Navratri 2024 | নবরাত্রির তৃতীয় দিনে দেবী দুর্গা পূজিত হন ‘চন্দ্রঘণ্টা’ রূপে, এই দেবী সৌন্দর্য এবং সাহসের প্রতীক
নবরাত্রির (Navratri) তৃতীয়া তিথিতে দেবী দুর্গা পূজিত হন ‘চন্দ্রঘণ্টা’ রূপে।দেবীর এই রূপ অন্যান্য রূপের থেকে অনেকটাই আলাদা। কাশীতে রয়েছে দেবী চন্দ্রঘণ্টার মন্দির। ভক্তদের বিশ্বাস, কাশীতে দেবী চণ্ডঘণ্টা দেবীকে পুজো করে প্রসন্ন করতে পারলে, যম ঘণ্টা যা কিনা যমের বাহন মহিষের গলায় বাঁধা থাকে, তার ধ্বনিও আর ভয় দেখাতে পারে না। দেবীর কৃপায় মহাপাপীও নিজের ভুল উপলব্ধি করতে পারেন। এই দেবীর কৃপায় নিজের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করা যায়।
আজ নবরাত্রি ২০২৪ (Navratri 2024) এর তৃতীয় দিন। নবরাত্রি (Navratri) জুড়ে দেবী দুর্গাকে পুজো করা হয় নয়টি বিশেষ রূপে। প্রত্যেক তিথিতে, অর্থাৎ প্রতিপদ থেকে নবমী পর্যন্ত এক এক তিথিতে দেবী দুর্গা পূজিত হন এক এক রূপে। নবরাত্রির তৃতীয় দিন পূজিত হন দেবীর চন্দ্রঘণ্টা (Chandraghanta) রূপ। এই দেবী সৌন্দর্য এবং সাহসের প্রতীক।
চন্দ্রঘণ্টা দেবী । Chandraghanta Devi :
নবরাত্রির (Navratri) তৃতীয়া তিথিতে দেবী দুর্গা পূজিত হন ‘চন্দ্রঘণ্টা’ রূপে।দেবীর এই রূপ অন্যান্য রূপের থেকে অনেকটাই আলাদা। কাশীতে রয়েছে দেবী চন্দ্রঘণ্টার মন্দির। ভক্তদের বিশ্বাস, কাশীতে দেবী চণ্ডঘণ্টা দেবীকে পুজো করে প্রসন্ন করতে পারলে, যম ঘণ্টা যা কিনা যমের বাহন মহিষের গলায় বাঁধা থাকে, তার ধ্বনিও আর ভয় দেখাতে পারে না। দেবীর কৃপায় মহাপাপীও নিজের ভুল উপলব্ধি করতে পারেন। এই দেবীর কৃপায় নিজের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করা যায়।
দেবী চন্দ্রঘন্টা দশভূজা, সিংহবাহনা, কোথাও কোথাও ব্যাঘ্র বাহনা ৷ মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধের সময়ও দেবী আদিশক্তি পুনরায় এই রূপ ধরেন ৷ এই ঘন্টা ইন্দ্রদেব প্রদত্ত, ঘন্টাটি ঐরাবতের গলায় ছিল ৷ এই যুদ্ধের আগে দেবতারা মা আদিশক্তিকে তাঁদের নিজ নিজ দিব্যাস্ত্র প্রদান করেন। চন্দ্রঘণ্টা দেবীর হাতের ঘন্টায় ঐরাবতের শক্তিনিহিত আছে, এই ঘন্টাধ্বনি সব অমঙ্গলকে দুর করতে পারে৷ দেবতাদের দিব্যাস্ত্রের শক্তিও দেবী আদিশক্তিরই শক্তি৷ মায়ের ব্রহ্মচারিণী রূপেই দেবতারা প্রমান পেয়েছিলেন যে তিনি না চাইলে পাতাটিও হেলবে না ৷ তাই তাঁকে অস্ত্র দেওয়া বিষয়টি অনেকটা ‘গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর’ মতোই ৷
নবরাত্রি ২০২৪ (Navratri 2024) এর তৃতীয় দিন রাত ৯টা ৩৩ পর্যন্ত পুজোর সময় রয়েছে। তবে পঞ্জিকা মতে পুজার্চনার কাজ সন্ধে ৭টার মধ্যে শেষ করা মঙ্গলজনক। রুদ্র এই মূর্তির প্রতীক হিসাবে এইদিন লাল রঙ শুভ। লাল রঙের পোশাক পরলে দেবী প্রসন্ন হবে বলে মনে করা হয়। ভক্তরা এইদিন দেবীকে উৎসর্গ করে পায়েস নিবেদন করে থাকেন । মায়ের ভোগ নিবেদন করতে হয় দুগ্ধজাত খাদ্যের মাধ্যমে (ক্ষীর, পায়েস, ছানা, মিষ্টি ইত্যাদি ) ৷
- Related topics -
- উৎসব ২০২৪
- পুজো ও উৎসব
- দুর্গাপুজো
- অন্যান্য