SSC Scam: কারাগারে থেকেই সাহায্যের হাত পার্থর, মুখ ফেরালেন অর্পিতা!
প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ জেলে বসেই অর্পিতাকে পাশে থাকার বার্তা দিলেন। সেই সাহায্য ফিরিয়ে দিয়েছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।
প্রেসিডেন্সি জেল (Presidency Correctional Home) থেকে আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের (Alipore Women Central Jail) দূরত্ব মাত্র ৫০০ মিটারের। এরইমধ্যে জেলে বসেই অর্পিতার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর দূরে বসেও অর্পিতার জন্য চিন্তা করছেন পার্থ। তাঁর জন্য আইনি সাহায্যের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হয়েছেন পার্থ। নিজের আইনজীবীকেই অর্পিতার জন্য নিযুক্ত করতে চাইছেন।
পার্থর সাহায্য ফেরালেন অর্পিতা
পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজের আইনজীবী মারফত সাহায্যের বার্তা পাঠিয়েছেন। আলিপুর সংশোধানাগারের সেলে বসে এ কথা জানতে পারেন অর্পিতা। পার্থর এই সাহায্য ফিরিয়ে দিয়েছেন অর্পিতা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীর থেকে কোনওরকম আইনি সাহায্য নিতে চান না অর্পিতা। তবে কি পার্থ সম্পর্কে ক্ষোভ জন্মেছে অর্পিতার? জোর জল্পনা চলছে রাজ্য রাজনীতিতে।
আরও পড়ুন: Vijaya Deverakonda: বিজয়, রশ্মিকাকে ডেট করছেন! গাড়িতে সঙ্গমের পর থ্রিসাম! কি বলছেন অন্যান্য ?
জেলে থেকেই লুক বদলালেন পার্থ
প্রথমে ইডির হাতে গ্রেফতার এবং পরে ১৪ দিন সল্টলেকের CGO কমপ্লেক্সে হেফাজত শেষে প্রেসিডেন্সিতে ঠাঁই হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। ধীরে ধীরে জেলজীবনের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে শুরু করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই জেলে কেটে গিয়েছে তিনদিন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মুখ ভরে গিয়েছে দাড়িতে। কিন্তু চতুর্থ দিনে জেলবন্দি পার্থ ফের তাঁর সিগনেচার ফ্রেঞ্চ কাট লুকে।
প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে ব্রেকফাস্টের পর জেল কর্তৃপক্ষর কাছে নিজেই দাড়ি কাটার অনুরোধ জানান তিনি। জেলের নির্ধারিত নাপিতের কাছে দাড়ি কামান তিনি। নাপিত তাঁর কাছে জানতে চান, পার্থ ক্লিন শেভ রাখবেন কিনা। কিন্তু, প্রাক্তন মন্ত্রীর স্পষ্ট উত্তর, "আমার যেমন ছিল তেমনই থাকবে।"
জেলে কী খাচ্ছেন পার্থ
মাছ মাংস ছাড়া খাওয়ার অভ্যাস নেই পার্থর। বিশেষ পছন্দ করেন পাঁঠার মাংস। ফলে প্রতিদিনই আমিষ খাওয়ার আবদার জানাচ্ছেন তিনি। নিরামিষ খাওয়া নিয়ে বেজায় সমস্যা পড়েছেন তিনি। কিন্তু, নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক কয়েদির জন্য সপ্তাহে একদিন করে মাংস, মাছ এবং ডিম বরাদ্দ থাকে লাঞ্চে; একদিন সোওয়াবিন দেওয়া হয় এবং বাকি দিনগুলো ডাল সব্জি।
জেল কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই রুটিনের বাইরে বাড়তি কোনও সুযোগ দেওয়া হবে না পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এদিকে, তিনদিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত জেলে আইনজীবী ছাড়া তাঁর পরিবারের কোনও সদস্যকে দেখা যায়নি।