দেশ

New covid variant in India | ভারতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্ট জেএন ১! উৎসবের মরশুমে সতর্ক করছে 'হু'! ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ কী কী?

New covid variant in India | ভারতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্ট জেএন ১! উৎসবের মরশুমে সতর্ক করছে 'হু'! ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ কী কী?
Key Highlights

সিঙ্গাপুরের পর এবার ভারতে নতুন কোভিড ভেরিয়েন্টের দাপট। ভারতে করোনাভাইরাসের নতুন রূপ জেএন-১ এ প্রথম আক্রান্ত এক মহিলা। করোনায় একদিনেই মৃত ৫। জানুন জেএন-১ উপসর্গ কী কী।

খবর মিলেছে। ২৪ ঘণ্টায় কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৩৩৫ জন। জানা গিয়েছে, দেশজুড়ে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ছুঁয়ে ফেলেছে। ইতিমধ্যেই দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization) বা হু (WHO) এর পক্ষ থেকেও।  মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বেশ কয়েকটি দেশে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর,  ভারতে প্রথম বার করোনাভাইরাসের নতুন শনাক্ত সাবভ্যারিয়েন্ট জেএন ১ (JN.1)-এ আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল। ভারতে নতুন কোভিড ভেরিয়েন্ট (New covid variant in India) শনাক্ত করা হয়েছিল কেরলে। শনিবার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) এর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, ইতিমধ্যে সেখানে নজরদারি চালাচ্ছে India SARS-CoV-2 Genomics Consortium বা ইনসাকগ (Insacog)। আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল ড. রাজীব বহেল জানিয়েছেন, গত ৮ই ডিসেম্বর তিরুবনন্তপুরম জেলার কারাকুলাম থেকে একটি RT-PCR পজিটিভ নমুনায় আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, রবিবার দেশে পাঁচজন কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে চারটি কোভিড ১৯ করোনভাইরাস কেস কেরালা (Covid 19 coronavirus cases in Kerala) এর। পাশাপাশি এক কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে উত্তরপ্রদেশেও। এছাড়াও মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩৫ জন। বর্তমানে দেশজুড়ে অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ১৭০১। সবমিলিয়ে দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে চার কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃতের সংখ্যাও পাঁচ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে।

 ভারতে নতুন কোভিড ভেরিয়েন্ট (New covid variant in India) জেএন.১ আতঙ্ক বাড়াচ্ছে। কেরলের এক বৃদ্ধার দেহে মিলেছে ভাইরাসের এই নয়া ভ্যারিয়েন্ট। জানা গিয়েছে এক ৭৯ বছর বয়সী মহিলার কোভিড রোগীর দেহে কোভিড-১৯-এর সাব-ভেরিয়েন্ট জেএন.১ পাওয়া গিয়েছে। ওই মহিলা তিরুবনন্তপুরম জেলার কারাকুলামের বাসিন্দা। ৮ ডিসেম্বর তার কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট (Covid Test Report) পজিটিভ আসে। এই কোভিড ১৯ করোনভাইরাস কেস কেরালা (Covid 19 coronavirus cases in Kerala) এর ক্ষেত্রে রোগীর  শরীরে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো লক্ষণ ছিল। তবে, বর্তমানে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। পাশাপাশি সেরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দিয়েছেন।তবে আমজনতাকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেছেন তিনি।

ভারতে করোনাভাইরাসের নতুন রূপ (New variant of coronavirus in India) নিয়ে রীতিমতো বাড়ছে চিন্তা। দেশজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্তে সতর্ক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। জোর দেওয়া হয়েছে ভ্যাকসিন নেওয়ার বিষয়টিতে। অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্থ না করে কীভাবে জনস্বাস্থ্য বজায় রাখা যায়, সেটাই বিবেচনা করছেন দফতরের আধিকারিকরা। কেবল ভারতেই নয় জেএন-১ কোভিড-১৯ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সারা বিশ্বে বেড়ে চলেছে। বিশেষজ্ঞদের সূত্রে খবর, এই ধরনের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হালকা উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। এবং তাদের বেশিরভাগই কড়া ওষুধ ছাড়াই সেরে উঠছে। 

জেএন-১ কোভিড-১৯ ভ্যারিয়েন্টের লক্ষণ কী?

  • জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথা, মাথাব্যথা এবং কিছু পরিস্থিতিতে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল (পাতলা পায়খানাসহ বমি) সমস্যা রোগীদের মধ্যে উপসর্গ হিসেবে দেখা যেতে পারে। 
  • চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ রোগী হালকা শ্বাসযন্ত্রের উপসর্গগুলো অনুভব করেন, যা সাধারণত চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে সেরে যায়। 
  • এই নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলে গলা ব্যথা হতে পারে। ঢোক গিলতে গেলে ব্যথা অনুভব হতে পারে কোভিডে আক্রান্ত হলে।
  • নাক থেকে জল পড়া ও নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে নতুন কোভিডে আক্রান্ত হলে। নিশ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট আক্রমণ করলে। 
  • সমানে হাঁচি হতে পারে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হাঁচি বন্ধ হবে না। কফের সমস্যাও থাকবে। এক্ষেত্রে কফের জন্য বুকে চাপ অনুভূত হতে পারে। 
  • নতুন কোভিডে আক্রান্তের প্রধান ও অন্যতম লক্ষণ হল দূর্বলতা। এই নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলে কিছুতেই দূর্বলতা দূর করা যায় না। শরীরে মারাত্মক ক্লান্তি নেমে আসে।
  • নতুন কোভিড ভাইরাসের আক্রমণে গা, হাতে, পায়ে যন্ত্রণাও দেখা দিতে পারে। জয়েন্ট পেইন দেখা দিতে পারে শরীরের বিভিন্ন অংশে। মাথা যন্ত্রণাও এই রোগের একটি প্রধান লক্ষণ।

চিকিৎসকরা এই লক্ষণ সম্পর্কে জানিয়েছেন, প্রথমেই দেখতে হবে এটা কোভিড নাকি অন্য কিছু। এটা ভাইরাল সংক্রমণের মতোই লক্ষণ। এটা আরও একটু বেশি বিপদের হতে পারে। তবে কম বেশি ভাইরাল ইনফেকশনের মতোই ব্যাপারটা।

 এই ভ্যারিয়েন্টটি বিশ্বব্যাপী সংক্রমণ বাড়াচ্ছে। প্রশাসনের স্বাস্থ্য বিভাগকে বেশ সতর্ক করে তুলেছে। এর আগে সিঙ্গাপুরে ভারতের এক পর্যটকের শরীরেও এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়েছিল। জেএন -১ সাব-ভ্যারিয়েন্ট প্রথম লুক্সেমবার্গে শনাক্ত করা হয়েছে এবং তারপর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গিয়েছে, এটি পিরোলা প্রজাতির (BA.2.86) বংশের। ভারত ছাড়াও আমেরিকা, ইংল্যান্ড, আইসল্যান্ড, স্পেন, পর্তুগাল এবং নেদারল্যান্ডের মতো দেশে এখনও পর্যন্ত জেএন -১-এ আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।  সিডিসি-র দাবি, করোনার টিকা সাধারণত ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে নষ্ট করার চেষ্টা করে। ভ্যাকসিন এই দুই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেই কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের ব্যতিক্রমী চরিত্র হল, এটি স্পাইক প্রোটিনের মাধ্যমে মিউটেশন অর্থাৎ বংশবৃদ্ধি করে। কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন হু। দেশে কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে  নজরদারি চালাচ্ছে ইনসাকগ (Insacog)। সাধারণ মানুষদের আতঙ্কিত না হতে বললেও বড়দিনের সময়ে উৎসবের মরশুমে বিশেষ করে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে। কেবল কোভিড নয়, ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগ থেকেও সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিচ্ছে হু।