অবসর

Retirement Plan | অবসরের পর সুখে থাকতে এখন থেকেই ভাবনা চিন্তা করুন রিটায়ারমেন্ট প্ল্যান নিয়ে!

Retirement Plan | অবসরের পর সুখে থাকতে এখন থেকেই ভাবনা চিন্তা করুন রিটায়ারমেন্ট প্ল্যান নিয়ে!
Key Highlights

অবসরের পর যাতে কোনো অসুবিধা না হয় তার জন্য কর্ম জীবনের শুরুতেই রিটায়ারমেন্ট প্ল্যান নিয়ে ভাবতে বলেন বিশেষজ্ঞরা।

কর্মরতদের সংখ্যা বাড়লেও তাদের মধ্যে খুব কম জনই আছেন যারা পেনশন সিস্টেমের (Pension System) মধ্যে আছেন। অনেকেই এই সিস্টেমে থাকলেও অনেক দেরিতে পা রেখেছেন। আমরা প্রায় প্রত্যেকেই বর্তমান অর্থাৎ এখন কী হচ্ছে তা নিয়ে বেশি চিন্তিত। পরে কী হবে তা ভাগ্যের ওপরই অনেকটা ছেড়েদি। আর ভবিষ্যতের কথা ভাবলেও তা কবে কোন দিন ছুটি রয়েছে, কবে ঘুরতে যাওয়া হবে এই নিয়েই ব্যস্ত। এভাবেই অনেকে ভুলে যাচ্ছেন ভবিষ্যতের একটা বড় বিষয়, রিটায়ারমেন্ট প্ল্যান (Retirement Plan)।

বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, আপনি যত দেরিতে রিটায়ারমেন্ট প্ল্যান নিয়ে ভাববেন ভবিষ্যতে আপনার সমস্যা ততই বাড়বে। ফলে কর্ম জীবনের শুরু থেকেই ধীরে ধীরে রিটায়ারমেন্ট প্ল্যান করে রাখা ভালো। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, অবসপ্রাপ্ত হওয়ার পর বহু মানুষের রিটায়ারমেন্ট প্ল্যান না থাকায় সমস্যায় পড়েছেন। বাড়ি, গাড়ি কেনার জন্য বর্তমানে নানা রকমের লোন (Loan) ব্যবস্থা থাকলেও অবসরপ্রাপ্ত হওয়ার পর কিন্তু কোনও লোন নেই। ফলে কোনও জিনিস কেনার সময় যেমন ভেবে কেনেন, সেরকমই রিটায়ারমেন্ট এর পর কীভাবে সুখে সাচ্ছন্দে থাকবেন সেটা নিয়েও ভাবা শুরু করুন। কারণ সময়ের সঙ্গে একদিন না এক দিন আপনাকে অবসর নিতেই হবে। রিটায়ারমেন্ট আসবেই।

রিটায়ারমেন্ট প্ল্যানের জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। এতে আপনার আয় অনুযায়ী সব রকমের ব্যবস্থার কথা জানতে পারবেন। যার ফলে কোনও ফাঁদে না পরেই অনায়াসে রিটায়ার্ড (Retired) হওয়ার পর ভালো ভাবে বাকি জীবন কাটাতে পারবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, রিটায়ারমেন্ট প্ল্যান করার সময় বেশ কিছু জিনিষ মাথায় রাখতে হবে, যা মানতে হবে কর্ম জীবনের শুরু থেকেই। চট জলদি দেখে নিন রিটায়ারমেন্ট প্ল্যান করার সময় কী কী বিষয় মাথায় রাখবেন এবং কীভাবে রিটায়ারমেন্ট প্ল্যান করবেন -

