবে বাংলাদেশের নির্বাচন (Bangladesh Election) সম্পন্ন হয়। বিএনপি-জামাত শিবিরের প্রবল প্রতিরোধ সত্ত্বেও টানা চতুর্থবার বাংলাদেশের মসনদে বসতে চলেছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে চতুর্থ বার সরকার গঠন করতে চলেছে আওয়ামী লীগ (Awami League)।

জানা গিয়েছে, ২০২৪ (2024) এ বাংলাদেশের নির্বাচন (Bangladesh Election)এ হাসিনার প্রাপ্ত ভোট গত ছবারের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। গোপালগঞ্জ (Gopalganj)-৩ আসন থেকে ভোটে লড়েছেন মুজিবকন্যা। উল্লেখ্য, এই গোপালগঞ্জ (Gopalganj) হাসিনার জন্মস্থান। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এই আসনে তাঁর ভোটের ব্যবধান ২ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯৬২। হাসিনার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এনপিপির শেখ আবুল কালাম (আম চিহ্ন) পেয়েছেন ৪৬০ ভোট। আরেক প্রার্থী জাকের পার্টির মাহাবুর মোল্লা (গোলাপ ফুল চিহ্ন) পেয়েছেন ৪২৫ ভোট। এই আসনে মোট ভোটার ২ লক্ষ ৯০ হাজার ৩০০ জন। ফলে এই আসন থেকে রেকর্ড হারে জনতার সমর্থন পেয়েছেন হাসিনা। ফলে আগামী ৫ বছরের জন্য ফের বাংলাদেশের ক্ষমতার রাশ নিজের হাতেই রাখতে চলেছেন শেখ হাসিনা।

অন্যদিকে, শেখ হাসিনার জয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে ভারত। সোমবার সকালে ঢাকায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। শুভেচ্ছা জানিয়ে মুজিবকন্যার হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন তিনি।

কেবল শেখ হাসিনই নয়, রবিবার নির্বাচন শেষে গণনা যত এগোয় ততই আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জয়জয়কার বাড়তে থাকে। এবার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে প্রার্থী করে চমক দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তিনিও বিপুল ভোটে জয় লাবণ্য করেছেন। প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই সাকিব ১ লক্ষ ৮৫ হাজার ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তিনি মাগুরা-১ আসন থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। সাকিবের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ কংগ্রেসের কাজি রেজাউল হোসেন পেয়েছেন ৫,৯৯৪ ভোট। আর জাতীয় পার্টির প্রার্থী মহম্মদ সিরাজুস সায়েফিন পেয়েছেন ২,১৪৩ ভোট। এরপর যত সময় এগোয় ততই হাসিনা মন্ত্রিসভার একের পর এক মন্ত্রীদের জয়জয়কারের খবর আসে। হাসিনা সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাসান মাহমুদ এবং বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিও জয়ী হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত কয়েকমাস ধরে এই নির্বাচন রুখতে দেশে ‘আগুন সন্ত্রাস’ চালিয়েছে বিএনপি- জামাত-সহ মৌলবাদী দলগুলো। কিন্তু বিরোধীদের কোনও প্রয়াসই সফল হয়নি। উলটে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের মূল্যায়নে অস্বস্তি বেড়েছে ভোট বর্জনকারী বিএনপির। স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে বলে জানিয়ে দেন তিন বিদেশি পর্যবেক্ষক। তবে রবিবার কোথাও কোথাও অনিয়মের অভিযোগ যে হয়নি, তা নয়। ১৩টি বুথের ভোট বাতিল করা হয়। চট্টগ্রাম-১৬ আসনের প্রার্থী মুস্তাফিজুর রহমানের প্রার্থিপদ খারিজ করেছে নির্বাচন কমিশন। চট্টগ্রামে পুলিশ ও বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষও ঘটে। মুন্সিগঞ্জে এক জন প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু এই সব কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদ দিলে গোটা বাংলাদেশেই মানুষ শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট দিয়েছেন। নতুন করে কোনও অশান্তি যাতে না হয়, কর্মীদের তাই বিজয়-মিছিল করতে বারণ করেছেন শেখ হাসিনা।

উল্লেখ্য, নির্বাচনে কারচুপি ও হিংসার অভিযোগে বিদ্ধ ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ (Awami League) সরকার। বিরোধীদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। হাসিনা সরকারের উপর আর আস্থা নেই জানিয়ে এই সরকার ভেঙে তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন করার দাবি জানিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু তা না হওয়ায় এইবারের ভোট বয়কট করে দেয় খালেদা জিয়ার দল। এই লক্ষ্যে গত কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভ-অবরোধ জারি রেখেছে বিএনপি-জামাত-সহ সমমনা দলগুলো। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল রাষ্ট্রসংঘ। ২০২৪ (2024) সালে এই নির্বাচন নিয়ে আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্বের রক্তচক্ষুর নজরে পড়ে বাংলাদেশ।