দেশ

Seema Haider | প্রেমের টানে দেশ ছেড়ে আসা পাকিস্তানি গৃহবধূ সীমা কি আইএসআই গুপ্তচর? রহস্য উন্মোচন করতে 'চাল'!

Seema Haider | প্রেমের টানে দেশ ছেড়ে আসা পাকিস্তানি গৃহবধূ সীমা কি আইএসআই গুপ্তচর? রহস্য উন্মোচন করতে 'চাল'!
Key Highlights

গড়গড় করে ইংরেজি পড়তে ও বলতে পারেন সীমা। ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সীমা হায়দরের নামে ইস্যু হয় আইডি কার্ড। এত বেশি বয়সে কেন পরিচয়পত্র? পাকিস্তানি সীমাকে নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে সন্দেহ।

ভারতীয় প্রেমিকের টানে চার সন্তানকে নিয়ে সীমান্ত পার করে এ দেশে আসা পাকিস্তানি গৃহবধূ সীমাকে (Seema Haider) নিয়ে বাড়ছে ক্রমশ জল্পনা। এই পাকিস্তানি পাবজি (Pubg) প্রেমিকা সীমা আসলে গুপ্তচর বলে সন্দেহ করেছেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) তথা দেশের একাধিক সরকারি আধিকারিক। তাদের সন্দেহ, সীমা আদপে একজন আইএসআই এজেন্ট (ISI Agent)। গুপ্তচরবৃত্তি করতেই নয়ডার (Noida) যুবক সচিনকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়েছেন তিনি। এবার এই বিষয়েই নিশ্চিত হতে মোক্ষম চাল দিতে চলেছে যোগী রাজ্যের তদন্তকারীরা।

কেবল উত্তর প্রদেশই নয়, সীমাকে নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে গোটা দেশেই। ইতিমধ্যেই সীমাকে নিয়ে উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে পরিস্থিতি। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই তিনি এখন উত্তর প্রদেশ অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াডের স্ক্যানারে (Uttar Pradesh Anti-Terrorism Squad )। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে সীমা হায়দারের ভাই পাক আর্মিতে কর্মরত। মূলত এই তথ্য স্যামনে আসার পর থেকেই তার ওপরে নজর রাখছে আইবি (IB)। সীমার সঙ্গে পাক আর্মির যোগ থাকা ছাড়াও তুখোড় ইংরেজি বলতে পারেন তিনি। তবে সীমার গুপ্তচর হওয়ার সন্দেহ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে কারণ ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সীমা হায়দরের নামে ইস্যু হয় আইডি কার্ড (ID Card)। তদন্তকারীদের সন্দেহ এত বেশি বয়সে একজন পাকিস্তানি নাগরিক কেন তার পরিচয়পত্র হাতে পেয়েছেন।

সূত্রের খবর, সীমা সত্যিই আইএসআই গুপ্তচর কি না তা জানতে তার পলিগ্রাফ টেস্ট (Polygraph Test) করা হবে। এছাড়াও এটিএসের (ATS) হাতে এসেছে সীমার পরিচয় পত্র। খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাঁর পাসপোর্ট, আধার কার্ড-সহ তার সন্তানদের পরিচয়পত্রও। সংগ্রহ করা হয়েছে সীমার মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড ও মেসেজ।

প্রসঙ্গত, অনলাইন গেম পাবজি সূত্রে পাকিস্তানি গৃহবধূর পরিচয় হয় ভারতের উত্তরপ্রদেশের নয়ডার বাসিন্দা সচিনের সঙ্গে। ক্রমশ বন্ধুত্ব পরিণত হয় প্রেমে। এরপর চার সন্তানকে নিয়ে পাকিস্তান থেকে নেপাল (Nepal) হয়ে ভারতের সীমানা বেআইনিভাবে প্রবেশ করেন সীমা হায়দার। পাকিস্তানের বর্ডার পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করতেই সীমা ধরা পড়েন।  হাজতবাস হয় পাকিস্তানি এই পাবজি প্রেমিকার। তবে মুক্তি পেয়ে প্রেমিক সচিনের সঙ্গে ঘর বাঁধেন তিনি। তবে এই ঘটনায় ক্রমশ সীমার আসল পরিচয় ও উদ্দেশ্য নিয়ে বাড়তে থাকে জল্পনা।

সম্প্রতি সোমবার সীমা ও সচিনের বেমালুম বেপাত্তা হয়ে যাওয়ার খবর ওঠে শিরোনামে। তবে পরে জানা যায়, নিখোঁজ নন, বরং তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডাকা হয়েছিল উত্তরপ্রদেশ এটিএসের তরফ থেকে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, সীমা এদেশে আসার আগে পাকিস্তানে যাওয়ার কথা হয়েছিল সচিনের।  সীমা জানান,  সচিনের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা হওয়ার সময় তার হাতে ‘ওম’ লেখা ট্যাটু লক্ষ করেছিলেন তিনি। পরে পাকিস্তান যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সচিন। তবে তাকে বাধা দেন সীমাই।  তাঁর দাবি, প্রেমিকের হাতে আঁকা ট্যাটু কেউ দেখে ফেললে সর্বনাশ হয়ে যেত। এমনকি সচিনের প্রাণহানিও ঘটতে পারত। কিন্তু সেটা তিনি চাননি। তাই সচিনের বদলে তিনিই ভারতে আসেন।

তবে এটিএস জেরায় আরও জানতে পেরেছে যে, শুধু সচিনই নয়, দিল্লি-এনসিআরের (Delhi-NCR) বহু মানুষের সঙ্গে পাবজির মাধ্যমে যোগাযোগ করেছিলেন সীমা। ফলে সীমার সঙ্গে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের কোনও যোগ আছে কি না তা নিয়ে বজায় রয়েছে ধোঁয়াশা। যার ফলেই শীঘ্রই এই নিয়ে নিশ্চিত হতে নানা রকম পরীক্ষার মধ্যে থেকে যেতে হবে প্রেমের টানে নিজের দেশ ছেড়ে আসা পাকিস্তানি গৃহবধূকে।