Weather | দক্ষিণবঙ্গে কমবে বৃষ্টিপাত! হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হলেও থাকবে অস্বস্তি! উত্তরবঙ্গে সতর্কতা!
কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে কমবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় বজায় থাকবে অস্বস্তি। উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় কমলা সতর্কতা জারি।
তীব্র গরম থেকে স্বস্তি দিতে বর্ষা (Monsoon) এলেও, দিন কয়েক বর্ষণের পরেই আবারও কমেছে বৃষ্টি। গতকাল অর্থাৎ রবিবার থেকেই বেশ অনেকটা কমেছে বৃষ্টির পরিমাণ। যার ফলে আবারও বেড়েছে গরম। তবে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমলেও উত্তরবঙ্গে এখনও জারি অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই কলকাতা (Kolkata) সহ দক্ষিণবঙ্গে কমেছে বৃষ্টি। তবে আকাশ প্রায় সারাদিনই মেঘলা থাকায় বেড়েছে অস্বস্তিকর গরম। এদিন অর্থাৎ ৩রা জুলাই সোমবার দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে বজায় থাকবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad), বীরভূম (Birbhum) জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে, শহর কলকাতায় এদিন আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। তবে বিকেল বা সন্ধ্যায় বিক্ষিপ্তভাবে দু-এক পশলা বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে খবর। হালকা বৃষ্টি হলেও বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় অস্বস্তি বজায় থাকবে। উল্লেখ্য, কলকাতায় আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি বেশি।
দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে থাকলেও উত্তরবঙ্গে উল্টো চিত্র। অতি ভারী বৃষ্টির জন্য এখনও উত্তরের ৫ জেলায় জারি কমলা সতর্কতা (Orange Alert)। কোচবিহার (Cooch Behar), জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri), আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) ৭০ থেকে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস। ১০০ মিলিমিটার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং (Darjeeling), কালিম্পং (Kalimpong) ও উত্তর দিনাজপুরে (North Dinajpur)। জানা গিয়েছে আগামী ৭ই জুলাই পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টি চলবে উত্তরে। পাশাপাশি পাহাড়ে ধস (Landslide) নামার আশঙ্কাও রয়েছে। যার ফলে উত্তরে এখনই ঘুরতে যাওয়া নিয়ে পর্যটকদের সতর্ক করছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
প্রসঙ্গত, নির্ধারিত সময়ের আগেই গোটা ভারতে (India) বর্ষার আগমন। নির্ধারিত সময় ২২ মে-এর আগেই ১৯ মে বর্ষা ঢুকে পড়ে নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে (Nicobar Islands)। এরপর ১৯ মে বর্ষা ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করলেও ২৯ মে পর্যন্ত একই জায়গায় থমকে দাঁড়িয়ে থাকে। আন্দামানে বর্ষা আগাম ঢুকে গেলেও তারপর থেকেই ধীরগতিতে ছিল মৌসুমী বায়ু। পয়লা জুনের পরিবর্তে ৮ জুন কেরলে (Kerala) প্রবেশ করে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। অর্থাৎ যে মৌসুমী বায়ু নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ঢুকে ছিল সেই মৌসুমী বায়ু৷ নির্ধারিত সময়ের সাত দিন পর ঢুকল ভারতের মূল ভূখণ্ডে।
চলতি বছর বর্ষা ভারতের মূল ভূখণ্ডে ঢোকার পর থেকেই ধীরগতিতে এগিয়েছে। বাংলায় প্রথমে বর্ষা ঢোকে উত্তরবঙ্গে। জলপাইগুড়িতে ৭ জুন এবং শিলিগুড়িতে ৮ জুন দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু অর্থাৎ বর্ষা প্রবেশ করে। অন্যদিকে, যেখানে দক্ষিণবঙ্গের কলকাতাতে মৌসুমী বায়ুর প্রবেশ করার কথা ১১ জুন। সেখানে ১৮ই জুন দক্ষিণবঙ্গে সক্রিয় হয় মৌসুমি বায়ু। ১৯ শে জুন নির্ধারিত সময়ের আট দিন পরে কলকাতায় বর্ষা আসে। শেষ পর্যন্ত পুরো বাংলা জুড়ে বর্ষা অতিক্রম করে ২২ জুন।
- Related topics -
- আবহাওয়া
- শহর কলকাতা
- ভারত
- আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ
- মৌসুমী বায়ু
- কেরল
- বর্ষাকাল
- বৃষ্টিপাত
- রাজ্য