বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

Indian Rocket | সাত তলা উঁচু রকেট বানালো ভারতের প্রাইভেট সংস্থা 'স্কাইরুট'! কী চমক আছে 'বিক্রম-১'এ?

Indian Rocket | সাত তলা উঁচু রকেট বানালো ভারতের প্রাইভেট সংস্থা 'স্কাইরুট'! কী চমক আছে 'বিক্রম-১'এ?
Key Highlights

ইসরোর পাশাপাশি ভারতের বেসরকারি মহাকাশ সংস্থাগুলিও হাতছানি দিচ্ছে মহাকাশে। বিশালাকার ভারতীয় রকেট বানালো প্রাইভেট সংস্থা 'স্কাইরুট'। গগনযান মিশনে মহিলা নভশ্চর না থাকলেও পরবর্তী মিশনে মহাকাশে মহিলা নভশ্চরদের মহাকাশে পাঠাতে চায় ইসরো।

মহাকাশ বিজ্ঞানে একের পর এক মিশনে পা বাড়াচ্ছে ভারত। চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3), আদিত্য এল-১ (Aditya L-1) এর মতো মিশন দ্বারা ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বের নজর কেড়ে ইতিহাস গড়েছে দেশ। এরপর মঙ্গলযান-২ (Mangalyaan-2), গগনযান (Gaganyaan) এর মতো মিশন নিয়েও এখন থেকেই জোর কদমে প্রস্তুতি চালাচ্ছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (Indian Space Research Organization) অর্থাৎ ইসরো (ISRO)। তবে কেবল সরকারি মহাকাশ সংস্থাগুলিই নয়, মহাকাশে হাতছানি দিচ্ছে ভারতের বেসরকারি মহাকাশ সংস্থাগুলিও (Private space companies in India)। ইতিমধ্যেই হায়দরাবাদ ভিত্তিক একটি প্রাইভেট সংস্থা তৈরী করেছে এক বিশালাকার ভারতীয় রকেট (Indian Rocket)।

বিগত কয়েক বছরে ভারত মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। এই আবহে প্রাইভেট সংস্থাগুলিকেও এবার মহাকাশ বিজ্ঞান ক্ষেত্রে নিয়ে আসার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই মাঝে ভারতের বেসরকারি মহাকাশ সংস্থাগুলির (Private space companies in India) মধ্যে একটি, হায়দরাবাদ ভিত্তিক একটি প্রাইভেট ভারতে মহাকাশ কোম্পানির (Aerospace companies in India) রকেট তৈরী করার খবর সামনে এসেছে। সূত্রের খবর,মহাকাশ কোম্পানি (Aerospace companies in India) 'স্কাইরুট' (SkyRoot) তৈরি করেছে সাত তলা উঁচু রকেট - 'বিক্রম ১' (Vikram-1)। হায়দরাবাদ ভিত্তিক সংস্থা 'স্কাইরুট'-এর সদর দফতর - 'ম্যাক্স কিউ'-তে (Max Q) এই রকেট জনসমক্ষে নিয়ে আসা হয়। সংস্থার সদর দফতরটি উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং (Union Minister of Science and Technology Jitendra Singh)। গতকাল, ২৪ সে অক্টোবর হায়দরাবাদে উদ্বোধন করা হয় স্কাইরুট অ্যারোস্পেস সংস্থার সদর দফতর। সেই অফিসের নাম রাখা হয়েছে 'ম্যাক্স কিউ'।

কী কী চমক রয়েছে ভারতীয় রকেট  বিক্রম-১-এ?

 স্কাইরুট সংস্থার সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং সিওও ভারত ডাকা বলেন, সংস্থার সদর দফতরের উদ্বোধনের দিনই বিক্রম ১-কে জনসমক্ষে আনা হয়েছে। 'স্কাইরুট' (SkyRoot) এর তৈরী রকেট দ্বারা লো-আর্থ অর্বিটে পৌঁছে যাওয়া যাবে। এই রকেটের পেলোড ধারণের ক্ষমতা ৩০০ কেজি। বিক্রম ১ রকেটটি পুরোটা কার্বন দিয়ে তৈরি। এই রকেটটি মহাকাশে একাধিক উপগ্রহ নিয়ে যেতে পারবে। এমনকী পৃথিবীকে প্রদক্ষিণকারী স্যাটেলাইটও মহাকাশে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে এই রকেট।  জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই স্কাইরুটের তৈরি এই ভারতীয় রকেট (Indian Rocket) মহাকাশে পাড়ি দেবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪ সালেই এই রকেটটিকে উৎক্ষেপণ করা হতে পারে। প্রসঙ্গত, এই স্টার্টআপ সংস্থার দ্বিতীয় রকেট এটি। এর আগে বিক্রম-এস (Vikram-S) নামক একটি রকেট তৈরি করেছিল 'স্কাইরুট' (SkyRoot)। ইসরোর উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে প্রথম কোনও প্রাইভেট সংস্থা হিসেবে মহাকাশে রকেট পাঠিয়েছিল স্কাইরুট। 

 উল্লেখ্য, এদিকে ইসরো সপ্তমীর দিন অর্থাৎ ২১সে অক্টোবর সফলতা লাভ করেছে গগনযান মিশনের পরীক্ষার ক্ষেত্রে। শ্রীহরিকোটা স্পেস সেন্টার থেকে শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ গগনযান (Gaganyaan) এদর পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সফল হয়। সেদিন সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে গগনযান মিশনের টিভি-ডি ১ (TV-D1) ফ্লাইটের উৎক্ষেপণ হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো কাউন্টডাউনও শুরু হয়েছিল। কিন্তু, নির্ধারিত সময়ের ৫ সেকেন্ড আগে উৎক্ষেপণ স্থগিত করে দেওয়া হয়। ইসরো প্রধান এস সোমনাথ জানান, ৬ সেকেন্ড আগেই ধরা পড়ে যে, ইঞ্জিনের ইগনিশন যেভাবে হওয়ার কথা ছিল সেভাবে হয়নি। ইঞ্জিনের অস্বাভাবিক আচরণ দেখেই সেই সময় উড়ান স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপর সকাল ১০ টায় ফের ওই মহাকাশযান সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। বলে ইসরোর তরফে জানানো হয়।

৩ মহাকাশচারী নিয়ে ক্রু মডিউল যাতে সমুদ্রেও নেমে পড়তে পারে, তারই মহড়া হয় সেদিন। ২০২৫ সালে মূল গগনযান মিশনের লক্ষ্য নিয়েছে ইসরো। ৩ মহাকাশচারীকে নিয়ে মহাশূন্যে পাড়ি দেবে গগনযান। আসন্ন গগনযান অভিযানে অভিযাত্রী-তালিকায় নেই কোনও মহিলা নভশ্চরের নাম। তবে ভবিষ্যতে মেয়েদের মহাকাশেও পাঠাতে চায় ইসরো। এই প্রসঙ্গে ইসরো প্রধান এস সোমনাথ জানান, মহাকাশে মহিলাদের পাঠাতে চায় ইসরো কিন্তু তার জন্য যোগ্য ব্যক্তিকে (মহিলা) খুঁজে বার করতে হবে। উল্লেখ্য, ইসরোর গগনযান হাকাশযানে চেপে পৃথিবীর কক্ষপথে -লো আর্থ অরবিট-এ পাড়ি দেবেন নির্বাচিত নভশ্চরেরা। তিন দিন সেখানে কাটিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসবেন তাঁরা। যার প্রস্তুতি জোর কদমে চালাচ্ছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।