  • ১. প্ল্যানের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিন। যাতে নিজের ‘ইনভেস্টমেন্ট গোল’ (Investment Goal) যেন ঠিক সময়ে আয়ত্তে আসে, লক্ষ‌্যপূরণ হয়। না হলে বড় সমস্যায় পড়তে পারেন।
  • ২. নিজের সাধ‌্যমত ডাইভারসিফাই (Diversify) করুন। বিভিন্ন অ‌্যাসেট ক্লাসে নিজের সম্পদ ছড়িয়ে দিতে পারেন, তাতে রিটায়ারমেন্ট এর পরে কিছুটা সুরক্ষা পাবেন।
  • ৩. বিন্দু বিন্দু থেকে সিন্দু প্রবাদটি এখানে উলেক্ষযোগ্য ভাবে কার্যকর। এর মানে অল্প অল্প করে সঞ্চয় করে একটি বিপুল পরিমাণ সম্পদ তৈরি করার চেষ্টা করুন। দরকার পড়লে অবসরের পর কতটা সম্পদ আপনার দরকার হতে পারে এবং তার জন্য কতটা সম্পদ সঞ্চয় করা দরকার এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞর সঙ্গে কথা বলুন।
  • ৪. ‘সিপ’ করুন, দরকার হলে অবসর নেওয়ার পর ‘এসডব্লুপি’ (সিস্টেম‌্যাটিক উইথড্রয়াল প্ল‌্যান) (Systematic Withdrawal Plan) চালু করুন। খেয়াল রাখবেন, সব মিলিয়ে আপনার স্ট্র‌্যাটেজি যেন সহজ এবং সোজা হয়।

এছাড়াও, অবসর গ্রহণের পর একটি স্থিতিশীল আয় বা পেনশন নিশ্চিত করার সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের সরঞ্জামগুলির উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারে এমন বেশ কয়েকটি বিকল্প রয়েছে। এই বিকল্পগুলি আপনাকে ভবিষ্যতে উল্লেখ্য ভাবে সাহায্য করতে পারে।

পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড | Public Provident Fund (PPF) :

পিপিএফ অ্যাকাউন্ট একটি দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয় পণ্য হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। যাতে আপনি বার্ষিক ভিত্তিতে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন এবং ১৯৬২ সালের আয়কর আইনের ৮০ সি ধারার অধীনে কর-ছাড় সুবিধা দাবি করতে পারেন। পাশাপাশি, অর্জিত সুদ এবং ১৫ বছর পর পরিপক্কতার পরিমাণও করমুক্ত হয়।

ন্যাশনাল পেনশন স্কিম | National Pension Scheme (NPS) :

অবসর গ্রহণের পরে বাজার-সংযুক্ত রিটার্নের মাধ্যমে একটি স্থির আয় উপার্জনের জন্য এনপিএস অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। একটি এনপিএস অ্যাকাউন্টে বার্ষিক ভিত্তিতে ৫০ হাজার টাকার বিনিয়োগ করতে হয়। আয়করের ৮০ সি ধরা অনুযায়ী ১.৫ লক্ষ টাকার বেশি সীমা ছাড়ের জন্য যোগ্য এনপিএস। এই স্কিম সম্পর্কে আরও জানতে একজন ব্যক্তি একজন আর্থিক পরিকল্পনাকারীর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট | National Savings Certificate (NSCs) :

একজন ব্যক্তি পাঁচ বছরের মেয়াদের জন্য পোস্ট অফিসে এনএসসি ব্যবস্থার সাহায্য নিতে পারেন। বর্তমানে, এনএসসি আমানতের সুদের হার হল ৭.৭ শতাংশ, যা বেশিরভাগ ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমের (Fixes Deposit Scheme) তুলনায় তুলনামূলকভাবে বেশি। এনএসসি যেকোনো বিনিয়োগ আইন করার ৮০ সি ধারার অধীনে কর কর্তনের সুবিধা প্রদান করে।

মিউচুয়াল ফান্ড স্কিম | Mutual Fund Scheme :

কম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিরা মিউচুয়াল ফান্ড নিয়ে ভাবতে পারেন মিউচুয়াল ফান্ডগুলিও কম ঝুঁকি পূর্ণ।

একটি নির্দিষ্ট তহবিলে বিনিয়োগের পদক্ষেপ নেওয়ার আগে একজন পেশাদার আর্থিক উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করা শ্রেয়।